আসল নাম

Dwayne Douglas Johnson

জন্মদিন

২ মে, ১৯৭২

জন্মস্থান

Hayward, California, U.S

বাসস্থান

Miami, Florida, US

উচ্চতা

৬ ফুট ৫ ইঞ্চি (১.৯৫ মি)

ওজন

১১৮ কেজি (২৬০ পাউন্ড)

ট্রেনারস

Pat Patterson, Rocky Johnson, Tom Prichard

অভিষেক

১৯৯৬ সাল

অবসর

২০১৯ সাল


বৃষ রাশির জনক দ্যা রকের জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ার হাওয়ারডে, ১৯৭২ সালের ২ মে। দ্যা রক হচ্ছে তিন পুরুষের রেসলার। তার বাবা রকি জনসন এবং পিতামহ পিটার মায়াভিয়া উভয়েই ছিলেন যার যার সময়ের তারকা রেসলার। শৈশবে দ্যা রক, যার প্রকৃত নাম ডোইয়ানে জনসন, পিতামহ এবং বাবার এই খ্যাতি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। বাবার লড়াই তো রিং-এর পাশে বসে দেখেছেন বহুবার।

রক যে কেবল জনগণের চ্যাম্পিয়ন নন বরং আক্ষরিক অর্থেই একজন মহান চ্যাম্পিয়ন। এ পর্যন্ত WWF/E চ্যাম্পিয়ন হ্যেছেন ৮বার। WCW/World চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ২ বার। এছাড়া ট্যাগটিম চ্যাম্পিয়ন (৫ বার), ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়ন (২ বার), রয়েল রাম্বল (১ বার, সাল ২০০০) হয়েছেন। তিনি ৬স্ট ট্রিপল ক্রাউন চ্যাম্পিয়ন।

♦ ব্যক্তিগত জীবন : 

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১৯৯৭ সালে Danny Garcia এর সাথে তার প্রথম বিয়ে হয়। ২০০১ সালে তাদের এ ঘরে একটি সন্তান ও হয়। ২০০৭ সালে তারা আলাদা হয়ে যায়। ২০০৭ সাল থেকেই তিনি Lauren Hashian এর সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৫ সালে তাদের একটি কন্যাসন্তান জন্ম হয় যার নাম রাখা হয় জেসমিন। ২০০০ সালে 'The Rock Says...' নামক একটি অটোবায়োগ্রাফি বের করা হয় যার লেখক ছিলেন Joe Layden। 

মুভির পাশাপাশি তিনি প্রো রেস্লিংএও মাঝে মাঝে আসেন। বর্তমানে WWE তে তিনি একজন পার্টটাইমার হিসেবে কর্মরত আছেন। ছেলেবেলা থেকেই নিজের পিতা এবং দাদার মত একজন সফল প্রো রেস্লার হতে চেয়েছিলেন। এবং যতদিন রেস্লিং জগতে ছিলেন সফল ই ছিলেন। এবং একই সাথে নিজের বুদ্ধিমত্তার কারণে "অভিনয় জগত" এও নিজেকে সফল হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছেন।

মজার ব্যপার তার একটি দারুণ "গিনিজ বুকের ওয়ার্ল্ড রেকর্ড" রয়েছে। যেটি হল, তিনি ২০১৫ সালে ৩মিনিটে সর্বোচ্চ (১০৫টি) সেল্ফি তুলেছেন ফ্যান দের সাথে । এছাড়াও চ্যারিটিতে সর্বোচ্চ ১মিলিয়ন ডলার অনুদান এর রেকর্ড ও রয়েছে তার।

♦ দ্যা রকের রেসলিং ক্যারিয়ার :

• রেসলিং জগতে প্রবেশের ইতিহাস :

১৯৮৩ সালের একটি ঘটনা তার স্পষ্ট মনে আছে। তার বয়স তখন মাত্র ১১ বছর। এ বয়সের ছেলেরা মাঠে খেলাধুলা, ডাকটিকেট সংগ্রহ, কার্টুন দেখা কিংবা কমিক বই পড়া নিয়ে ব্যস্ত যখন, তখন কিশোর ডোইয়ানে রিং-এর পাশে গভীর আগ্রহ নিয়ে বসে বাবার রেসলিং দেখতেন। ১৯৮৩ সালের সে দিনটি ছিল ওয়াল্ড রেসলিং ফেডারেশনের ট্যাগ টিম শিরোপার লড়াই।

টনি এটলাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে তার বাবা রকি জনসন অবতীর্ণ হয়েছিলেন সে শিরোপা লড়াইতে। রকি-টনি জুটিই শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছিলেন। পুরো সময় গ্যালারি জুড়ে দর্শকদের মধ্যে উন্মাতাল চিৎকার ছিল- রকি! রকি! অন্য সকলের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে কিশোর ডোইয়ানেও বাবার নাম ধরে চিৎকার করছিল এক ভক্ত হিসেবে। সেই দিনের সেই উত্তেজনা আর আনন্দের কথা পিতাকে অতিক্রম করা রেসলার দ্যা রক আজো ভুলতে পারেনি। 

রেসলিং-এর প্রতি ডোইয়ানে জনসনের এই বিপুল আগ্রহের পরও কিন্তু তার পিতা কিংবা স্কুলের শিক্ষকরা ভাবেননি যে এ ছেলেটি একদিন ভাল রেসলার হতে পারবে। বরং তাদের দৃষ্টি ছিল অন্য দিকে। ডোইয়ানে জন্মগতভাবেই ছিল এক দারুন অ্যাথলেট। বিশেষ করে ফুটবলে তার পারদর্শিতা এতটাই ছিল যে, সে স্কুলে থাক্তেই অল আমেরিকার সেরা ৫০ ফুটবলারের তালিকার মধ্য ঢুকে গিয়েছিল তার নাম। ফলে কৈশোর থেকেই স্কুলে এবং এবং সমবয়সীদের মদ্যে দারুন জনপ্রিয় ছিল ডোইয়ানে। 

সে সময়েই তার মধ্যে একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখা যেতে থাকে। হয়ত ডোইয়ানে কোথাও হেঁটে যাচ্ছে, এ সময় তার কোন বন্ধু অভিনন্দন বা সম্ভাষণ জানাল তাকে। জবাবে দাঁড়িয়ে পাল্টা যে অভিবাদন জানাবে, সে স্বভাব ছিল না ডোইয়ানের। বরং হাঁটার গতি কমিয়ে ভ্রু একটু উপর দিকে উঠিয়ে বলত “তোমার শুভেচ্ছা আমি গ্রহণ করলাম।” তার এই অভ্যাসটি এখনও আছে। কৈশোরে তার এই প্রবণতার কারণে বড়দের কাছে বহুবার সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। আর এখন তার এই ভ্রু তোলার ভঙ্গিটি বাড়িয়ে দিয়েছে জনপ্রিয়তা। অনন্য এই ভঙ্গী তার ভক্তদের মাঝে অনুকরণের একটি প্রবণতা দৃশ্যমান হয় প্রায়ই।

১৯৯০ সালের শেষদিকে, ডোইয়ানে জনসন তখন ফ্লোরিডার ইউনিভার্সিটি অব মায়ামির ছাত্র। বাবা চাইতেন ছেলে তার মত রেসলার হোক। বংশের নাম রাখুক। কিন্তু ছেলে কি আসবে এই লাইনে? পিতার চিন্তা একেবারে অমূলক ছিল না। কারণ ডোইয়ানে তখন ফুটবলার হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে চলে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে দলে রক্ষণভাগে তার খেলা দেখে জাতীয় দলে তার স্থান পাওয়া নিয়ে কারও মনে কোন সন্দেহ ছিল না।

কিন্তু তরুণ ডোইয়ানে জনসনের লক্ষ্য ছিল অন্য রকম। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন তিনি ক্রিমিনোলজি নিয়ে। এ বিষয়েই গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন। তার ইচ্ছা ছিল সরকারের সিক্রেট সার্ভিসে যোগ দেওয়ার। এ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগও করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সিক্রেট সার্ভিসে যোগ দেওয়া হয়ে উঠল না। কারণ হিসেবে দ্যা রকের ভাষ্য- সিক্রেট সার্ভিসে ঝুঁকির তুলনায় পুরষ্কারের পরিমাণ খুবই কম। আকাঙ্খার পেশায় যাওয়া হলই না, অগত্যা পিতার ইচ্ছাকেই মূল্য দিলেন তিনি। যোগ দিলেন পেশাদার রেসলিং-এ। 

ডোইয়ানে জনসন পেশাদার রেসলার হিসেবে WWE (তৎকালীন WWF) রিন-এ প্রথম নামেন ১৯৯৬ সালে। প্রথা অনুযায়ী প্রথম দিন থেকেই তিনি গ্রহণ করেন পোশাকী নাম। যে নামটি তিনি গ্রহণ করেন তার মধ্যেও আছে বৈচিত্র্য। রেসলিং-এ তাদের পারবারিক ঐতিহ্য এবং নিজে যে পরিবারের ৩য় প্রজন্মের রেসলার- এ কথাটি তিনি স্মরণ করিয়ে দিলেন পেশাদারী নামটির মধ্য দিয়ে। বাবা ও নানার নামের অংশ মিলিয়ে ‘রকি মায়াভিয়া’ নামটি রাখলেন।

