আসল নাম

Dwayne Douglas Johnson

জন্মদিন

২ মে, ১৯৭২

জন্মস্থান

Hayward, California, U.S

বাসস্থান

Miami, Florida, US

উচ্চতা

৬ ফুট ৫ ইঞ্চি (১.৯৫ মি)

ওজন

১১৮ কেজি (২৬০ পাউন্ড)

ট্রেনারস

Pat Patterson, Rocky Johnson, Tom Prichard

অভিষেক

১৯৯৬ সাল

অবসর

২০১৯ সাল


বৃষ রাশির জনক দ্যা রকের জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ার হাওয়ারডে, ১৯৭২ সালের ২ মে। দ্যা রক হচ্ছে তিন পুরুষের রেসলার। তার বাবা রকি জনসন এবং পিতামহ পিটার মায়াভিয়া উভয়েই ছিলেন যার যার সময়ের তারকা রেসলার। শৈশবে দ্যা রক, যার প্রকৃত নাম ডোইয়ানে জনসন, পিতামহ এবং বাবার এই খ্যাতি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। বাবার লড়াই তো রিং-এর পাশে বসে দেখেছেন বহুবার।

রক যে কেবল জনগণের চ্যাম্পিয়ন নন বরং আক্ষরিক অর্থেই একজন মহান চ্যাম্পিয়ন। এ পর্যন্ত WWF/E চ্যাম্পিয়ন হ্যেছেন ৮বার। WCW/World চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ২ বার। এছাড়া ট্যাগটিম চ্যাম্পিয়ন (৫ বার), ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়ন (২ বার), রয়েল রাম্বল (১ বার, সাল ২০০০) হয়েছেন। তিনি ৬স্ট ট্রিপল ক্রাউন চ্যাম্পিয়ন।

♦ ব্যক্তিগত জীবন : 

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১৯৯৭ সালে Danny Garcia এর সাথে তার প্রথম বিয়ে হয়। ২০০১ সালে তাদের এ ঘরে একটি সন্তান ও হয়। ২০০৭ সালে তারা আলাদা হয়ে যায়। ২০০৭ সাল থেকেই তিনি Lauren Hashian এর সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৫ সালে তাদের একটি কন্যাসন্তান জন্ম হয় যার নাম রাখা হয় জেসমিন। ২০০০ সালে 'The Rock Says...' নামক একটি অটোবায়োগ্রাফি বের করা হয় যার লেখক ছিলেন Joe Layden। 

মুভির পাশাপাশি তিনি প্রো রেস্লিংএও মাঝে মাঝে আসেন। বর্তমানে WWE তে তিনি একজন পার্টটাইমার হিসেবে কর্মরত আছেন। ছেলেবেলা থেকেই নিজের পিতা এবং দাদার মত একজন সফল প্রো রেস্লার হতে চেয়েছিলেন। এবং যতদিন রেস্লিং জগতে ছিলেন সফল ই ছিলেন। এবং একই সাথে নিজের বুদ্ধিমত্তার কারণে "অভিনয় জগত" এও নিজেকে সফল হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছেন।

মজার ব্যপার তার একটি দারুণ "গিনিজ বুকের ওয়ার্ল্ড রেকর্ড" রয়েছে। যেটি হল, তিনি ২০১৫ সালে ৩মিনিটে সর্বোচ্চ (১০৫টি) সেল্ফি তুলেছেন ফ্যান দের সাথে । এছাড়াও চ্যারিটিতে সর্বোচ্চ ১মিলিয়ন ডলার অনুদান এর রেকর্ড ও রয়েছে তার।

♦ দ্যা রকের রেসলিং ক্যারিয়ার :

• রেসলিং জগতে প্রবেশের ইতিহাস :

১৯৮৩ সালের একটি ঘটনা তার স্পষ্ট মনে আছে। তার বয়স তখন মাত্র ১১ বছর। এ বয়সের ছেলেরা মাঠে খেলাধুলা, ডাকটিকেট সংগ্রহ, কার্টুন দেখা কিংবা কমিক বই পড়া নিয়ে ব্যস্ত যখন, তখন কিশোর ডোইয়ানে রিং-এর পাশে গভীর আগ্রহ নিয়ে বসে বাবার রেসলিং দেখতেন। ১৯৮৩ সালের সে দিনটি ছিল ওয়াল্ড রেসলিং ফেডারেশনের ট্যাগ টিম শিরোপার লড়াই।

টনি এটলাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে তার বাবা রকি জনসন অবতীর্ণ হয়েছিলেন সে শিরোপা লড়াইতে। রকি-টনি জুটিই শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছিলেন। পুরো সময় গ্যালারি জুড়ে দর্শকদের মধ্যে উন্মাতাল চিৎকার ছিল- রকি! রকি! অন্য সকলের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে কিশোর ডোইয়ানেও বাবার নাম ধরে চিৎকার করছিল এক ভক্ত হিসেবে। সেই দিনের সেই উত্তেজনা আর আনন্দের কথা পিতাকে অতিক্রম করা রেসলার দ্যা রক আজো ভুলতে পারেনি। 

রেসলিং-এর প্রতি ডোইয়ানে জনসনের এই বিপুল আগ্রহের পরও কিন্তু তার পিতা কিংবা স্কুলের শিক্ষকরা ভাবেননি যে এ ছেলেটি একদিন ভাল রেসলার হতে পারবে। বরং তাদের দৃষ্টি ছিল অন্য দিকে। ডোইয়ানে জন্মগতভাবেই ছিল এক দারুন অ্যাথলেট। বিশেষ করে ফুটবলে তার পারদর্শিতা এতটাই ছিল যে, সে স্কুলে থাক্তেই অল আমেরিকার সেরা ৫০ ফুটবলারের তালিকার মধ্য ঢুকে গিয়েছিল তার নাম। ফলে কৈশোর থেকেই স্কুলে এবং এবং সমবয়সীদের মদ্যে দারুন জনপ্রিয় ছিল ডোইয়ানে। 

সে সময়েই তার মধ্যে একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখা যেতে থাকে। হয়ত ডোইয়ানে কোথাও হেঁটে যাচ্ছে, এ সময় তার কোন বন্ধু অভিনন্দন বা সম্ভাষণ জানাল তাকে। জবাবে দাঁড়িয়ে পাল্টা যে অভিবাদন জানাবে, সে স্বভাব ছিল না ডোইয়ানের। বরং হাঁটার গতি কমিয়ে ভ্রু একটু উপর দিকে উঠিয়ে বলত “তোমার শুভেচ্ছা আমি গ্রহণ করলাম।” তার এই অভ্যাসটি এখনও আছে। কৈশোরে তার এই প্রবণতার কারণে বড়দের কাছে বহুবার সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। আর এখন তার এই ভ্রু তোলার ভঙ্গিটি বাড়িয়ে দিয়েছে জনপ্রিয়তা। অনন্য এই ভঙ্গী তার ভক্তদের মাঝে অনুকরণের একটি প্রবণতা দৃশ্যমান হয় প্রায়ই।

১৯৯০ সালের শেষদিকে, ডোইয়ানে জনসন তখন ফ্লোরিডার ইউনিভার্সিটি অব মায়ামির ছাত্র। বাবা চাইতেন ছেলে তার মত রেসলার হোক। বংশের নাম রাখুক। কিন্তু ছেলে কি আসবে এই লাইনে? পিতার চিন্তা একেবারে অমূলক ছিল না। কারণ ডোইয়ানে তখন ফুটবলার হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে চলে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে দলে রক্ষণভাগে তার খেলা দেখে জাতীয় দলে তার স্থান পাওয়া নিয়ে কারও মনে কোন সন্দেহ ছিল না।

