• হ্যালোইন উৎসবের আদি কাহিনী :

দুই হাজার বছরের আগে আয়ারল্যান্ড এর অধিবাসী যাদের কেল্টিক নামে ডাকা হত, তাদের ক্যালেন্ডারের নাম গেলিক। সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর থেকে শীতের শুরু। এই দিনটাকে বলা হয় সাম-হীন। “সাম-হীন” শব্দটির অর্থ হল গ্রীষ্মকালের সমাপ্তি। এই কেল্টিক সভ্যতায় সাম-হীন কে মৃত্যুর দেবতা হিসেবে ধরা যেত। সেই সময়টাকে তারা অশুভ সময় মনে করত। 

তাহলে সেই দিনটি হচ্ছে অশুভ সময়ের শুরু। তারা বিশ্বাস করত জীবিত এবং মৃতদের জগতের মাঝে যে সূক্ষ্ম ফাঁক থাকে সেটা এইদিন বিলুপ্ত হয়ে যায়। তো মৃত মানুষ গুলো তখন নেমে আসতে পারে এই জীবিতদের জগতে।

প্রশ্ন হচ্ছে হ্যালোইন উৎসবে সবাই নানা ধরনের ভৌতিক পোষাক ও মুখোশ পড়ে রাস্তায় বের হয় এবং বাচ্চারা বিভিন্ন ভৌতিক পোষাক পড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন মিষ্টি সংগ্রহ করে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন?

তৎকালীন সমাজের মানুষরা মনে করত যে এইদিন মৃতরা তাদের মাঝে এই পৃথিবীতে তাদের সাথেই ঘুরে বেড়ায়। তো সেই আত্মারা যে তাদের ক্ষতি না করতে পারে, তাদেরকে নিজেদেরই একজন মনে করে সেজন্য তারা বিভিন্ন ভৌতিক পোষাক পড়ে রাস্তায় বের হত। আর এই আত্মাদের সন্তুষ্ট করার জন্যই তারা তাদের বাড়িতে ভৌতিক পোষাকে কেউ এলেই মিষ্টি দিয়ে খুশি করার চেষ্টা করা হত। কে জানে হয়ত এদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে কোন অতৃপ্ত আত্মা।

পরবর্তীতে এই এলাকা গুলোতে খৃস্টান ধর্ম প্রাধান্য পেলেও এই দিনটিকে এখন তারা সংস্কৃতি হিসেবে ধরে রেখেছে।

• মিষ্টিকুমড়োর প্রদীপ এর কাহীনি :


এটা এসেছে আইরিশ রূপকথা থেকেকেল্টিক বিশ্বাস অনুযায়ী জ্যাক নামের এক প্রতারক একবার ডেভিলকে তার সাথে মদ পান করার জন্য আহবান করল।

ডেভিল তার আহবানে সাড়া দিল, মদ পান শেষ করে জ্যাক বললো আমার কাছে তো টাকা নাই তুমি কি নিজে কয়েন হতে পারবে যাতে আমি মদের টাকা শোধ করতে পারি, ডেভিল তাকে বিশ্বাস করে কয়েন হয়ে গেলো, কিন্তু দেখা গেলো জ্যাক তাকে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলল আর বের করল না। ডেভিল তখন তাকে অনুরোধ করতে লাগল তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য। জ্যাক তার কথায় রাজি হলো এই শর্তে যে ডেভিল তার মৃত্যূর পর তাকে দাবি করবেনা।

একদিন জ্যাক মারা গেলো কিন্তু সে স্বর্গে যেতে পারলনা কারন সে প্রতারক। আর ডেভিল তাকে নরকে নিতে পারছেনা যেহেতু সে প্রমিজ করেছ, তখন ডেভিল কয়েক টুকরা জ্বলন্ত কয়লা সহ জ্যাককে ছেড়ে দিলো অন্ধকার ঘরে।

জ্যাক সেখানে ১টা মিষ্টিকুমড়া দেখতে পেলো যাকে ছিদ্র করে তার ভেতরের সব উপাদান বের করে জলন্ত কয়লা রাখলো এবং সেই থেকে জ্যাক এর আত্মা সারা দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই থেকে এইভাবে মিষ্টিকুমড়োর ভেতর বাতি জ্বালিয়ে এই রূপকথা স্মরণ করা হয়।

→ প্রতি বছর WWE তে এই হ্যালোইন কে হেডিং করে এপিসোড আয়োজন করা হয়। এবারও এর ব্যাতিক্রম হয় নি। হ্যালোইন ম্যাচগুলোও ভালোই হয়। নীচে এই বছরের কয়েকটি রেসলারের হ্যালোইন স্পেশাল ছবি দেওয়া হল, দেখুন চিনতে পারেন কিনা... 