• জনপ্রিয়তা অর্জন :

WWE সার্কিটে অভিষেক হল তার ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে সারভাইভার সিরিজ পিপিভিতে। আসলে এই সারভাইভার সিরিজের লড়াই সাধারণত তেমন একটি গুরুত্ব পায় না বোদ্ধা মহলে। কারণ একটাই-একসাথে অনেকে লড়তে নামেন রিং-এ। ফলে অনেক রেসলারই যোগ্যতার যথাযথ পরিমাপ হয়তো এ সিরিজে সেভাবে হয়না।

কিন্তু তারপরও পেশাদারী জীবনের প্রথম লড়াই সারভাইভার সিরিজে একেবারে মাত করে দিলেন নবাগত রকি মায়াভিয়া। গ্যালারির দর্শকদের মধ্যে কেউ যে কথাটি ভাবেনি, তাই করে দেখালেন তিনি। সকলকে অবাক করে দিয়ে সোল সারভাইভার হয়ে গেলেন রকি। 

দর্শকদের মাঝে শুরুতে দারুন গুঞ্জন উঠল- কে এই রকি মায়াভিয়া? পরে নাম দেখে অনেকেই বুঝতে পারলেন পিটার মায়াভিয়ার নাতি আর রকি জনসনের যোগ্য পুত্র এই রকি মায়াভিয়া নামের জ্বলজ্বলে তারকাটি। সুদর্শন রকি প্রথম ম্যাচেই পেয়ে গেলেন বিপুল ভক্ত ও সমর্থক।

• জনপ্রিয়তা হ্রাস এবং তার সমাধান :

সে সময় ট্রিপল এইচও একজন উঠটি তারকা। অনেকেই ভাবল এই দু’জনের লড়াই হলে বেশ হয়। দিন কয়েকের মধ্যে মুখোমুখি হলেন তারা ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়নশিপে এবং রকি ম্যাচটি জিতে নেন, কিন্তু দর্শকদের মন ভরাতে পারলেন না।

আস্তে আস্তে তার নিন্দুকের সংখ্যা বাড়তে থাকল। তার সমর্থকরা রাগে, ক্ষোভে মন্তব্য করলো-এত ভদ্রতা দিয়ে আর যাই হোক রেসলিং হয় না। রেসলিং-এ সফলতা তথা তারকাখ্যাতি পেতে হলে আরও বেপরোয়া, আরও রুক্ষ-নির্দয় হওয়া দরকার। বিষয়টি রকি নিজেও উপলব্ধি করলেন, সিদ্ধান্ত নিলেন- পাল্টাতে হবে নিজের অতি ভালমানুষী ইমেজ।

ঠিক এই সময়েই সমস্ত ভক্তকে বিস্মিত করে তিনি যোগ দিলেন বিতর্কিত গ্রুপ ‘নেশন অব ডোমিনেশন’ স্টেবলে। এই স্টেবলের তখন নেতা ছিলেন আরেক কীর্তিমান রেসলার ফারুক। বিতর্কিত একটি গ্রুপে তার এই যোগদানকে প্রকাশ্যে যে যাই বলুক না কেন, দ্যা রক পরবর্তীকালে প্রমাণ করেছেন যে, তার সেদিনের সে সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক। 

আসলে রেসলিং-এর অনেক জটিল কলাকৌশল আয়ত্তে নিতে পেরেছিলেন তিনি সে সময়েই। নেশন অব ডোমিনেশনের নেতা ফারুক তখন রেসলিং জগতে বেশ সুপ্রতিষ্ঠিত নাম। কিন্তু রকি দলে যোগ দেওয়ার পর কয়েকটি ম্যাচের মাধ্যমেই পরিবর্তিত হয়ে গেল জনপ্রিয়তার ব্যারোমিটার।

দেখা গেল আগে ফারুক রিংএ প্রবেশের সময় যেরকম উল্লাস দেখা যেত দর্শকদের মধ্যে, তার অনেকটাই যেন রাতারাতি কমে গেছে। বিপরীত দিকে দ্বিগুণ সমর্থন, উল্লাস দেখা গেছে রকির উপস্থিতির সাথে সাথে। এর পরেও নেশন অব ডোমিনেশনে প্রথমে কয়েক মাসে পুরো দল এবং দলপতির প্রতি দারুণ অনুগত ছিলেন রকি।

• 'দ্যা রক' নামের সূচনা :

ঠিক এ সময়েই, একটি দলের সাধারণ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও দারুণ জনপ্রিয়তা যখন তার, নাম পরিবর্তন করলেন তিনি। রকি মায়াভিয়া থেকে এক রাতে বনে গেলেন ‘দ্যা রক’। অবশ্য তার এই নাম পরিবর্তনের পেছনে দর্শকদেরও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

একদিন এক দারুণ পারফরমেন্স দেখানোর পর দর্শকরা রকি, রকি বলে চিৎকার করছিল। তারা উচ্চারণের সুবিধার জন্যে রকি মায়াভিয়াকে কেবল রকিতে পরিণত করে নিয়েছিলেন। কিছু সময় পর আরও সংক্ষেপিত হয়ে তা দাড়াল কেবল রক-এ। নতুন এ নামটি তারও মনে ধরল, রকি মায়াভিয়া পরিণত হলে ‘দ্যা রক’-এ।

• অস্টিনের সাথে ফিউড :

১৯৯৭ সালটি বলা যায় রকের জন্য স্মরণীয় বছর। সে সময় তিনি তৎকালীন ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়ন স্টোন কোল্ড স্টিভ অস্টিনের সাথে ফিউডে জড়িয়ে পরেন। অস্টিন তখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। আর রক সবে উঠতি তারকা।

১ম মোকাবেলায় রক, অস্টিনের কাছে হারলেও ২য় দফায় ঠিকই তার থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নেন। রকের পারফরম্যান্স অস্টিনকে মুগ্ধ করে। তিনি বলেন, ‘এত দিনে লড়াই করার মত সত্যিকারের একজনকে পেয়েছি।’ তার এ মন্তব্য যে কিছুমাত্র বাড়িয়ে বলা ছিল না, তা প্রমাণিত হতে খুব একটা সময় লাগেনি।

• ট্রিপল এইচের সাথে ফিউড :

রকের জনপ্রিয়তার পিছে অস্টিন-রক ফিউড প্রভাবক হিসেবে কাজ করলেও দর্শকরা সম্ভবত সবচেয়ে বেশী উপভোগ করেছে রক আর ট্রিপল এইচ ফিউডটি। বিশেষ করে ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত সামারস্লামে রক আর ট্রিপল এইচের মধ্যকার ম্যাচটি দর্শক হৃদয়ে মর্যাদার অন্যতম আসন দখল করে নিয়েছে। রক তখন ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়ন। পূর্ববর্তী ৯ মাস ধরে বেল্টটি শোভা পাচ্ছিল তার কোমরে। এর আগে এত দীর্ঘ সময় খুব কম রেসলারই এই কাজটি করে দেখিয়েছিল। 

অপরদিকে ট্রিপল এইচও তখন এই জগতের সেরা রেসলারদের ১ম সারিতে অবস্থান করছিল। শিরোপা নির্ধারণের জন্য Stipulation ছিল এটি হবে ল্যাডার ম্যাচ। দু’জনের আলোচিত সেই লড়াই চলেছিল পুরো ৪৫ মিনিট। WWE-এর ইতিহাসে এ লড়াইটিকে এখনো শ্রেষ্ঠ ম্যাচগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দুই সুপার স্টারই প্রাণপণে লড়েছিলেন তাতে। দর্শকরা উভয়েরই দারুণ সব কৌশল দেখেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রককে হেরে যেতে হয়। বেল্ট চলে যায় ট্রিপল এইচের দখলে। 

বেল্ট হারালেও রক জয় করে নেন আরো বড় কিছু, আর তা হল দর্শকদের ভালবাসা। ট্রিপল এইচ যখন বেল্ট নিয়ে রিং ছাড়ছিলেন তখনও দর্শকদের কন্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল-‘রকি, রকি, রক!’ আসলে ১৯৯৮ সালের সেই সামার স্লামে পরাজয়ের মধ্য দিয়েই জনগণের চ্যাম্পিয়নে (The People's Champion) পরিণত হন দ্যা রক।

• রেসলিং থেকে বিরতি নিয়ে হলিউডে প্রবেশ :

২০০০ সালের পরে তিনি হলেন পুরোদমে ফেস রেসলার, Attitude Era এর মেইন ফেস হয়ে যাওয়ার পরে তার ফ্যান সাপোর্ট আরো বেড়ে গিয়েছিল। তিনি দিয়েছেন অনেক ঐতিহাসিক ম্যাচ যেমন Steve Austin, The Undertaker, Triple H, Mankind, Kurt Angle -দের সঙ্গে খেলা তার ম্যাচ। এছাড়াও তিনি রেসেলমেনিয়ার দুই ড্রিম ম্যাচের সাক্ষী ছিলেন, যথাক্রমে- Hulk Hogan, John Cena এর বিরুদ্ধে।