কিন্তু তরুণ ডোইয়ানে জনসনের লক্ষ্য ছিল অন্য রকম। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন তিনি ক্রিমিনোলজি নিয়ে। এ বিষয়েই গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন। তার ইচ্ছা ছিল সরকারের সিক্রেট সার্ভিসে যোগ দেওয়ার। এ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগও করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সিক্রেট সার্ভিসে যোগ দেওয়া হয়ে উঠল না। কারণ হিসেবে দ্যা রকের ভাষ্য- সিক্রেট সার্ভিসে ঝুঁকির তুলনায় পুরষ্কারের পরিমাণ খুবই কম। আকাঙ্খার পেশায় যাওয়া হলই না, অগত্যা পিতার ইচ্ছাকেই মূল্য দিলেন তিনি। যোগ দিলেন পেশাদার রেসলিং-এ। 

ডোইয়ানে জনসন পেশাদার রেসলার হিসেবে WWE (তৎকালীন WWF) রিন-এ প্রথম নামেন ১৯৯৬ সালে। প্রথা অনুযায়ী প্রথম দিন থেকেই তিনি গ্রহণ করেন পোশাকী নাম। যে নামটি তিনি গ্রহণ করেন তার মধ্যেও আছে বৈচিত্র্য। রেসলিং-এ তাদের পারবারিক ঐতিহ্য এবং নিজে যে পরিবারের ৩য় প্রজন্মের রেসলার- এ কথাটি তিনি স্মরণ করিয়ে দিলেন পেশাদারী নামটির মধ্য দিয়ে। বাবা ও নানার নামের অংশ মিলিয়ে ‘রকি মায়াভিয়া’ নামটি রাখলেন।

• জনপ্রিয়তা অর্জন :

WWE সার্কিটে অভিষেক হল তার ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে সারভাইভার সিরিজ পিপিভিতে। আসলে এই সারভাইভার সিরিজের লড়াই সাধারণত তেমন একটি গুরুত্ব পায় না বোদ্ধা মহলে। কারণ একটাই-একসাথে অনেকে লড়তে নামেন রিং-এ। ফলে অনেক রেসলারই যোগ্যতার যথাযথ পরিমাপ হয়তো এ সিরিজে সেভাবে হয়না।

কিন্তু তারপরও পেশাদারী জীবনের প্রথম লড়াই সারভাইভার সিরিজে একেবারে মাত করে দিলেন নবাগত রকি মায়াভিয়া। গ্যালারির দর্শকদের মধ্যে কেউ যে কথাটি ভাবেনি, তাই করে দেখালেন তিনি। সকলকে অবাক করে দিয়ে সোল সারভাইভার হয়ে গেলেন রকি। 

দর্শকদের মাঝে শুরুতে দারুন গুঞ্জন উঠল- কে এই রকি মায়াভিয়া? পরে নাম দেখে অনেকেই বুঝতে পারলেন পিটার মায়াভিয়ার নাতি আর রকি জনসনের যোগ্য পুত্র এই রকি মায়াভিয়া নামের জ্বলজ্বলে তারকাটি। সুদর্শন রকি প্রথম ম্যাচেই পেয়ে গেলেন বিপুল ভক্ত ও সমর্থক।

• জনপ্রিয়তা হ্রাস এবং তার সমাধান :

সে সময় ট্রিপল এইচও একজন উঠটি তারকা। অনেকেই ভাবল এই দু’জনের লড়াই হলে বেশ হয়। দিন কয়েকের মধ্যে মুখোমুখি হলেন তারা ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়নশিপে এবং রকি ম্যাচটি জিতে নেন, কিন্তু দর্শকদের মন ভরাতে পারলেন না।

আস্তে আস্তে তার নিন্দুকের সংখ্যা বাড়তে থাকল। তার সমর্থকরা রাগে, ক্ষোভে মন্তব্য করলো-এত ভদ্রতা দিয়ে আর যাই হোক রেসলিং হয় না। রেসলিং-এ সফলতা তথা তারকাখ্যাতি পেতে হলে আরও বেপরোয়া, আরও রুক্ষ-নির্দয় হওয়া দরকার। বিষয়টি রকি নিজেও উপলব্ধি করলেন, সিদ্ধান্ত নিলেন- পাল্টাতে হবে নিজের অতি ভালমানুষী ইমেজ।

ঠিক এই সময়েই সমস্ত ভক্তকে বিস্মিত করে তিনি যোগ দিলেন বিতর্কিত গ্রুপ ‘নেশন অব ডোমিনেশন’ স্টেবলে। এই স্টেবলের তখন নেতা ছিলেন আরেক কীর্তিমান রেসলার ফারুক। বিতর্কিত একটি গ্রুপে তার এই যোগদানকে প্রকাশ্যে যে যাই বলুক না কেন, দ্যা রক পরবর্তীকালে প্রমাণ করেছেন যে, তার সেদিনের সে সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক। 

আসলে রেসলিং-এর অনেক জটিল কলাকৌশল আয়ত্তে নিতে পেরেছিলেন তিনি সে সময়েই। নেশন অব ডোমিনেশনের নেতা ফারুক তখন রেসলিং জগতে বেশ সুপ্রতিষ্ঠিত নাম। কিন্তু রকি দলে যোগ দেওয়ার পর কয়েকটি ম্যাচের মাধ্যমেই পরিবর্তিত হয়ে গেল জনপ্রিয়তার ব্যারোমিটার।

দেখা গেল আগে ফারুক রিংএ প্রবেশের সময় যেরকম উল্লাস দেখা যেত দর্শকদের মধ্যে, তার অনেকটাই যেন রাতারাতি কমে গেছে। বিপরীত দিকে দ্বিগুণ সমর্থন, উল্লাস দেখা গেছে রকির উপস্থিতির সাথে সাথে। এর পরেও নেশন অব ডোমিনেশনে প্রথমে কয়েক মাসে পুরো দল এবং দলপতির প্রতি দারুণ অনুগত ছিলেন রকি।

• 'দ্যা রক' নামের সূচনা :

ঠিক এ সময়েই, একটি দলের সাধারণ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও দারুণ জনপ্রিয়তা যখন তার, নাম পরিবর্তন করলেন তিনি। রকি মায়াভিয়া থেকে এক রাতে বনে গেলেন ‘দ্যা রক’। অবশ্য তার এই নাম পরিবর্তনের পেছনে দর্শকদেরও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

একদিন এক দারুণ পারফরমেন্স দেখানোর পর দর্শকরা রকি, রকি বলে চিৎকার করছিল। তারা উচ্চারণের সুবিধার জন্যে রকি মায়াভিয়াকে কেবল রকিতে পরিণত করে নিয়েছিলেন। কিছু সময় পর আরও সংক্ষেপিত হয়ে তা দাড়াল কেবল রক-এ। নতুন এ নামটি তারও মনে ধরল, রকি মায়াভিয়া পরিণত হলে ‘দ্যা রক’-এ।

• অস্টিনের সাথে ফিউড :