• লেখক ঃ ‎আরিয়ান রেহান (সংগ্রীহিত)

হ্যালোইন উৎসব কী? -জেনে নিন।


• হ্যালোইন উৎসবের আদি কাহিনী :

দুই হাজার বছরের আগে আয়ারল্যান্ড এর অধিবাসী যাদের কেল্টিক নামে ডাকা হত, তাদের ক্যালেন্ডারের নাম গেলিক। সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর থেকে শীতের শুরু। এই দিনটাকে বলা হয় সাম-হীন। “সাম-হীন” শব্দটির অর্থ হল গ্রীষ্মকালের সমাপ্তি। এই কেল্টিক সভ্যতায় সাম-হীন কে মৃত্যুর দেবতা হিসেবে ধরা যেত। সেই সময়টাকে তারা অশুভ সময় মনে করত। 

তাহলে সেই দিনটি হচ্ছে অশুভ সময়ের শুরু। তারা বিশ্বাস করত জীবিত এবং মৃতদের জগতের মাঝে যে সূক্ষ্ম ফাঁক থাকে সেটা এইদিন বিলুপ্ত হয়ে যায়। তো মৃত মানুষ গুলো তখন নেমে আসতে পারে এই জীবিতদের জগতে।

প্রশ্ন হচ্ছে হ্যালোইন উৎসবে সবাই নানা ধরনের ভৌতিক পোষাক ও মুখোশ পড়ে রাস্তায় বের হয় এবং বাচ্চারা বিভিন্ন ভৌতিক পোষাক পড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন মিষ্টি সংগ্রহ করে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন?

তৎকালীন সমাজের মানুষরা মনে করত যে এইদিন মৃতরা তাদের মাঝে এই পৃথিবীতে তাদের সাথেই ঘুরে বেড়ায়। তো সেই আত্মারা যে তাদের ক্ষতি না করতে পারে, তাদেরকে নিজেদেরই একজন মনে করে সেজন্য তারা বিভিন্ন ভৌতিক পোষাক পড়ে রাস্তায় বের হত। আর এই আত্মাদের সন্তুষ্ট করার জন্যই তারা তাদের বাড়িতে ভৌতিক পোষাকে কেউ এলেই মিষ্টি দিয়ে খুশি করার চেষ্টা করা হত। কে জানে হয়ত এদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে কোন অতৃপ্ত আত্মা।

পরবর্তীতে এই এলাকা গুলোতে খৃস্টান ধর্ম প্রাধান্য পেলেও এই দিনটিকে এখন তারা সংস্কৃতি হিসেবে ধরে রেখেছে।

• মিষ্টিকুমড়োর প্রদীপ এর কাহীনি :


এটা এসেছে আইরিশ রূপকথা থেকেকেল্টিক বিশ্বাস অনুযায়ী জ্যাক নামের এক প্রতারক একবার ডেভিলকে তার সাথে মদ পান করার জন্য আহবান করল।

ডেভিল তার আহবানে সাড়া দিল, মদ পান শেষ করে জ্যাক বললো আমার কাছে তো টাকা নাই তুমি কি নিজে কয়েন হতে পারবে যাতে আমি মদের টাকা শোধ করতে পারি, ডেভিল তাকে বিশ্বাস করে কয়েন হয়ে গেলো, কিন্তু দেখা গেলো জ্যাক তাকে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলল আর বের করল না। ডেভিল তখন তাকে অনুরোধ করতে লাগল তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য। জ্যাক তার কথায় রাজি হলো এই শর্তে যে ডেভিল তার মৃত্যূর পর তাকে দাবি করবেনা।

একদিন জ্যাক মারা গেলো কিন্তু সে স্বর্গে যেতে পারলনা কারন সে প্রতারক। আর ডেভিল তাকে নরকে নিতে পারছেনা যেহেতু সে প্রমিজ করেছ, তখন ডেভিল কয়েক টুকরা জ্বলন্ত কয়লা সহ জ্যাককে ছেড়ে দিলো অন্ধকার ঘরে।

জ্যাক সেখানে ১টা মিষ্টিকুমড়া দেখতে পেলো যাকে ছিদ্র করে তার ভেতরের সব উপাদান বের করে জলন্ত কয়লা রাখলো এবং সেই থেকে জ্যাক এর আত্মা সারা দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই থেকে এইভাবে মিষ্টিকুমড়োর ভেতর বাতি জ্বালিয়ে এই রূপকথা স্মরণ করা হয়।

→ প্রতি বছর WWE তে এই হ্যালোইন কে হেডিং করে এপিসোড আয়োজন করা হয়। এবারও এর ব্যাতিক্রম হয় নি। হ্যালোইন ম্যাচগুলোও ভালোই হয়। নীচে এই বছরের কয়েকটি রেসলারের হ্যালোইন স্পেশাল ছবি দেওয়া হল, দেখুন চিনতে পারেন কিনা... 









• লেখক ঃ ‎আরিয়ান রেহান (সংগ্রীহিত)