২০০৩ সালে তিনি এক্টিভ রেসলার হিসেবে WWE ত্যাগ করে হলিউডে প্রবেশ করেন, তাছাড়া অনেক বিখ্যাত মুভি যেমন Fast & Furious, The Rundown, Scropian King, Doom প্রভৃতির মূল নায়ক হিসেবেও অভিনয় করেছেন। এখনো তিনি অসামান্য একজন অভিনেতা হিসেবে হিট সিনেমা করে যাচ্ছেন।

• WWE তে রিটার্ন ও সিনার সাথে ফিউড :

দীর্ঘ ৭ বছরের পরে ২০১১ আসলের ১৪ই ফেব্রুয়ারি দ্যা রক Raw তে রিটার্ন করেন এবং সেখানে তাকে WrestleMania XXVII এর হোস্ট হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সেখানে দর্শকদের চরম উৎসাহের মধ্যে রক জন সিনার সাথে ফিউড শুরু করেন। WrestleMania XXVII তে রক সিনাকে অ্যাটাক করে যারফলে সিনা WWE চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে ব্যর্থ হয়।

এরপরে রক এবং সিনার মধ্যে অসাধারণ কিছু প্রোমো কাট করা হয়, বিশেষ করে রক এইসব প্রোমোর মাধ্যমে দর্শকদের চরমভাবে বিনোদন দেন।  ২০১২ সালের ১লা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত রেসেলমেনিয়া XXVII বা ২৮ এ দ্যা রক সিনাকে ঐতিহাসিক ম্যাচে পরাজিত করেন।  রক ও সিনার এই ম্যাচটা ছিল প্রফেশনাল রেসলিং ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী বিক্রিত পেইপারভিউ ইভেন্ট। এরপরে রক তার WWE চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।

• পাঙ্কের সাথে ফিউড ও WWE চ্যাম্পিয়নশিপ জয় :

'Raw 1000' স্পেশাল এপিসোডে দ্যা রক রয়্যাল রাম্বালে WWE চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ খেলার কথা বললে তৎকালীন WWE চ্যাম্প সি এম পাঙ্কের সঙ্গে তার ফিউড শুরু হয়। ফিউড চলাকালীন পাঙ্কের হয়ে দ্যা শিল্ড রককে অ্যাটাক করলে ভিন্স মিকম্যান শর্ত দেন যে পাঙ্কের সাথে রকের চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে শিল্ড ইন্টারফেয়ার করলে পাঙ্কের কাছ থেকে টাইটেল কেড়ে নেওয়া হবে।

২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত Royal Rumble পিপিভিতে রক ও পাঙ্কের চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ লাইট বন্ধ হয়ে যায় এবং রককে কেউ বা কারা অ্যাটাক করে। তখন ভিন্স এসে পাঙ্ককে টাইটেলচ্যুত করতে চাইলে রক সেই ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। সেই ম্যাচে পাঙ্ককে পরাজিত করে দ্যা রক অষ্টমবারের মতো WWE চ্যাম্পিয়নশিপ জয়লাভ করে।

পরে  Elimination Chamber পিপিভিতে দ্যা রক পাঙ্কের বিরুদ্ধে টাইটেল ডিফেন্ডে সক্ষম হয়। পরের Raw তে WWE চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্টের নতুন ডিজাইনের উদ্বোধন করা হয় যার সাইড প্লেটে রকের  "Brahma Bull" লোগো ছিল।  এরপরে রক রয়্যাল রাম্বাল বিজয়ী জন সিনার সাথে পুনরায় ফিউড শুরু করে।

• সিনার কাছে টাইটেল হারানো ও ইনজুরি :

৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত রেসেলমেনিয়া ২৯ এ জন সিনা দ্যা রককে পরাজিত করে নতুন WWE চ্যাম্পিয়ন হয়, যার ফলে রকের ৭০ দিনের টাইটেল রেইন সমাপ্ত হয়। এরপরে আবার রকের টাইটেল রিম্যাচ পাওয়ার কথা থাকলেও সিনার সঙ্গে ম্যাচটিতে হওয়া গুরুতর ইনজুরির কারণে তা বাতিল করা হয় এবং রকের টেনডন জোড়া দেওয়ার সার্জারি করতে হয়। এরপরে রক আর সিরিয়াসলি রেসলিং করেননি।

পরে দ্যা রক ২০১৪ সালের  WrestleMania XXX এর ওপেনিং সেগমেন্টে অস্টিন ও হোগানের সঙ্গে উপস্থিত হয়। ২০১৫ এর রয়্যাল রাম্বালে রক তার সম্পর্কিত রেসলার রোমান রেইন্সকে বিগ শো ও কেইনের বিরুদ্ধে সাহায্য করে। রেসেলমেনিয়া ৩১ এ রক এবং  Ronda Rousey মিলে ট্রিপল এইচ ও স্টেফানি মিকম্যানকে ফেস অফ করে।

২০১৬ সালের রেসেলমেনিয়া ৩২ এ রক উপস্থিত হয়ে দর্শকদের জানায় যে এইবারে রেসেলমেনিয়া ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক লোক ইভেন্টটি অ্যাটেন্ড করেছেন, তখন The Wyatt Family তাকে ইন্টারাপ্ট করে।  এর ফলে  Erick Rowan এর সঙ্গে দ্যা রকের তৎক্ষণাৎ ম্যাচ ঠিক হলে মাত্র ৬ সেকেন্ডে রক এরিককে রক বটম মেরে পিন করে জিতে যায়। এটা রেসেলমেনিয়া ইতিহাসে দ্রুততম জয় ছিল। এরপরে জন সিনা এসে রককে Wyatt ফ্যামিলির বাকি মেম্বারদের বিরুদ্ধে সাহায্য করে।

• দ্যা রকের রেসলিং থেকে অবসর :

২০১৯ এর ৩রা আগস্টে দ্যা রক অফিসিয়ালি তার রেসলিং থেকে অবসরের ঘোষণা করে। এরপরে স্ম্যাকডাউনের ২০ তম অ্যানিভার্সারিতে রক এসে বেকি লিঞ্চ এর সাথে একটা প্রোমো কাট করলে  King Corbin তাতে বাঁধা দেয়। তখন দ্যা রক করবিনকে অ্যাটাক করে বিদায় করে এবং বেকির সাথে সেই দিবস উদযাপন করে।

এরপরে ২০২০ সালে ইমপ্যাক্ট রেসলিং এর Bound for Glory পিপিভিতে ভিডিও ম্যাসেজের মাধ্যমে রক  Ken Shamrock কে ইমপ্যাক্ট হল অফ ফেমে ইন্ডাক্ট করে।

দ্যা রক প্রতিবার আসলেই ফ্যানদের চিয়ারে পুরো এরিনা ইলেক্ট্রিফাইং হয়ে যায় এবং মাইক হাতে নিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন তিনি। তাই আশা করি রেসলিং থেকে অবসর নিলেও তিনি মাঝে-সাঝে স্পেশাল আপিয়ারেন্স করতে থাকবেন।

♦ হলিউড অভিনেতা হিসাবে Dwayne Johnson :

রেসলিং এর পাশাপাশি রুপালী পরদাতেও রক মারাত্মক সফল। তার আগে ও পরে অনেকেই রূপালী পর্দাতে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করেছে, কিন্তু কেউই তার মত সফল হয়নি। ১৯৯৯ সাল থেকেই ছোটোখাটো স্থানে অভিনয় করেন তিনি। 

"That 70's show" নামক একটি শো তে তিনি প্রথমে তার পিতার চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়াও বিভিন্ন শো এর দু এক পর্বে হঠাত বিঠাত গেস্ট এপিয়ারেন্স হিসেবে তাকে দেখা যায়। তবে 'বক্স অফিস' ধামাকা শুরু হয় ২০০০ সালের পরে যেখানে তিনি ২০০১ সালে 'The Mummy Returns' নামক মুভির মাধ্যমে অভিষেক ঘটান।

পরবর্তীতে আরো অনেক অসাধারণ মুভির মাধ্যমে আমাদের এখনো বিনোদিত করে যাচ্ছেন। ক্যারিয়ারে তিনি বিভিন্ন রকমের একশন-থ্রিলিং-কমেডি মুভিতে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বর্তমান জেনারেশন এর সবচেয়ে বিখ্যাত সিকুয়েল সাগা "Fast and the furious" এর ৫ম সিকুয়েলে তিনি সর্বপ্রথম কাজ করেন। এবং পরবর্তী ৬ষ্ঠ, ৭ম সিকুয়েলেও তিনি আছেন।

• তার এখন পর্যন্ত্য করা সকল মুভিসমূহ :