১৯৯৭ সালটি বলা যায় রকের জন্য স্মরণীয় বছর। সে সময় তিনি তৎকালীন ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়ন স্টোন কোল্ড স্টিভ অস্টিনের সাথে ফিউডে জড়িয়ে পরেন। অস্টিন তখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। আর রক সবে উঠতি তারকা।

১ম মোকাবেলায় রক, অস্টিনের কাছে হারলেও ২য় দফায় ঠিকই তার থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নেন। রকের পারফরম্যান্স অস্টিনকে মুগ্ধ করে। তিনি বলেন, ‘এত দিনে লড়াই করার মত সত্যিকারের একজনকে পেয়েছি।’ তার এ মন্তব্য যে কিছুমাত্র বাড়িয়ে বলা ছিল না, তা প্রমাণিত হতে খুব একটা সময় লাগেনি।

• ট্রিপল এইচের সাথে ফিউড :

রকের জনপ্রিয়তার পিছে অস্টিন-রক ফিউড প্রভাবক হিসেবে কাজ করলেও দর্শকরা সম্ভবত সবচেয়ে বেশী উপভোগ করেছে রক আর ট্রিপল এইচ ফিউডটি। বিশেষ করে ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত সামারস্লামে রক আর ট্রিপল এইচের মধ্যকার ম্যাচটি দর্শক হৃদয়ে মর্যাদার অন্যতম আসন দখল করে নিয়েছে। রক তখন ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়ন। পূর্ববর্তী ৯ মাস ধরে বেল্টটি শোভা পাচ্ছিল তার কোমরে। এর আগে এত দীর্ঘ সময় খুব কম রেসলারই এই কাজটি করে দেখিয়েছিল। 

অপরদিকে ট্রিপল এইচও তখন এই জগতের সেরা রেসলারদের ১ম সারিতে অবস্থান করছিল। শিরোপা নির্ধারণের জন্য Stipulation ছিল এটি হবে ল্যাডার ম্যাচ। দু’জনের আলোচিত সেই লড়াই চলেছিল পুরো ৪৫ মিনিট। WWE-এর ইতিহাসে এ লড়াইটিকে এখনো শ্রেষ্ঠ ম্যাচগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দুই সুপার স্টারই প্রাণপণে লড়েছিলেন তাতে। দর্শকরা উভয়েরই দারুণ সব কৌশল দেখেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রককে হেরে যেতে হয়। বেল্ট চলে যায় ট্রিপল এইচের দখলে। 

বেল্ট হারালেও রক জয় করে নেন আরো বড় কিছু, আর তা হল দর্শকদের ভালবাসা। ট্রিপল এইচ যখন বেল্ট নিয়ে রিং ছাড়ছিলেন তখনও দর্শকদের কন্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল-‘রকি, রকি, রক!’ আসলে ১৯৯৮ সালের সেই সামার স্লামে পরাজয়ের মধ্য দিয়েই জনগণের চ্যাম্পিয়নে (The People's Champion) পরিণত হন দ্যা রক।

• রেসলিং থেকে বিরতি নিয়ে হলিউডে প্রবেশ :

২০০০ সালের পরে তিনি হলেন পুরোদমে ফেস রেসলার, Attitude Era এর মেইন ফেস হয়ে যাওয়ার পরে তার ফ্যান সাপোর্ট আরো বেড়ে গিয়েছিল। তিনি দিয়েছেন অনেক ঐতিহাসিক ম্যাচ যেমন Steve Austin, The Undertaker, Triple H, Mankind, Kurt Angle -দের সঙ্গে খেলা তার ম্যাচ। এছাড়াও তিনি রেসেলমেনিয়ার দুই ড্রিম ম্যাচের সাক্ষী ছিলেন, যথাক্রমে- Hulk Hogan, John Cena এর বিরুদ্ধে।

২০০৩ সালে তিনি এক্টিভ রেসলার হিসেবে WWE ত্যাগ করে হলিউডে প্রবেশ করেন, তাছাড়া অনেক বিখ্যাত মুভি যেমন Fast & Furious, The Rundown, Scropian King, Doom প্রভৃতির মূল নায়ক হিসেবেও অভিনয় করেছেন। এখনো তিনি অসামান্য একজন অভিনেতা হিসেবে হিট সিনেমা করে যাচ্ছেন।

• WWE তে রিটার্ন ও সিনার সাথে ফিউড :

দীর্ঘ ৭ বছরের পরে ২০১১ আসলের ১৪ই ফেব্রুয়ারি দ্যা রক Raw তে রিটার্ন করেন এবং সেখানে তাকে WrestleMania XXVII এর হোস্ট হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সেখানে দর্শকদের চরম উৎসাহের মধ্যে রক জন সিনার সাথে ফিউড শুরু করেন। WrestleMania XXVII তে রক সিনাকে অ্যাটাক করে যারফলে সিনা WWE চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে ব্যর্থ হয়।

এরপরে রক এবং সিনার মধ্যে অসাধারণ কিছু প্রোমো কাট করা হয়, বিশেষ করে রক এইসব প্রোমোর মাধ্যমে দর্শকদের চরমভাবে বিনোদন দেন।  ২০১২ সালের ১লা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত রেসেলমেনিয়া XXVII বা ২৮ এ দ্যা রক সিনাকে ঐতিহাসিক ম্যাচে পরাজিত করেন।  রক ও সিনার এই ম্যাচটা ছিল প্রফেশনাল রেসলিং ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী বিক্রিত পেইপারভিউ ইভেন্ট। এরপরে রক তার WWE চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।

• পাঙ্কের সাথে ফিউড ও WWE চ্যাম্পিয়নশিপ জয় :

'Raw 1000' স্পেশাল এপিসোডে দ্যা রক রয়্যাল রাম্বালে WWE চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ খেলার কথা বললে তৎকালীন WWE চ্যাম্প সি এম পাঙ্কের সঙ্গে তার ফিউড শুরু হয়। ফিউড চলাকালীন পাঙ্কের হয়ে দ্যা শিল্ড রককে অ্যাটাক করলে ভিন্স মিকম্যান শর্ত দেন যে পাঙ্কের সাথে রকের চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে শিল্ড ইন্টারফেয়ার করলে পাঙ্কের কাছ থেকে টাইটেল কেড়ে নেওয়া হবে।

২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত Royal Rumble পিপিভিতে রক ও পাঙ্কের চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ লাইট বন্ধ হয়ে যায় এবং রককে কেউ বা কারা অ্যাটাক করে। তখন ভিন্স এসে পাঙ্ককে টাইটেলচ্যুত করতে চাইলে রক সেই ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। সেই ম্যাচে পাঙ্ককে পরাজিত করে দ্যা রক অষ্টমবারের মতো WWE চ্যাম্পিয়নশিপ জয়লাভ করে।

পরে  Elimination Chamber পিপিভিতে দ্যা রক পাঙ্কের বিরুদ্ধে টাইটেল ডিফেন্ডে সক্ষম হয়। পরের Raw তে WWE চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্টের নতুন ডিজাইনের উদ্বোধন করা হয় যার সাইড প্লেটে রকের  "Brahma Bull" লোগো ছিল।  এরপরে রক রয়্যাল রাম্বাল বিজয়ী জন সিনার সাথে পুনরায় ফিউড শুরু করে।

• সিনার কাছে টাইটেল হারানো ও ইনজুরি :

৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত রেসেলমেনিয়া ২৯ এ জন সিনা দ্যা রককে পরাজিত করে নতুন WWE চ্যাম্পিয়ন হয়, যার ফলে রকের ৭০ দিনের টাইটেল রেইন সমাপ্ত হয়। এরপরে আবার রকের টাইটেল রিম্যাচ পাওয়ার কথা থাকলেও সিনার সঙ্গে ম্যাচটিতে হওয়া গুরুতর ইনজুরির কারণে তা বাতিল করা হয় এবং রকের টেনডন জোড়া দেওয়ার সার্জারি করতে হয়। এরপরে রক আর সিরিয়াসলি রেসলিং করেননি।

পরে দ্যা রক ২০১৪ সালের  WrestleMania XXX এর ওপেনিং সেগমেন্টে অস্টিন ও হোগানের সঙ্গে উপস্থিত হয়। ২০১৫ এর রয়্যাল রাম্বালে রক তার সম্পর্কিত রেসলার রোমান রেইন্সকে বিগ শো ও কেইনের বিরুদ্ধে সাহায্য করে। রেসেলমেনিয়া ৩১ এ রক এবং  Ronda Rousey মিলে ট্রিপল এইচ ও স্টেফানি মিকম্যানকে ফেস অফ করে।

২০১৬ সালের রেসেলমেনিয়া ৩২ এ রক উপস্থিত হয়ে দর্শকদের জানায় যে এইবারে রেসেলমেনিয়া ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক লোক ইভেন্টটি অ্যাটেন্ড করেছেন, তখন The Wyatt Family তাকে ইন্টারাপ্ট করে।  এর ফলে  Erick Rowan এর সঙ্গে দ্যা রকের তৎক্ষণাৎ ম্যাচ ঠিক হলে মাত্র ৬ সেকেন্ডে রক এরিককে রক বটম মেরে পিন করে জিতে যায়। এটা রেসেলমেনিয়া ইতিহাসে দ্রুততম জয় ছিল। এরপরে জন সিনা এসে রককে Wyatt ফ্যামিলির বাকি মেম্বারদের বিরুদ্ধে সাহায্য করে।

• দ্যা রকের রেসলিং থেকে অবসর :

২০১৯ এর ৩রা আগস্টে দ্যা রক অফিসিয়ালি তার রেসলিং থেকে অবসরের ঘোষণা করে। এরপরে স্ম্যাকডাউনের ২০ তম অ্যানিভার্সারিতে রক এসে বেকি লিঞ্চ এর সাথে একটা প্রোমো কাট করলে  King Corbin তাতে বাঁধা দেয়। তখন দ্যা রক করবিনকে অ্যাটাক করে বিদায় করে এবং বেকির সাথে সেই দিবস উদযাপন করে।

এরপরে ২০২০ সালে ইমপ্যাক্ট রেসলিং এর Bound for Glory পিপিভিতে ভিডিও ম্যাসেজের মাধ্যমে রক  Ken Shamrock কে ইমপ্যাক্ট হল অফ ফেমে ইন্ডাক্ট করে।

দ্যা রক প্রতিবার আসলেই ফ্যানদের চিয়ারে পুরো এরিনা ইলেক্ট্রিফাইং হয়ে যায় এবং মাইক হাতে নিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন তিনি। তাই আশা করি রেসলিং থেকে অবসর নিলেও তিনি মাঝে-সাঝে স্পেশাল আপিয়ারেন্স করতে থাকবেন।

♦ হলিউড অভিনেতা হিসাবে Dwayne Johnson :

রেসলিং এর পাশাপাশি রুপালী পরদাতেও রক মারাত্মক সফল। তার আগে ও পরে অনেকেই রূপালী পর্দাতে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করেছে, কিন্তু কেউই তার মত সফল হয়নি। ১৯৯৯ সাল থেকেই ছোটোখাটো স্থানে অভিনয় করেন তিনি। 

"That 70's show" নামক একটি শো তে তিনি প্রথমে তার পিতার চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়াও বিভিন্ন শো এর দু এক পর্বে হঠাত বিঠাত গেস্ট এপিয়ারেন্স হিসেবে তাকে দেখা যায়। তবে 'বক্স অফিস' ধামাকা শুরু হয় ২০০০ সালের পরে যেখানে তিনি ২০০১ সালে 'The Mummy Returns' নামক মুভির মাধ্যমে অভিষেক ঘটান।

পরবর্তীতে আরো অনেক অসাধারণ মুভির মাধ্যমে আমাদের এখনো বিনোদিত করে যাচ্ছেন। ক্যারিয়ারে তিনি বিভিন্ন রকমের একশন-থ্রিলিং-কমেডি মুভিতে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বর্তমান জেনারেশন এর সবচেয়ে বিখ্যাত সিকুয়েল সাগা "Fast and the furious" এর ৫ম সিকুয়েলে তিনি সর্বপ্রথম কাজ করেন। এবং পরবর্তী ৬ষ্ঠ, ৭ম সিকুয়েলেও তিনি আছেন।

• তার এখন পর্যন্ত্য করা সকল মুভিসমূহ :

  • Beyond the Mat (১৯৯৯)
  • Longshot (২০০০)
  • The Mummy Returns (২০০১)
  • The Scorpion King (২০০২)
  • The Rundown (২০০৩)
  • Walking Tall (২০০৪)
  • Be Cool (২০০৫)
  • Doom (২০০৫)
  • Gridiron Gang (২০০৬)
  • Reno ৯১১!: Miami (২০০৭)
  • Southland Tales (২০০৭)
  • The Game Plan (২০০৭)
  • Get Smart (২০০৮)
  • Race to Witch Mountain (২০০৮)
  • Planet ৫১ (২০০৯)
  • Tooth Fairy (২০১০)
  • Why Did I Get Married Too? (২০১০)
  • The Other Guys (২০১০)
  • You Again (২০১০)
  • Faster (২০১০)
  • Fast Five (২০১১)
  • Journey ২: The Mysterious Island (২০১২)
  • Snitch (২০১৩)
  • G.I. Joe: Retaliation (২০১৩)
  • Pain & Gain (২০১৩)
  • Fast & Furious ৬ (২০১৩)
  • Empire State (২০১৩)
  • Hercules (২০১৪)
  • Furious ৭ (২০১৫)
  • San Andreas (২০১৫)
  • Central Intelligence (২০১৬)
  • Moana (২০১৬)
  • Fast & Furious 8 (২০১৭)
  • Baywatch (২০১৭)
  • Jumanji: Welcome to the Jungle (২০১৭)
  • Rampage (২০১৮)
  • Skyscraper (২০১৮)
  • Fighting with My Family (২০১৯)
  • Fast & Furious: Hobbs & Shaw (২০১৯)
  • Jumanji: The Next Level (২০১৯)
  • Red Notice (২০২১)
  • Jungle Cruise (২০২১)
  • Black Adam (২০২২)

• মুভি জগতের কিছু অর্জন :

  • ২০০১: Teen Choice Awards – Choice Movie Villain
  • ২০১২: CinemaCon Action Star of the Year
  • ২০১৩: Kids Choice Awards – Favorite Male Butt Kicker
  • ২০১৬: People's Choice Award – Favorite Premium Cable TV Actor
  • ২০১৬: People Magazine Sexiest Man Alive
  • ২০১৭: Star on the Hollywood Walk of Fame
  • ২০১৭: People's Choice Award for Favorite Premium Series Actor

♦ দ্যা রকের ব্যাপারে অজানা কথা :

১) The Rock WWE ইতিহাসের সর্বপ্রথম Third Generation রেসলার এবং World Champion.