  • Beyond the Mat (১৯৯৯)
  • Longshot (২০০০)
  • The Mummy Returns (২০০১)
  • The Scorpion King (২০০২)
  • The Rundown (২০০৩)
  • Walking Tall (২০০৪)
  • Be Cool (২০০৫)
  • Doom (২০০৫)
  • Gridiron Gang (২০০৬)
  • Reno ৯১১!: Miami (২০০৭)
  • Southland Tales (২০০৭)
  • The Game Plan (২০০৭)
  • Get Smart (২০০৮)
  • Race to Witch Mountain (২০০৮)
  • Planet ৫১ (২০০৯)
  • Tooth Fairy (২০১০)
  • Why Did I Get Married Too? (২০১০)
  • The Other Guys (২০১০)
  • You Again (২০১০)
  • Faster (২০১০)
  • Fast Five (২০১১)
  • Journey ২: The Mysterious Island (২০১২)
  • Snitch (২০১৩)
  • G.I. Joe: Retaliation (২০১৩)
  • Pain & Gain (২০১৩)
  • Fast & Furious ৬ (২০১৩)
  • Empire State (২০১৩)
  • Hercules (২০১৪)
  • Furious ৭ (২০১৫)
  • San Andreas (২০১৫)
  • Central Intelligence (২০১৬)
  • Moana (২০১৬)
  • Fast & Furious 8 (২০১৭)
  • Baywatch (২০১৭)
  • Jumanji: Welcome to the Jungle (২০১৭)
  • Rampage (২০১৮)
  • Skyscraper (২০১৮)
  • Fighting with My Family (২০১৯)
  • Fast & Furious: Hobbs & Shaw (২০১৯)
  • Jumanji: The Next Level (২০১৯)
  • Red Notice (২০২১)
  • Jungle Cruise (২০২১)
  • Black Adam (২০২২)

• মুভি জগতের কিছু অর্জন :

  • ২০০১: Teen Choice Awards – Choice Movie Villain
  • ২০১২: CinemaCon Action Star of the Year
  • ২০১৩: Kids Choice Awards – Favorite Male Butt Kicker
  • ২০১৬: People's Choice Award – Favorite Premium Cable TV Actor
  • ২০১৬: People Magazine Sexiest Man Alive
  • ২০১৭: Star on the Hollywood Walk of Fame
  • ২০১৭: People's Choice Award for Favorite Premium Series Actor

♦ দ্যা রকের ব্যাপারে অজানা কথা :

১) The Rock WWE ইতিহাসের সর্বপ্রথম Third Generation রেসলার এবং World Champion.

২) তার নানা ও বাবা রেসলিং করতেন, বংশের পেশা অনুযায়ী তার রেসলার হবার কথা থাকলেও The Rock প্রথমে রেসলার হতে চাননি। 

) The Rock ছোটবেলা থেকেই সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন। মাছ ধরা তার প্রিয় শখ

) The Rock সমুদ্রে খুব দক্ষ ভাবে ডুব দিতে পারেন এবং Surfing করতে পারেন। সমুদ্রের দক্ষ মাছ শিকারো করতে পারেন। 

) The Rock একমাত্র রেসলার যিনি Oscar Gala তে আমন্ত্রিত হয়েছেন। 

The Rock WWE এর সবচেয়ে ধনী রেসলার। তার পুরো এক বছরে আয় ১.৪৭ বিলিয়ন ডলার। 

) The Rock এর Mic Skill কে WWE এর #১ নাম্বার Mic Skill বলে অফিশিয়ালি গণ্য করা হয়

) ২০০০ সালে করা The Rock এর এন্টেরেন্স থিম,"The Rock Says" সেইবছরের সেরা Entrance Theme এওয়ার্ড পায় এবং বেশিবার বিক্রিত/ডাউনলোড হয়

) The Rock সর্বপ্রথম "If you Smell What Rock is Cooking" ডায়ালগ টি বলেন Wrestlemania XIV তে। 

১০) তিনি একমাত্র রেসলার যিনি তিন যুগের তিন বিখ্যাত রেসলার এর সাথে Wrestlemania তে খেলেছেন। (Hulk Hogan, Steve Austin,John Cena)

১১তিনি বাস্তবে Shawn Micheals কে পছন্দ করেন না, কারণ Shawn তাকে ফালতু রেসলার বানাতে চেয়েছিল এবং তার নানীর সাথে Sexual Harassment করেছিলেন। তার সাথে আজ পর্যন্ত কোন সিঙ্গেল ম্যাচ খেলেনি

১২তিনি একমাত্র রেসলার যিনি ২ মাসেই তিনবার WWE Champion হন। 

১৩) যেদিন তিনি প্রথম WWE তে Debut করেন সেদিন তিনি Survivor Series এলিমিশন ম্যাচে Soul Surviver হন। 

১৪তিনি যেদিন প্রথম WWE চ্যাম্পিয়ন হন, সেদিন তার বাবা-নানা Tag Team Champion হয়েছিলেন। 

১৫তিনি Attitude Era এর মেইন ফেস এবং পোস্টার বয়। 

১৬তার বাস্তব জগৎতের বেস্ট ফ্রেন্ড হলো John Cena, Steve Austin, Booker T, Jerry Lawler, Bret Hart সহ অনেকেই। 

১৭তার মতে তার সবচেয়ে সেরা অপনেন্ট Steve Austin. তার শকিং ক্যারিয়ার হার হলো Hurricane এর সাথে রোল-আপে হারা। 

১৮তিনি WWE তে এক বছরে সর্বোচ্চ ১৩ Million ইনকাম করেছেন

১৯) তিনি একজন সেরা অভিনেতা। Fast Furious, Fast Five, The Scropian King সহ অনেক হিট সিনেমা করেছেন। তিনি WWE এর পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ও সেরা নায়ক। 

২০তিনি অধিকাংশ সিনেমা তে মেইন হিরো ছিলেন। সর্বপ্রথম Doom সিনেমাতে ভিলেন চরিত্রে আসেন। 

২১তিনি দৈনিক ছয়বার খান, তিনি এরচেয়ে বেশিখান। প্রতিবারে তিনি তিনজন মানুষের সমান খাবার খান। 

২২তার ফেভারিট খাবার হলো Chocolate Pie. এবং তিনি ড্রিংক করতেও ভালবাসেন। 

২৩তিনি প্রচুর টাকার মালিক হলেও, সাদাসিধে জীবন-যাপন করতে পছন্দ করেন। তিনি তার চ্যারিটি তে প্রতিমাসে ১ মিলিয়ন অর্থ দান করেন। 

২৪তিনি নিয়মিত ট্রেইনিং করেন। এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপন করেন। 

২৫তাকে যখন ব্যাকস্টেজে পলিটিশিয়ান Triple H,Shawn জব্বার বানাতে গেলেও পারেনি তখন Triple H নিজে বলেছিলেন "He is a God Gifted Wrestler"

২৬তিনি সর্বশেষ WCW চ্যাম্পিয়ন। 

♦ রেসলিং জগতে অর্জন সমূহ :

Pro Wrestling Illustrated

Match of the Year (১৯৯৯) vs. Mankind in an "I Quit" match at Royal Rumble

Match of the Year (২০০২) vs. Hollywood Hulk Hogan at WrestleMania X৮

Most Popular Wrestler of the Year (১৯৯৯, ২০০০)

Wrestler of the Year (২০০০)

Ranked No. ২ of the top ৫০০ singles wrestlers in the PWI ৫০০ in ২০০০

United States Wrestling Association

USWA World Tag Team Championship (২ বার) – with Bart Sawyer

Wrestling Observer Newsletter

Best Box Office Draw (২০০০, ২০১১, ২০১২)

Best Gimmick (১৯৯৯)

Best on Interviews (১৯৯৯, ২০০০)

Most Charismatic (১৯৯৯

Most Improved (১৯৯৮)

Wrestling Observer Newsletter Hall of Fame (Class of ২০০৭)

WWE/World Wrestling Entertainment/Federation

WCW Championship (২ বার)

WWE Championship (৮ বার)

WWF Intercontinental Championship (২ বার)

WWF Tag Team Championship (৫ বার) – with Mankind (৩), The Undertaker (১), এবং Chris Jericho (১)

Royal Rumble (২০০০)

Sixth Triple Crown Champion

Deadly Games WWF Championship Tournament (১৯৯৮)

Slammy Award

Best Actor (২০১৪)

Game Changer of the Year (২০১১) – with John Cena

Guess Who's Back or: Return of the Year (২০১১)

LOL! Moment of the Year (২০১২, ২০১৩) – insulting John Cena using the history of Boston, Massachusetts, Rock Concert on the ২০th anniversary episode of Raw

Match of the Year (২০১৩) – vs. John Cena for the WWE Championship at WrestleMania ২৯

New Sensation (১৯৯৭)

"Tell Me You Didn't Just Say That" Insult of the Year (২০১৪) – insulting Rusev এবং Lana

"This is Awesome" Moment of the Year (২০১৫) – with Ronda Rousey


• লেখক : শাফকাত নাওয়াজ গুড্ডু ও রেসলিং বাংলা।

THE ROCK : দ্যা রক

আপনারা সকলেই হয়তো জেনে ফেলেছেন যে Dublin এ অনুষ্ঠিত Live Event এ Seth Rollins এবং Kane এর মধ্যকার No Disqualification Match এ Seth পায়ে খুবই মারাত্নক একটি ইঞ্জুরি পায়। যা ACL/MCL/Medical Mensicus Tears নামে পরিচিত। যার জন্য কিছুক্ষন আগে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে Seth Rollins এর টাইটেল টি ভ্যাকেটেড করা হবে এরপরের RAW তে!