২) তার নানা ও বাবা রেসলিং করতেন, বংশের পেশা অনুযায়ী তার রেসলার হবার কথা থাকলেও The Rock প্রথমে রেসলার হতে চাননি। 

) The Rock ছোটবেলা থেকেই সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন। মাছ ধরা তার প্রিয় শখ

) The Rock সমুদ্রে খুব দক্ষ ভাবে ডুব দিতে পারেন এবং Surfing করতে পারেন। সমুদ্রের দক্ষ মাছ শিকারো করতে পারেন। 

) The Rock একমাত্র রেসলার যিনি Oscar Gala তে আমন্ত্রিত হয়েছেন। 

The Rock WWE এর সবচেয়ে ধনী রেসলার। তার পুরো এক বছরে আয় ১.৪৭ বিলিয়ন ডলার। 

) The Rock এর Mic Skill কে WWE এর #১ নাম্বার Mic Skill বলে অফিশিয়ালি গণ্য করা হয়

) ২০০০ সালে করা The Rock এর এন্টেরেন্স থিম,"The Rock Says" সেইবছরের সেরা Entrance Theme এওয়ার্ড পায় এবং বেশিবার বিক্রিত/ডাউনলোড হয়

) The Rock সর্বপ্রথম "If you Smell What Rock is Cooking" ডায়ালগ টি বলেন Wrestlemania XIV তে। 

১০) তিনি একমাত্র রেসলার যিনি তিন যুগের তিন বিখ্যাত রেসলার এর সাথে Wrestlemania তে খেলেছেন। (Hulk Hogan, Steve Austin,John Cena)

১১তিনি বাস্তবে Shawn Micheals কে পছন্দ করেন না, কারণ Shawn তাকে ফালতু রেসলার বানাতে চেয়েছিল এবং তার নানীর সাথে Sexual Harassment করেছিলেন। তার সাথে আজ পর্যন্ত কোন সিঙ্গেল ম্যাচ খেলেনি

১২তিনি একমাত্র রেসলার যিনি ২ মাসেই তিনবার WWE Champion হন। 

১৩) যেদিন তিনি প্রথম WWE তে Debut করেন সেদিন তিনি Survivor Series এলিমিশন ম্যাচে Soul Surviver হন। 

১৪তিনি যেদিন প্রথম WWE চ্যাম্পিয়ন হন, সেদিন তার বাবা-নানা Tag Team Champion হয়েছিলেন। 

১৫তিনি Attitude Era এর মেইন ফেস এবং পোস্টার বয়। 

১৬তার বাস্তব জগৎতের বেস্ট ফ্রেন্ড হলো John Cena, Steve Austin, Booker T, Jerry Lawler, Bret Hart সহ অনেকেই। 

১৭তার মতে তার সবচেয়ে সেরা অপনেন্ট Steve Austin. তার শকিং ক্যারিয়ার হার হলো Hurricane এর সাথে রোল-আপে হারা। 

১৮তিনি WWE তে এক বছরে সর্বোচ্চ ১৩ Million ইনকাম করেছেন

১৯) তিনি একজন সেরা অভিনেতা। Fast Furious, Fast Five, The Scropian King সহ অনেক হিট সিনেমা করেছেন। তিনি WWE এর পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ও সেরা নায়ক। 

২০তিনি অধিকাংশ সিনেমা তে মেইন হিরো ছিলেন। সর্বপ্রথম Doom সিনেমাতে ভিলেন চরিত্রে আসেন। 

২১তিনি দৈনিক ছয়বার খান, তিনি এরচেয়ে বেশিখান। প্রতিবারে তিনি তিনজন মানুষের সমান খাবার খান। 

২২তার ফেভারিট খাবার হলো Chocolate Pie. এবং তিনি ড্রিংক করতেও ভালবাসেন। 

২৩তিনি প্রচুর টাকার মালিক হলেও, সাদাসিধে জীবন-যাপন করতে পছন্দ করেন। তিনি তার চ্যারিটি তে প্রতিমাসে ১ মিলিয়ন অর্থ দান করেন। 

২৪তিনি নিয়মিত ট্রেইনিং করেন। এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপন করেন। 

২৫তাকে যখন ব্যাকস্টেজে পলিটিশিয়ান Triple H,Shawn জব্বার বানাতে গেলেও পারেনি তখন Triple H নিজে বলেছিলেন "He is a God Gifted Wrestler"

২৬তিনি সর্বশেষ WCW চ্যাম্পিয়ন। 

♦ রেসলিং জগতে অর্জন সমূহ :

Pro Wrestling Illustrated

Match of the Year (১৯৯৯) vs. Mankind in an "I Quit" match at Royal Rumble

Match of the Year (২০০২) vs. Hollywood Hulk Hogan at WrestleMania X৮

Most Popular Wrestler of the Year (১৯৯৯, ২০০০)

Wrestler of the Year (২০০০)

Ranked No. ২ of the top ৫০০ singles wrestlers in the PWI ৫০০ in ২০০০

United States Wrestling Association

USWA World Tag Team Championship (২ বার) – with Bart Sawyer

Wrestling Observer Newsletter

Best Box Office Draw (২০০০, ২০১১, ২০১২)

Best Gimmick (১৯৯৯)

Best on Interviews (১৯৯৯, ২০০০)

Most Charismatic (১৯৯৯

Most Improved (১৯৯৮)

Wrestling Observer Newsletter Hall of Fame (Class of ২০০৭)

WWE/World Wrestling Entertainment/Federation

WCW Championship (২ বার)

WWE Championship (৮ বার)

WWF Intercontinental Championship (২ বার)

WWF Tag Team Championship (৫ বার) – with Mankind (৩), The Undertaker (১), এবং Chris Jericho (১)

Royal Rumble (২০০০)

Sixth Triple Crown Champion

Deadly Games WWF Championship Tournament (১৯৯৮)

Slammy Award

Best Actor (২০১৪)

Game Changer of the Year (২০১১) – with John Cena

Guess Who's Back or: Return of the Year (২০১১)

LOL! Moment of the Year (২০১২, ২০১৩) – insulting John Cena using the history of Boston, Massachusetts, Rock Concert on the ২০th anniversary episode of Raw

Match of the Year (২০১৩) – vs. John Cena for the WWE Championship at WrestleMania ২৯

New Sensation (১৯৯৭)

"Tell Me You Didn't Just Say That" Insult of the Year (২০১৪) – insulting Rusev এবং Lana

"This is Awesome" Moment of the Year (২০১৫) – with Ronda Rousey


• লেখক : শাফকাত নাওয়াজ গুড্ডু ও রেসলিং বাংলা।

THE ROCK : দ্যা রক

আসল নাম

Dwayne Douglas Johnson

জন্মদিন

২ মে, ১৯৭২

জন্মস্থান

Hayward, California, U.S

বাসস্থান

Miami, Florida, US

উচ্চতা

৬ ফুট ৫ ইঞ্চি (১.৯৫ মি)

ওজন

১১৮ কেজি (২৬০ পাউন্ড)