শুধু তাই নয় Seth Rollins আগামি ৬ বা ৭ মাস খেলতে পারবেন না। তাই WWE এইবারের Survivor Series পিপিভিতে Roman vs Seth ম্যাচটি বাদ দিয়েছে।


তার বদলে 4 or 6 Man Single Elimination ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে WWE World Heavyweight Title ম্যাচের জন্য।


WWE কর্মকর্তা রা খুবই হতাশ এই Unexpected ইঞ্জুরির জন্য। Seth এর এই ইঞ্জুরি জন্য বদলে যেতে পারে পুরো স্টোরিলাইন এবং ব্যাপক আকারে চেইঞ্জ আসবে। Seth এর জায়গায় Authority তে অন্য কাউকে নেওয়া হতে পারে, তবে কোন ফেস রেসলার কেই হিল করে Authority তে ঢোকানোর প্ল্যান চলছে।


Seth যাইহোক একটা চরম হিল এবং হিট পাওয়া রেসলার ছিল। তার স্কিল এবং ক্রাউড হিট করার মত পাওয়া আছে এবং এক্টিভ এবং ব্যালেন্সেড হিল চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। বর্তমানে কোম্পানি তে Rusev,Randy Orton, Sami Zayn,Tyson Kidd, Hideo Itami সহ বেশ কিছু রেসলার একসাথে ইঞ্জুরিতে পড়ায় WWE বেশ বড়সর বিপদে পড়েছে। হিল এবং ফেস এর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে ।


Brock এবং John Cena লিভ নিয়েছেন কয়েকমাসের জন্য। অপরদিকে বর্তমানে এক্টিভ থাকা একমাত্র টপকার্ড Roman Reigns অন্যতম ফেস হলেও, সে রেটিং বাড়ানোর মত কিছু করতে পারছে না। সেইসাথে দিনদিন স্ক্রিপ্টের মান বাজে ও প্রেডিক্টেড হচ্ছে এবং রেটিং তলানি তে গিয়ে ঠেকেছে। Seth এই ইঞ্জুরি বলতে গেলে WWE কর্মকর্তাদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে ... এখন দেখা যাক কি হয়...



#ক্রেডিট: আতিক শাহরিয়ার অনন্ত



★ব্রেকিং নিউজ: রলিন্সের ইঞ্জুরির কারনে টাইটেল ভ্যাকান্ট করে দেওয়া হবে।


আসল নাম

Steven James Anderson

জন্মদিন

১৮ই ডিসেম্বর, ১৯৬৪

জন্মস্থান

Austin, Texas, US

বাসস্থান

California, US

উচ্চতা

৬  ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮  মি)

ওজন

১১৪ কেজি (২৫২ পাউন্ড) 

ট্রেনার

Chris Adams

অভিষেক

৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৯

অবসর

৩০ মার্চ, ২০০৩


যদি প্রশ্ন করা হয় অ্যাটিটিউড এরার তারকা কারা, আপনারা বলবেন শন মাইকেলস, কেইন, দ্যা রক, ম্যানকাইন্ড, দি আন্ডারটেকার, ভিন্স ম্যাকম্যান, দ্যা বিগ শো এবং কার্ট এঙ্গেল। যদি প্রশ্ন করা হয় এটিচুড ইরারর সবচেয়ে বড় তারকা কে? তাহলে আমার মনে হয় সবাই এক বাক্যে একটি নামই বলবে টেক্সাস র‍্যাটল স্নেক স্টোন কোল্ড স্টিভ অস্টিন। স্টিভ অস্টিন যে দারুণ জনপ্রিয় একজন রেসলার তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

একবার তারকাদের জনপ্রিয়তার উপর এক জরীপ চালান হয়। জরীপে প্রশ্ন ছিল চলচ্চিত্র, টেলেভিশন, সঙ্গীত, ক্রীড়া, মডেলিং-এই শাখাসমূহে বিচরণকারী নারী-পুরুষদের মাঝে আপনার প্রিয় তারকা কে? ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রাপ্ত সেসব উত্তর যখন গ্ণনা করা হল, দেখা গেল এসেছে স্টিভ অস্টিনের নাম। প্রতিযোগিতা আয়োজনকারীদের কাছে এই ফলাফল ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। এতেই প্রমাণিত হয় এটিচুড ইরাতে কি পরিমাণ জনপ্রিয় ছিলেন স্টিভ অস্টিন।

STONE COLD STEVE AUSTIN : স্টোন কোল্ড স্টিভ অস্টিন


আসল নাম: Zachary Mark Gowen

জন্মদিন: March 30, 1983

জন্মস্থান: Ypsilanti, Michigan, US

বাসস্থান: Plymouth, Michigan, US

উচ্চতা: 5 ft 11 in (1.80 m)

ওজন: 155 lb (70 kg)

ট্রেনারস: Tommy Johnson, Truth Martini

অভিষেক: March 16, 2002

কালের পরিক্রমায় হয়তো অনেক কিছুই হারিয়ে যায়। কথাটা হয়তো সত্যি ! আবার হয়তো না ! কারণ যতদিন রেসলিং আছে ততদিন হয়তো সবাই রক, অস্টিন, সিনা, রেনডিদের নিয়েই থাকবে। কিন্তু ইতিহাসে অনেক রেসলার ছিলেন যারা শত প্রতিকূলতার পরেও আমাদের আনন্দ দিয়ে গেছেন। আজ আমরা জানবো ইতিহাসের এক পা বিশিষ্ট বা One Legged Legend Zach Gowen এর সম্পর্কে।

Zach Gowen : জাচ গোয়েন


আমরা (প্রায়) সবাই বর্তমানে রেসলিং বলতে শুধু WWE কেই বুঝি এবং এইরকম ভাবার কারণও আছে যথেষ্ট, অন্যান্য প্রো-রেসলিং কোম্পানিগুলি পপুলারিটী এবং ইনকামে WWE এর থেকে বহু-বহু দূরে অবস্থিত, তাই অদুর ভবিষ্যতে যে রেসলিং এর ধারনা পালটাবে এমনটা আমার মনে হয়না। 

সে যাইহোক, আমাদের অনেকেরই জানার ইচ্ছা থাকে যে এই WWE এর শুরুর শুরু হয় কোথা থেকে? কিকরে এলো এই WWE? এইসব প্রশ্নের উত্তর যারা জানেন তারা পোস্টটা সেফলি ইগ্নোর করতে পারেন কিন্তু যারা জানেননা তাদের জন্যই এই পোস্টটী লিখতে শুরু করছি…। 

এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা বর্তমানে WWE নামে পরিচিত কোম্পানিটির শুরু, উত্থান, পতন প্রভৃতি বিষয়ে অনেককিছু জানতে পারবেন এবং এছাড়াও অন্যান্য রেসলিং কোম্পানিগুলির সম্বন্ধে কিছু বেসিক জিনিস জানতে পারবেন। আশা করি আপনাদের ধৈর্যশীলতার পরিচয় পাবো এই পোস্টের মাধ্যমে কারন পোস্টটি আকারে যথেষ্টই বড় যদিও অতি অল্প সময়ে লেখা। আপনাদের সুবিধার জন্য পোস্টটিকে কয়েকটি পয়েন্টে ভাগ করে দিব, তাহলে আর বেশী না বকে শুরু করা যাক –

•• শুরুর শুরু, NWA :- এইসবকিছুর শুরুর শুরু হয় The National Wrestling Alliance বা NWA থেকে। “Alliance” শব্দের অর্থ হল সঙ্ঘ বা জোট, NWA প্রকৃতপক্ষে ছিল কয়েকজন প্রবর্তকদের মিলিত সঙ্ঘ বা পরিচালনা পর্ষদ, এই প্রবর্তক (বা প্রোমোটার) –রা আগেকার দিনে নিজ নিজ এলাকায় আঞ্চলিক স্তরে নিজেদের মতো করে প্রো রেসলিং চালাতো, এবং এদের রেসলারেরাও মূলত সেইসব নির্দিষ্ট অঞ্চলেই জনপ্রিয় ছিল, এরা আলাদা আলাদা থাকায় এদের পপুলারিটি বা সংগঠনও ছিল খুব নিম্নমানের। পরবর্তিতে ১৯৪৮ সালে এদের জোট থেকেই NWA এর উৎপত্তি হয়।

জোট হবার পর থেকে তাদের সবাইয়ের মধ্যে একটিই চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্ট থাকতো অর্থাৎ চ্যাম্পিয়নও থাকতো একটায় 😛 । এখন এদের মধ্যে মাঝে মাঝেই চ্যাম্পিয়ন নিয়ে টানাটানি পরতো, কারন একজন রেসলার দেশের একটী অংশে ফেমাস হলেই যে সে অন্য অংশেও ফেমাস হবে তার কোন মানে নাই। প্রত্যেক প্রোমোটারই নিজেদের এলাকাতে পপুলার কোন রেসলারকে চ্যাম্পিয়ন হিসাবে দেখতে চাইতো, তাই এদের মধ্যে ঝামেলা তো লাগারই ছিল।  

•• WWWF এবং WWF এর উৎপত্তি :-  এদের মধ্যে উত্তরপূর্বের প্রোমোটারেরা ছিল বাকিদের থেকে অধিক ক্ষমতাবান এবং অর্থবানও বটে, তাই এরা সবসময় নিজেদের জোর খাটাবার চেস্টা করতো। বাডি রজার্স (Buddy Rogers) ছিল তখনকার চ্যাম্পিয়ন যে ছিল উত্তর পুর্বে ফেমাস তাই তখন বাকি দিকের প্রোমোটারেরা মিলে ঠিক করলো যে চ্যাম্পিয়ন এমন কাউকে করা হবে যে উত্তরপূর্বে পুপুলার নয়। 

যেমন ভাবা তেমন কাজ, তারা মিলিতভাবে ভোটের মাধ্যমে (উত্তরপুর্বে ফেমাস নয় এমন একজন রেসলার) Lou Thez কে চয়ন করলো এবং সে Buddy কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল, যেটা উত্তরপূর্বের প্রোমোটারেরা (বিশেষ করে ভিন্স মিকম্যান সিনিয়র) মেনে নিতে পারলো না। আর উত্তরপুর্বের হাতে সেরকম ক্ষমতাও ছিল ফলে বাকি দিকের প্রোমোটারদের থেকে তথা NWA থেকে আলাদা হয়ে এরা নিজেদের একটা আলাদা রেসলিং ফেডারেশন খুলে বসলো এবং এর নাম দিল World Wide Wrestling Federation বা WWWF। 

এই ফেডারেশনের মধ্যে সবথেকে পাওয়ারফুল প্রোমোটাররা ছিল ভিন্স মিকম্যান সিনিয়র (Vince McMahon Sr.) এবং টুটস মন্ড্‌ট (Toots Mondt)। ১৯৭৬ সালে Mondt –এর মৃত্যুর পরে WWWF তার নাম পরিবর্তন করে WWF (World Wrestling Federation) করে নেয়।

•• মালিক পরিবর্তন এবং ভিন্স মিকম্যানের আগমন :- ভিন্স মিকম্যান সিনিয়র ছিলেন খুবই গোঁড়া প্রকৃতির মানুষ এবং তিনি ভাবতেন রেসলারদেরকে সবাইয়ের নজরের বাইরে তথা স্পটলাইটের বাইরে রাখা উচিত। হাল্ক হোগান একটা মুভিতে অংশগ্রহন করাতে ভিন্স (সিনিয়র) তাকে ফায়ার করে দেন, যেটি ছিল ভিন্সের গোঁড়ামির মোক্ষম উদাহরণ। ১৯৮৩ সালে ভিন্স মিকম্যান সিনিয়র, WWF কে তার পুত্র ভিন্স মিকম্যানকে বিক্রি করে দেন (হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন, ভিন্সের ফ্যামিলি এরকমই, বাপের পরে বেটা সামলায় না, বেটাকে কিনে নিতে হয়, মজা করছি)। 

ভিন্স মিকম্যান (সিনিয়রের পুত্র) ছিলেন অতিরিক্ত চালাক এবং দূরদর্শিতা সম্পন্ন মানুষ। অন্যান্য রেসলিং কোম্পানিদের বিপরীতে ভিন্সের মাথায় ছিল যে কেবল (Cable) টিভির রাজত্ব বেড়েই চলেছে এবং এর ফলে রেসলিং আর শুধুমাত্রই আঞ্চলিক স্তরে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না, একে গ্লোবাল স্তরে নিয়ে যেতে হবে। 

ভিন্স সবচেয়ে আগে হাল্ক হোগানকে রিসাইন করেন এবং তাকে ব্রান্ড আম্বাস্যাডরের মতো ব্যবহার করে তার কোম্পানির জনপ্রিয়তাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। এরপরে আলাদা আলাদা অঞ্চলে কোম্পানির পপুলারিটী বাড়াবার জন্য ভিন্স অঞ্চলগুলিতে ফেমাস রেসলারদেরকে বেছে বেছে সাইন করে সেইসব অঞ্চলে প্রচার এবং শো করা শুরু করে। ভিন্স জানতো যে প্রচার এবং লাভ সমানুপাতে থাকে তাই প্রচার বাড়ানোর জন্য যা যা করতে হয় ভিন্স সেই সবই করা শুরু করে দিল।

•• ভিন্সের দ্বারা প্রতিপক্ষ দমন :- ভিন্স যেন তেন প্রকারেন NWA এর অন্যান্য সব প্রোমোটারদের পেটের ভাতে লাথি মারতে শুরু করেন এবং সক্ষম হন। তার ক্ষমতার এবং কূটনীতির জেরে, হয় টিভিতে ব্রডকাস্ট বন্ধ করে কিংবা পপুলার রেসলারদেরকে নিজের কোম্পানিতে সাইন করে ভিন্স সবাইয়ের ব্যবসা ডকে উঠিয়ে দেয়। সেইসময় একটি মাত্র প্রোমোটার বাকি ছিল যে ভিন্সের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতো এবং তার নাম ছিল Jim Crockett, যিনি NWA এর কিছু প্রোমোটারদের কোম্পানিকে কিনে নিয়ে তার নিজের কোম্পানি JCP –এর সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছিল। 

সেইসময় ভিন্সের WWF –এর শো রেসেলমেনিয়া ৩ বিশালভাবে হিট করেছিল এবং সেই শো তে রেকর্ড সংখ্যক প্রায় ৯০,০০০ দর্শক উপস্থিত ছিল, এটাই ছিল প্রথম পেই পার ভিউ ইভেন্ট যেটা অন্যতম সাফল্যতা অর্জন করেছিল। 

এখন ভিন্সের সঙ্গে কম্পিটিশন করার জন্য  Jim Crockett –কে তার রেসলারদের প্রচুর পরিমানে অর্থ প্রদান করতে হচ্ছিল কারন তা না করলে ভিন্স তার কোম্পানির রেসলারদেরকে WWF-এ সাইন করিয়ে নিত, এবং এই প্রচুর পরিমান অর্থের তাগিদে জিম পেই পার ভিউ ইভেন্টের দিকে মনোযোগ দিয়েছিল এবং সেটা সফল করার কাজেই লেগে পরেছিল। তার প্রথম PPV ইভেন্ট ছিল ১৯৮৭ তে হওয়া Starrcade, যেটির ভাত মারার জন্য ভিন্স নিজের ইভেন্ট Survivor Series –এর সূচনা করে এবং সমস্ত কেবিল অপারেটরদের জানিয়ে দেয় যে তারা হয় তার শো দেখাবে নাহলে জিমের, দুইটা একসঙ্গে দেখানো চলবে না। এবং যারা জিমের শো দেখাবে তাদেরকে খুব সম্ভবত রেসেল্মেনিয়া IV (4) দেখাবার সুযোগ দেওয়া হবে না! এই বিশ্রী শর্তের ফলে জিমের PPV মাটিতে মারা গেল, হাতে গুনা কয়েকটা অপারেটর বাদে কেউই তার শো দেখাতে চাইলো না। 

জিম হার মানলো না সে আবার চেস্টা করলো এবং ভিন্স বাবাজি আবার তার বিশ্রী খেলা খেললো, জিমের পরের PPV এর বিপক্ষে ভিন্স USA নেটওয়ার্কে তার শো Royal Rumble বিনামূল্যে দেখাবার অনুমতি দিল ফলে জিমের ভাত আবারও মারা গেল। এইভাবে ক্রমাগত বুলি হওয়ার ফলে এবং অন্যান্য কিছু নিজস্ব ত্রুটির কারনে জিমের বিজনেস ডকে উঠার যোগার হল।

•• টেড টার্নারের এবং WCW –এর আগমন :-  ভিন্সের সাফল্য এবং জিমের পরাজয় এইদুটিকেই দেখতে পারছিলনা এমন একজন মানুষ ছিলেন টেড টার্নার (Ted Turner), যিনি ছিলেন Turner Broadcasting Station বা TBS এর প্রতিষ্ঠাতা। তার নেটওয়ার্কে অন্যতম পপুলার শো ছিল এই রেসলিং তাই এই খেলার প্রতি তার মনে একটা আলাদা জায়গা ছিল। ভিন্সের জন্যও তার মনে একটা আলাদা জায়গা ছিল বটে তবে এটা ছিল নেগেটিভ জায়গা, কয়েক বছর আগে ভিন্সের সঙ্গে খুবই খারাপ ডিল হওয়াতে টার্নার ভিন্সের উপরে চটে ছিল অনেকদিন ধরেই। 

টেড, জিমের হাতে থাকা NWA এর মালিকানা কিনে নেন (জিমের হাতে পুরো মালিকানা ছিল না) এবং  তার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে তিনি JCP এর নাম পরিবর্তন করে World Championship Wrestling বা WCW রাখেন (যেটা তার চ্যানেলে সম্প্রচারিত GCW শো এর নামানুসারে হয়)। 