ট্রেনারস

Pat Patterson, Rocky Johnson, Tom Prichard

অভিষেক

১৯৯৬ সাল

অবসর

২০১৯ সাল


বৃষ রাশির জনক দ্যা রকের জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ার হাওয়ারডে, ১৯৭২ সালের ২ মে। দ্যা রক হচ্ছে তিন পুরুষের রেসলার। তার বাবা রকি জনসন এবং পিতামহ পিটার মায়াভিয়া উভয়েই ছিলেন যার যার সময়ের তারকা রেসলার। শৈশবে দ্যা রক, যার প্রকৃত নাম ডোইয়ানে জনসন, পিতামহ এবং বাবার এই খ্যাতি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। বাবার লড়াই তো রিং-এর পাশে বসে দেখেছেন বহুবার।

রক যে কেবল জনগণের চ্যাম্পিয়ন নন বরং আক্ষরিক অর্থেই একজন মহান চ্যাম্পিয়ন। এ পর্যন্ত WWF/E চ্যাম্পিয়ন হ্যেছেন ৮বার। WCW/World চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ২ বার। এছাড়া ট্যাগটিম চ্যাম্পিয়ন (৫ বার), ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়ন (২ বার), রয়েল রাম্বল (১ বার, সাল ২০০০) হয়েছেন। তিনি ৬স্ট ট্রিপল ক্রাউন চ্যাম্পিয়ন।

♦ ব্যক্তিগত জীবন : 

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১৯৯৭ সালে Danny Garcia এর সাথে তার প্রথম বিয়ে হয়। ২০০১ সালে তাদের এ ঘরে একটি সন্তান ও হয়। ২০০৭ সালে তারা আলাদা হয়ে যায়। ২০০৭ সাল থেকেই তিনি Lauren Hashian এর সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৫ সালে তাদের একটি কন্যাসন্তান জন্ম হয় যার নাম রাখা হয় জেসমিন। ২০০০ সালে 'The Rock Says...' নামক একটি অটোবায়োগ্রাফি বের করা হয় যার লেখক ছিলেন Joe Layden। 

মুভির পাশাপাশি তিনি প্রো রেস্লিংএও মাঝে মাঝে আসেন। বর্তমানে WWE তে তিনি একজন পার্টটাইমার হিসেবে কর্মরত আছেন। ছেলেবেলা থেকেই নিজের পিতা এবং দাদার মত একজন সফল প্রো রেস্লার হতে চেয়েছিলেন। এবং যতদিন রেস্লিং জগতে ছিলেন সফল ই ছিলেন। এবং একই সাথে নিজের বুদ্ধিমত্তার কারণে "অভিনয় জগত" এও নিজেকে সফল হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছেন।

মজার ব্যপার তার একটি দারুণ "গিনিজ বুকের ওয়ার্ল্ড রেকর্ড" রয়েছে। যেটি হল, তিনি ২০১৫ সালে ৩মিনিটে সর্বোচ্চ (১০৫টি) সেল্ফি তুলেছেন ফ্যান দের সাথে । এছাড়াও চ্যারিটিতে সর্বোচ্চ ১মিলিয়ন ডলার অনুদান এর রেকর্ড ও রয়েছে তার।

♦ দ্যা রকের রেসলিং ক্যারিয়ার :

• রেসলিং জগতে প্রবেশের ইতিহাস :

১৯৮৩ সালের একটি ঘটনা তার স্পষ্ট মনে আছে। তার বয়স তখন মাত্র ১১ বছর। এ বয়সের ছেলেরা মাঠে খেলাধুলা, ডাকটিকেট সংগ্রহ, কার্টুন দেখা কিংবা কমিক বই পড়া নিয়ে ব্যস্ত যখন, তখন কিশোর ডোইয়ানে রিং-এর পাশে গভীর আগ্রহ নিয়ে বসে বাবার রেসলিং দেখতেন। ১৯৮৩ সালের সে দিনটি ছিল ওয়াল্ড রেসলিং ফেডারেশনের ট্যাগ টিম শিরোপার লড়াই।

টনি এটলাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে তার বাবা রকি জনসন অবতীর্ণ হয়েছিলেন সে শিরোপা লড়াইতে। রকি-টনি জুটিই শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছিলেন। পুরো সময় গ্যালারি জুড়ে দর্শকদের মধ্যে উন্মাতাল চিৎকার ছিল- রকি! রকি! অন্য সকলের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে কিশোর ডোইয়ানেও বাবার নাম ধরে চিৎকার করছিল এক ভক্ত হিসেবে। সেই দিনের সেই উত্তেজনা আর আনন্দের কথা পিতাকে অতিক্রম করা রেসলার দ্যা রক আজো ভুলতে পারেনি। 

রেসলিং-এর প্রতি ডোইয়ানে জনসনের এই বিপুল আগ্রহের পরও কিন্তু তার পিতা কিংবা স্কুলের শিক্ষকরা ভাবেননি যে এ ছেলেটি একদিন ভাল রেসলার হতে পারবে। বরং তাদের দৃষ্টি ছিল অন্য দিকে। ডোইয়ানে জন্মগতভাবেই ছিল এক দারুন অ্যাথলেট। বিশেষ করে ফুটবলে তার পারদর্শিতা এতটাই ছিল যে, সে স্কুলে থাক্তেই অল আমেরিকার সেরা ৫০ ফুটবলারের তালিকার মধ্য ঢুকে গিয়েছিল তার নাম। ফলে কৈশোর থেকেই স্কুলে এবং এবং সমবয়সীদের মদ্যে দারুন জনপ্রিয় ছিল ডোইয়ানে। 

সে সময়েই তার মধ্যে একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখা যেতে থাকে। হয়ত ডোইয়ানে কোথাও হেঁটে যাচ্ছে, এ সময় তার কোন বন্ধু অভিনন্দন বা সম্ভাষণ জানাল তাকে। জবাবে দাঁড়িয়ে পাল্টা যে অভিবাদন জানাবে, সে স্বভাব ছিল না ডোইয়ানের। বরং হাঁটার গতি কমিয়ে ভ্রু একটু উপর দিকে উঠিয়ে বলত “তোমার শুভেচ্ছা আমি গ্রহণ করলাম।” তার এই অভ্যাসটি এখনও আছে। কৈশোরে তার এই প্রবণতার কারণে বড়দের কাছে বহুবার সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। আর এখন তার এই ভ্রু তোলার ভঙ্গিটি বাড়িয়ে দিয়েছে জনপ্রিয়তা। অনন্য এই ভঙ্গী তার ভক্তদের মাঝে অনুকরণের একটি প্রবণতা দৃশ্যমান হয় প্রায়ই।

১৯৯০ সালের শেষদিকে, ডোইয়ানে জনসন তখন ফ্লোরিডার ইউনিভার্সিটি অব মায়ামির ছাত্র। বাবা চাইতেন ছেলে তার মত রেসলার হোক। বংশের নাম রাখুক। কিন্তু ছেলে কি আসবে এই লাইনে? পিতার চিন্তা একেবারে অমূলক ছিল না। কারণ ডোইয়ানে তখন ফুটবলার হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে চলে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে দলে রক্ষণভাগে তার খেলা দেখে জাতীয় দলে তার স্থান পাওয়া নিয়ে কারও মনে কোন সন্দেহ ছিল না।