টেড কিন্তু প্রথমে মোটেও সফল হতে পারেননি, তার কোম্পানিও সহজেই ডুবে যেত যদি তিনি নিজেই TBS এর মালিক না হতেন, ফলে সম্প্রচার বন্ধ হবার কোন ভয় ছিলনা এবং তার কোম্পানির অধঃপতন প্রতিরোধ করা গিয়েছিল। আবার সেইসময় WCW স্বাধীন ছিলনা, তারা NWA এর অংশ ছিল কিন্তু ১৯৯৩ সালে রিক ফ্লেয়ার WCW এর প্রেসিডেন্ট Jim Herd এর সঙ্গে ঝামেলা করে WWF এ চলে যাওয়ায় টাইটেল ভ্যাকান্ট হয়ে যায় এবং তারফলে প্রথমে NWA ও WCW এর টাইটেল আলাদা হয় ও তারপরে WCW, NWA থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন হয়ে যায়। 

অন্যদিকে WWF এর কাছে WCW মাথাচাড়া দেওয়ার আগেই সেটাকে দমন করার এই সুযোগ ছিল যদিও নিজেদের জ্বালায় জর্জরিত ভিন্স এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।

••  WWF এর মানের পতন এবং WCW এর উথান :- ৯০ এর দশকের প্রথম দিকে WWF একইসঙ্গে দুইটি গুরুতর সমস্যা যথা সেক্স স্কান্ড্যাল এবং ড্রাগ নিয়ে ঝুলে পড়েছিল। যার ফলস্বরূপ দির্ঘ সময় ধরে WWF এর মান তলানিতে ঠেকে ছিল। সেই সময়ে তাদের করা ভালো জিনিস বলতে ছিল শুধুমাত্র Monday Night Raw নামের একটি শো চালু করা, যেটি তখনকার চিরাচরিত রেসলিং শো থেকে আলাদা ছিল। Raw তেই প্রথম প্রতিযোগিতামূলক রেসলিং এর আয়োজন করা হয়, তার আগের শো গুলিতে মূলত এক পপুলার শক্তিশালী রেসলার নিম্নমানের রেসলারদের ধোলাই দিয়ে ম্যাচ জিতে যেত।  

অন্যদিকে WCW, WWF এর ব্যর্থতার কারনে এই দীর্ঘ সময় টিকে থাকার পরে ফাইনালি আশার আলো দেখতে পায় এবং সেই আশার আলো ছিল Eric Bischoff, এরিকের আগের কার্যকর্তাগুলি ছিলেন অকর্মণ্য, এরিক WCW তে আসার পরেই টার্নারের অর্থের সঠিক প্রয়োগ শুরু হয়। WWF এর কূটনীতির ধাঁচেই এরিকও অর্থের জোরে WWF থেকে ভালো রেসলারদেরকে নিজেদের কোম্পানিতে সাইন করা শুরু করেন। যার মধ্যে অন্যতম সাইনিং ছিল WWF থেকে রিটায়ার্ড হওয়া হাল্ক হোগান। 

এরপর ১৯৯৫ সালে WWF এর “Monday Night Raw” –এর বিপরীতে এরিক WCW এর একটী শো “Monday Nitro” যেটি টার্নারের স্টেশন TNT (TBS এর সহ চ্যানেল) –তে ‘Raw’ এর দিনেই সম্প্রচারিত হত ফলে দুই মহা কোম্পানির রেটিঙের লড়াই লেগে যায় যেটিকে Monday Night War বলা হয়। আর চ্যানেলের উপরে এরিকদেরই নিয়ন্ত্রন থাকায় WWF যাই করুক না কেন WCW সময়ের ফাঁদে তাকে দমন করতো। 

এটা ছাড়াও এরিক একটি মোক্ষম চাল চালে এবং Raw টিভিতে এয়ার হওয়ার আগেই তার রেজাল্ট ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে…এর বিরুদ্ধে WWF সেরকম কিছুই করে উঠতে পারছিল না। এরপরে WWF এর পতন ত্বরান্বিত করে ১৯৯৬ সালে Kevin Nash এবং Scott Hall –দের মতো সুপারস্টারদের WWF থেকে WCW তে চলে আসা। উল্লেখ্য তারা WCW তে হোগানের সঙ্গে একটী যুগান্তকারী টিম গঠন করে যেটি New World Order বা NWO নামে অধিক পরিচিত ছিল। 

এইভাবে WCW এর সাফল্য এবং WWF এর রেসলারদের তৎকালীন নিম্নমানের গিমিকের কারনে ভিন্সের কোম্পানি প্রায় মাটীতে এসে পতিত হয়, সঙ্গে সঙ্গে কিছু একটা না করলে হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা ছিল।

•• WWF এর পুনঃউত্থান :- বিলুপ্তি যখন ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিল তখন WWF এর ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেয় স্ক্রিপ্ট রাইটার Vince Russo, তিনি WWF এর তখনকার ভোঁতা স্টোরিলাইনকে ধারালো রূপ দেন এবং এর মধ্যে অনেক আড্যাল্ট কনটেন্ট যুক্ত করেন। 

স্টোরিলাইনকে তীক্ষ্ণ করার জন্য ভিন্স সেইসময় বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল যেমন Diva দের দিয়ে রেসলিং করানো, যুগান্তকারী Degeneration-X তৈরি করা, এবং তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ স্টিভ অস্টিনের মতো রেসলারকে পুশ দেওয়া যিনি হিল হিসাবেও তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন এবং অস্টিনের সঙ্গে ভিন্স মিকম্যানের ফিউডেই WWF সব হিসাব উলট-পালট করে দেয়। 

কিন্তু অন্যদিকে TBS, Time Warnar এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাওয়ার ফলে WCW তাদের শো কে পরিবারকেন্দ্রিক এবং ছোট-বড় সবাইয়ের দেখার মতো রাখতে বাধ্য হয় অর্থাৎ তাদেরকে অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট পরিহার করতে হয়। এইভাবে চলতে চলতে এক সময় Monday Night War এ WWF এর পাল্লা ভারি হয় যখন Mike Tyson, Raw তে হাজির হয় (যেটি ছিল Holyfield II এর কান কামড়িয়ে কেটে নেওয়ার পরে টিভিতে টাইসনের প্রথম আবির্ভাব)। টাইসনকে দেখে মানুষ অবাক হয়ে যায় এবং Raw এর পপুলারিটী আকাশছোঁয়া হয়ে যায়, অন্যদিকে অস্টিন ছাড়াও WWF দ্য রকের মতো প্রতিভা নিয়ে আসে এবং তাদের অন্যান্য কম বয়সী প্রতিভাদেরও পুশ দেওয়া শুরু করে।

•• WCW এর পতন :- অন্যদিকে WCW তে পুরনো রেসলারদের কাছে গ্যারেন্টেড কন্ট্রাক্টস ছিল ফলে WCW কে তাদের উপরেই ধ্যান দিতে হচ্ছিল, ফলস্বরূপ নতুন প্রতিভাদের জায়গা খুবই কমে গিয়েছিল এবং নতুনরা সবাই WCW এর উপরে খুব চটে গিয়েছিল এবং তারা একে একে WCW ছেড়ে WWF –এ গিয়ে যোগ দিচ্ছিল। 

এরফলে WCW ড্যামেজ কন্ট্রোলের প্রানপ্রন চেষ্টা করে এবং ফেমাস ব্যক্তিত্বদের উপরে প্রচুর পরিমান টাকা খরচ করা শুরু করে কিন্তু সেইসবই বিফলে যায়, অর্থাৎ WCW এর পতন চোখের সামনেই দেখা যাচ্ছিল। এইসময় আবার WWF SmackDown নামের নতুন এক শো শুরু করে ফলে WCW এর রেটিং আরও তলানিতে যেতে থাকে। তখন WCW, WWF এর ভাগ্যের চাকা ঘোরানো রাইটার Vince Russo কে সাইন করে যদিও তার রাইটিং এর ম্যাজিক WCW তে মোটেও কাজ করে উঠতে পারেনি এবং এইসমস্ত জিনিসের ফলস্বরূপ ২০০০ সালে WCW ১০০ মিলিয়ন ডলার লসের সম্মুখীন হয় যেটা তখনকার দিনে মারাত্মক আকারের লস ছিল। 

Time Warnar এর সঙ্গে যুক্ত থাকার কারনে টেড টার্নারের হাতে WCW এর পুরা কন্ট্রোল ছিল না এবং এইসময় এই বিশাল অঙ্কের লসের সম্মুখীন হওয়াতে ২০০১ সালে শেষপর্যন্ত তারা WCW কে WWF এর হাতে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়। সেই সাথেই ভিন্স মিকম্যানের এতদিনের রেসলিং দুনিয়া একায় কন্ট্রোল করার ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয়ে উঠে, ফলস্বরূপ সে বিলিওনেয়ার এর খেতাব অর্জন করে। যদিও টার্নারের সঙ্গে ভিন্সের রাইভেলারির ইতিহাস এখানেই খতম হয়ে যায়নি এবং বর্তমানেও চলছে।

•• Raw ও SmackDown এর পৃথকীকরণ এবং WWF থেকে WWE হওয়া :- WWF, WCW-কে কিনে নেওয়ার পরে কিছুটা স্ক্রিপ্টজনিত কারনে আর কিছুটা ভিন্সের কারনে WCW রেসলারদের ধার নষ্ট হয়ে যায়। হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রেসলার থাকায়, কয়েক বছর আগের “Monday Night War” –এর ফিলিং ফিরিয়ে আনার জন্য ভিন্স এক বুদ্ধি বার করে এবং WWF কে Raw এবং SmackDown –এই দুইটি ব্রান্ডে ভাগ করে দেন। এবং পরবর্তিতে Raw vs SmackDown ম্যাচের সৃষ্টি হয়। যদিও আরও পরে ২০১১ সালে ব্র্যান্ড দুইটিকে পুনরায় মিলিত করে দেওয়া হয়, এবং তারপরে ২০১৬ সালে NXT থেকে প্রাপ্ত পর্যাপ্ত রেসলারের কারণে আবার Raw এবং SD পৃথকীকরণ করা হয়, কিন্তু সেটা আলাদা ব্যাপার। 

অন্যদিকে ২০০২ সালে WWF –এর নাম নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কোর্ট-কেশে ভিন্সের কোম্পানি World Wildlife Fund –এর কাছে হেরে যায়, এবং WWF নামটি শুধুমাত্র তারাই (World Wildlife Fund) ব্যবহারের অনুমতি পায়।  ফলে বাধ্য হয়ে World Wrestling Federation এর নাম পরিবর্তন করে World Wrestling Entertainment রাখা হয় যার ফলে WWE নামের সৃষ্টি হয়, যেটিকে বর্তমানে আমরা সবাই এককথায় চিনতে পারি।

◘ NWA এর কি হল? :=  ১৯৯৪ সালের আগস্ট মাসে ফিলাডেলফিয়ার Eastern Championship Wrestling (ECW) , NWA থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং এরপর NWA তার আগের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। এরপরেও কিছু প্রোমোটার ছিল যারা NWA এর সদস্যপদে ছিল এবং NWA নাম ব্যবহার করতো কিন্তু ২০১২ সালে NWA তার সদস্যপদ বন্ধ করে দেই এবং বিভিন্ন রেসলিং প্রমোশনকে এটির নামের লাইসেন্স দেওয়া শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে NWA একটি একক প্রমোশনে পরিবর্তিত হয়।

◘ ECW এর কি হল? :=  ২০০১ সালে এটি লসের কারনে ডুবে যায়। ভিন্স তখন এর সমস্ত সম্পদ কিনে নেয়। পরবর্তিতে ২০০৫ সালে WWE, ECW এর নাম ব্যবহার করে একটি দারুন জনপ্রিয় DVD এবং একটি মাত্র PPV এর আয়োজন করে। ECW নামের প্রতি অসাধারন ফ্যান সাপোর্টের জন্য ২০০৬ সালে WWE তাদের তৃতীয় রেসলিং ব্রান্ড হিসাবে ECW কে নিয়ে আসে। মোটামুটী ৪ (4) বছর চলার পরে এটি ২০১০ এর ফেব্রুয়ারীতে এসে সমাপ্ত হয় এবং পরবর্তি সপ্তাহে এর জায়গাতে NXT নামক শো এর উদ্ভাবন করা হয়। যেটি বর্তমানে WWE এর নতুন ট্যালেন্ট সার্চে ব্যবহৃত হয়।

◘ ROH তাহলে কী? ঃ= ২০০১ সালে ECW কে WWE কিনে নেওয়ার পরে "RF Video" নামের একটি প্রো রেসলিং ভিডিও বিতরণ কোম্পানি অসুবিধায় পরে যায় কারণ ECW ই ছিল তাদের বিতরণ করা সবচেয়ে সমৃদ্ধ প্রমোশন। ফলে ECW এর ঘাটতি পূরণের জন্য "RF Video" কোম্পানির মালিক Rob Feinstein বাধ্য হয়ে নিজেদের একটা প্রমোশন তৈরি করে, যেটি পরবর্তীকালে Ring of Honor বা ROH নামে পরিচিত হয়। 

◘ AEW কিভাবে এলো? ঃ= পরবর্তীকালে ২০১৯ সালে Cody Rhodes এবং The Young Bucks মিলে কোটিপতি টোনি খান এবং তার বাবা শাহিদ খানের মালিকানায় "All Elite Wrestling" বা AEW শুরু করে। টেড টার্নারের সৃষ্ট চ্যানেল TNT, WWE এর বর্তমানের সবথেকে বড় কম্পিটিশন AEW কে সম্প্রচার করা শুরু করে। অর্থনৈতিক সামর্থ্যের জন্য আশা করা হচ্ছে  এটি ভবিষ্যতেও WWE কে যথেষ্ট পরিমাণ টেক্কা দিতে পারবে। (বিস্তারিত দেখুন)

◘ TNA তাহলে কোথায়? ঃ= আপনারা জানলে অবাক হবেন TNA ও NWA -এর অংশ ছিল। WCW এর পতনের পর ২০০২ সালে Jeff Jarrett এবং Jerry Jarrett, NWA -এর অংশ হিসাবে NWA: Total Nonstop Action (NWA-TNA) -এর সূচনা করেন। কিন্তু ২০০৪ সালে এটি NWA থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে Total Nonstop Action Wrestling (TNA) নাম ধারণ করে যেটি বর্তমানে Global Force Wrestling (GFW) নামে পরিচিত। (বিস্তারিত দেখুন)

◘ NJPW তাহলে কী? ঃ= New Japan Pro-Wrestling বা NJPW হল জাপানের একটি বৃহৎ রেসলিং প্রমোশন যেটি Antonio Inoki, ১৯৭২ সালে Japan Pro Wrestling Alliance থেকে বেরিয়ে এসে তৈরি করে। এটির সাথেও সময়ে সময়ে NWA এর যোগ ছিল, যথা ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত, তারপরে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত এবং তারপরে খুব অল্প সময়ের জন্য ২০০০ এবং ২০১০ সালে। (বিস্তারিত দেখুন)

◘ ইন্ডি সার্কিট কী তাহলে? ঃ= ইন্ডি সার্কিট হল ইন্ডিপেন্ডেন্ট সার্কিট অর্থাৎ স্বাধীন প্রমোশন সমূহ। আমরা আগেই জেনেছি NWA তৈরি হওয়ার আগে প্রোমোটারেরা সবাই নিজের নিজের মতো করে রেসলিং পরিচালনা করতো। এইসব প্রমোশনগুলি থেকেই মূলত ইন্ডি সার্কিটের সূচনা হয়। মূলত ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে আগেকার দিনের মতো আঞ্চলিক রেসলিং পুনর্জীবিত করার উদ্দেশ্যে অনেক ইন্ডি সার্কিট  গঠিত হয় এবং জনপ্রিয়তা লাভ করে। (বিস্তারিত দেখুন)

এদের মধ্যে অনেকের পপুলারিটি নাই বললেই চলে আবার কিছু কিছু বেশ পপুলারও বটে। জনপ্রিয় কিছু সার্কিটের উদাহরণ হল ঃ Combat Zone Wrestling (CZW), Pro Wrestling Guerrilla (PWG), American X Wrestling, East Coast Professional Wrestling, Independent Wrestling Federation প্রভৃতি। উল্লেখ্য জনপ্রিয় Lucha Underground (বিস্তারিত পড়ুন) -এও ইন্ডি রেসলারেরা রেসলিং করে। 

• উপরের লেখাটি পড়ে বুঝতেই পারছেন প্রো-রেসলিং এর ইতিহাসে  NWA এর গুরুত্ব কতখানি, বলতে গেলে পুরো প্রো রেসলিং ইতিহাসই NWA কে কেন্দ্র করে গঠিত। NWA থেকে জনপ্রিয় হয়ে আলাদা হওয়া এবং শেষে WWE এর কাছে বিক্রি হওয়া, এটা প্রো-রেসলিং এর একটা ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছিল। বর্তমানেও কিছু জনপ্রিয় রেসলিং প্রমোশনকে হয়তো একদিন WWE কিনে নেবে।

আবার ইতিহাসের সঙ্গে মিলে যায় এমন কিছু ঘটনাও আপনারা দেখতে পাবেন, যেমন জিন্দার মহালকে চ্যাম্পিয়ন করে, স্পটলাইটে এনে ভারতে WWE তাদের ব্যবসা বিস্তার করতে চাইছে, অর্থাৎ আঞ্চলিক রেসলারদেরকে ব্যবহার করে ব্যবসা বিস্তার করা এখনও প্রচলিত রয়েছে। আশা করি এবার আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর পেলেন, এই পর্যন্তই থাক তাহলে আজকে...।।

::: WWE এর সম্পুর্ন ইতিহাস :::