কিন্তু তরুণ ডোইয়ানে জনসনের লক্ষ্য ছিল অন্য রকম। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন তিনি ক্রিমিনোলজি নিয়ে। এ বিষয়েই গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন। তার ইচ্ছা ছিল সরকারের সিক্রেট সার্ভিসে যোগ দেওয়ার। এ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগও করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সিক্রেট সার্ভিসে যোগ দেওয়া হয়ে উঠল না। কারণ হিসেবে দ্যা রকের ভাষ্য- সিক্রেট সার্ভিসে ঝুঁকির তুলনায় পুরষ্কারের পরিমাণ খুবই কম। আকাঙ্খার পেশায় যাওয়া হলই না, অগত্যা পিতার ইচ্ছাকেই মূল্য দিলেন তিনি। যোগ দিলেন পেশাদার রেসলিং-এ। 

ডোইয়ানে জনসন পেশাদার রেসলার হিসেবে WWE (তৎকালীন WWF) রিন-এ প্রথম নামেন ১৯৯৬ সালে। প্রথা অনুযায়ী প্রথম দিন থেকেই তিনি গ্রহণ করেন পোশাকী নাম। যে নামটি তিনি গ্রহণ করেন তার মধ্যেও আছে বৈচিত্র্য। রেসলিং-এ তাদের পারবারিক ঐতিহ্য এবং নিজে যে পরিবারের ৩য় প্রজন্মের রেসলার- এ কথাটি তিনি স্মরণ করিয়ে দিলেন পেশাদারী নামটির মধ্য দিয়ে। বাবা ও নানার নামের অংশ মিলিয়ে ‘রকি মায়াভিয়া’ নামটি রাখলেন।

• জনপ্রিয়তা অর্জন :

WWE সার্কিটে অভিষেক হল তার ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে সারভাইভার সিরিজ পিপিভিতে। আসলে এই সারভাইভার সিরিজের লড়াই সাধারণত তেমন একটি গুরুত্ব পায় না বোদ্ধা মহলে। কারণ একটাই-একসাথে অনেকে লড়তে নামেন রিং-এ। ফলে অনেক রেসলারই যোগ্যতার যথাযথ পরিমাপ হয়তো এ সিরিজে সেভাবে হয়না।

কিন্তু তারপরও পেশাদারী জীবনের প্রথম লড়াই সারভাইভার সিরিজে একেবারে মাত করে দিলেন নবাগত রকি মায়াভিয়া। গ্যালারির দর্শকদের মধ্যে কেউ যে কথাটি ভাবেনি, তাই করে দেখালেন তিনি। সকলকে অবাক করে দিয়ে সোল সারভাইভার হয়ে গেলেন রকি। 

দর্শকদের মাঝে শুরুতে দারুন গুঞ্জন উঠল- কে এই রকি মায়াভিয়া? পরে নাম দেখে অনেকেই বুঝতে পারলেন পিটার মায়াভিয়ার নাতি আর রকি জনসনের যোগ্য পুত্র এই রকি মায়াভিয়া নামের জ্বলজ্বলে তারকাটি। সুদর্শন রকি প্রথম ম্যাচেই পেয়ে গেলেন বিপুল ভক্ত ও সমর্থক।

• জনপ্রিয়তা হ্রাস এবং তার সমাধান :

সে সময় ট্রিপল এইচও একজন উঠটি তারকা। অনেকেই ভাবল এই দু’জনের লড়াই হলে বেশ হয়। দিন কয়েকের মধ্যে মুখোমুখি হলেন তারা ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়নশিপে এবং রকি ম্যাচটি জিতে নেন, কিন্তু দর্শকদের মন ভরাতে পারলেন না।

আস্তে আস্তে তার নিন্দুকের সংখ্যা বাড়তে থাকল। তার সমর্থকরা রাগে, ক্ষোভে মন্তব্য করলো-এত ভদ্রতা দিয়ে আর যাই হোক রেসলিং হয় না। রেসলিং-এ সফলতা তথা তারকাখ্যাতি পেতে হলে আরও বেপরোয়া, আরও রুক্ষ-নির্দয় হওয়া দরকার। বিষয়টি রকি নিজেও উপলব্ধি করলেন, সিদ্ধান্ত নিলেন- পাল্টাতে হবে নিজের অতি ভালমানুষী ইমেজ।

ঠিক এই সময়েই সমস্ত ভক্তকে বিস্মিত করে তিনি যোগ দিলেন বিতর্কিত গ্রুপ ‘নেশন অব ডোমিনেশন’ স্টেবলে। এই স্টেবলের তখন নেতা ছিলেন আরেক কীর্তিমান রেসলার ফারুক। বিতর্কিত একটি গ্রুপে তার এই যোগদানকে প্রকাশ্যে যে যাই বলুক না কেন, দ্যা রক পরবর্তীকালে প্রমাণ করেছেন যে, তার সেদিনের সে সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক। 

আসলে রেসলিং-এর অনেক জটিল কলাকৌশল আয়ত্তে নিতে পেরেছিলেন তিনি সে সময়েই। নেশন অব ডোমিনেশনের নেতা ফারুক তখন রেসলিং জগতে বেশ সুপ্রতিষ্ঠিত নাম। কিন্তু রকি দলে যোগ দেওয়ার পর কয়েকটি ম্যাচের মাধ্যমেই পরিবর্তিত হয়ে গেল জনপ্রিয়তার ব্যারোমিটার।

দেখা গেল আগে ফারুক রিংএ প্রবেশের সময় যেরকম উল্লাস দেখা যেত দর্শকদের মধ্যে, তার অনেকটাই যেন রাতারাতি কমে গেছে। বিপরীত দিকে দ্বিগুণ সমর্থন, উল্লাস দেখা গেছে রকির উপস্থিতির সাথে সাথে। এর পরেও নেশন অব ডোমিনেশনে প্রথমে কয়েক মাসে পুরো দল এবং দলপতির প্রতি দারুণ অনুগত ছিলেন রকি।

• 'দ্যা রক' নামের সূচনা :

ঠিক এ সময়েই, একটি দলের সাধারণ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও দারুণ জনপ্রিয়তা যখন তার, নাম পরিবর্তন করলেন তিনি। রকি মায়াভিয়া থেকে এক রাতে বনে গেলেন ‘দ্যা রক’। অবশ্য তার এই নাম পরিবর্তনের পেছনে দর্শকদেরও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

একদিন এক দারুণ পারফরমেন্স দেখানোর পর দর্শকরা রকি, রকি বলে চিৎকার করছিল। তারা উচ্চারণের সুবিধার জন্যে রকি মায়াভিয়াকে কেবল রকিতে পরিণত করে নিয়েছিলেন। কিছু সময় পর আরও সংক্ষেপিত হয়ে তা দাড়াল কেবল রক-এ। নতুন এ নামটি তারও মনে ধরল, রকি মায়াভিয়া পরিণত হলে ‘দ্যা রক’-এ।

• অস্টিনের সাথে ফিউড :

১৯৯৭ সালটি বলা যায় রকের জন্য স্মরণীয় বছর। সে সময় তিনি তৎকালীন ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়ন স্টোন কোল্ড স্টিভ অস্টিনের সাথে ফিউডে জড়িয়ে পরেন। অস্টিন তখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। আর রক সবে উঠতি তারকা।

১ম মোকাবেলায় রক, অস্টিনের কাছে হারলেও ২য় দফায় ঠিকই তার থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নেন। রকের পারফরম্যান্স অস্টিনকে মুগ্ধ করে। তিনি বলেন, ‘এত দিনে লড়াই করার মত সত্যিকারের একজনকে পেয়েছি।’ তার এ মন্তব্য যে কিছুমাত্র বাড়িয়ে বলা ছিল না, তা প্রমাণিত হতে খুব একটা সময় লাগেনি।

• ট্রিপল এইচের সাথে ফিউড :

রকের জনপ্রিয়তার পিছে অস্টিন-রক ফিউড প্রভাবক হিসেবে কাজ করলেও দর্শকরা সম্ভবত সবচেয়ে বেশী উপভোগ করেছে রক আর ট্রিপল এইচ ফিউডটি। বিশেষ করে ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত সামারস্লামে রক আর ট্রিপল এইচের মধ্যকার ম্যাচটি দর্শক হৃদয়ে মর্যাদার অন্যতম আসন দখল করে নিয়েছে। রক তখন ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়ন। পূর্ববর্তী ৯ মাস ধরে বেল্টটি শোভা পাচ্ছিল তার কোমরে। এর আগে এত দীর্ঘ সময় খুব কম রেসলারই এই কাজটি করে দেখিয়েছিল। 

অপরদিকে ট্রিপল এইচও তখন এই জগতের সেরা রেসলারদের ১ম সারিতে অবস্থান করছিল। শিরোপা নির্ধারণের জন্য Stipulation ছিল এটি হবে ল্যাডার ম্যাচ। দু’জনের আলোচিত সেই লড়াই চলেছিল পুরো ৪৫ মিনিট। WWE-এর ইতিহাসে এ লড়াইটিকে এখনো শ্রেষ্ঠ ম্যাচগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দুই সুপার স্টারই প্রাণপণে লড়েছিলেন তাতে। দর্শকরা উভয়েরই দারুণ সব কৌশল দেখেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রককে হেরে যেতে হয়। বেল্ট চলে যায় ট্রিপল এইচের দখলে। 

বেল্ট হারালেও রক জয় করে নেন আরো বড় কিছু, আর তা হল দর্শকদের ভালবাসা। ট্রিপল এইচ যখন বেল্ট নিয়ে রিং ছাড়ছিলেন তখনও দর্শকদের কন্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল-‘রকি, রকি, রক!’ আসলে ১৯৯৮ সালের সেই সামার স্লামে পরাজয়ের মধ্য দিয়েই জনগণের চ্যাম্পিয়নে (The People's Champion) পরিণত হন দ্যা রক।

• রেসলিং থেকে বিরতি নিয়ে হলিউডে প্রবেশ :

২০০০ সালের পরে তিনি হলেন পুরোদমে ফেস রেসলার, Attitude Era এর মেইন ফেস হয়ে যাওয়ার পরে তার ফ্যান সাপোর্ট আরো বেড়ে গিয়েছিল। তিনি দিয়েছেন অনেক ঐতিহাসিক ম্যাচ যেমন Steve Austin, The Undertaker, Triple H, Mankind, Kurt Angle -দের সঙ্গে খেলা তার ম্যাচ। এছাড়াও তিনি রেসেলমেনিয়ার দুই ড্রিম ম্যাচের সাক্ষী ছিলেন, যথাক্রমে- Hulk Hogan, John Cena এর বিরুদ্ধে।

২০০৩ সালে তিনি এক্টিভ রেসলার হিসেবে WWE ত্যাগ করে হলিউডে প্রবেশ করেন, তাছাড়া অনেক বিখ্যাত মুভি যেমন Fast & Furious, The Rundown, Scropian King, Doom প্রভৃতির মূল নায়ক হিসেবেও অভিনয় করেছেন। এখনো তিনি অসামান্য একজন অভিনেতা হিসেবে হিট সিনেমা করে যাচ্ছেন।

• WWE তে রিটার্ন ও সিনার সাথে ফিউড :

দীর্ঘ ৭ বছরের পরে ২০১১ আসলের ১৪ই ফেব্রুয়ারি দ্যা রক Raw তে রিটার্ন করেন এবং সেখানে তাকে WrestleMania XXVII এর হোস্ট হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সেখানে দর্শকদের চরম উৎসাহের মধ্যে রক জন সিনার সাথে ফিউড শুরু করেন। WrestleMania XXVII তে রক সিনাকে অ্যাটাক করে যারফলে সিনা WWE চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে ব্যর্থ হয়।

এরপরে রক এবং সিনার মধ্যে অসাধারণ কিছু প্রোমো কাট করা হয়, বিশেষ করে রক এইসব প্রোমোর মাধ্যমে দর্শকদের চরমভাবে বিনোদন দেন।  ২০১২ সালের ১লা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত রেসেলমেনিয়া XXVII বা ২৮ এ দ্যা রক সিনাকে ঐতিহাসিক ম্যাচে পরাজিত করেন।  রক ও সিনার এই ম্যাচটা ছিল প্রফেশনাল রেসলিং ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী বিক্রিত পেইপারভিউ ইভেন্ট। এরপরে রক তার WWE চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।

• পাঙ্কের সাথে ফিউড ও WWE চ্যাম্পিয়নশিপ জয় :

'Raw 1000' স্পেশাল এপিসোডে দ্যা রক রয়্যাল রাম্বালে WWE চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ খেলার কথা বললে তৎকালীন WWE চ্যাম্প সি এম পাঙ্কের সঙ্গে তার ফিউড শুরু হয়। ফিউড চলাকালীন পাঙ্কের হয়ে দ্যা শিল্ড রককে অ্যাটাক করলে ভিন্স মিকম্যান শর্ত দেন যে পাঙ্কের সাথে রকের চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে শিল্ড ইন্টারফেয়ার করলে পাঙ্কের কাছ থেকে টাইটেল কেড়ে নেওয়া হবে।

২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত Royal Rumble পিপিভিতে রক ও পাঙ্কের চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ লাইট বন্ধ হয়ে যায় এবং রককে কেউ বা কারা অ্যাটাক করে। তখন ভিন্স এসে পাঙ্ককে টাইটেলচ্যুত করতে চাইলে রক সেই ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। সেই ম্যাচে পাঙ্ককে পরাজিত করে দ্যা রক অষ্টমবারের মতো WWE চ্যাম্পিয়নশিপ জয়লাভ করে।

পরে  Elimination Chamber পিপিভিতে দ্যা রক পাঙ্কের বিরুদ্ধে টাইটেল ডিফেন্ডে সক্ষম হয়। পরের Raw তে WWE চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্টের নতুন ডিজাইনের উদ্বোধন করা হয় যার সাইড প্লেটে রকের  "Brahma Bull" লোগো ছিল।  এরপরে রক রয়্যাল রাম্বাল বিজয়ী জন সিনার সাথে পুনরায় ফিউড শুরু করে।

• সিনার কাছে টাইটেল হারানো ও ইনজুরি :

৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত রেসেলমেনিয়া ২৯ এ জন সিনা দ্যা রককে পরাজিত করে নতুন WWE চ্যাম্পিয়ন হয়, যার ফলে রকের ৭০ দিনের টাইটেল রেইন সমাপ্ত হয়। এরপরে আবার রকের টাইটেল রিম্যাচ পাওয়ার কথা থাকলেও সিনার সঙ্গে ম্যাচটিতে হওয়া গুরুতর ইনজুরির কারণে তা বাতিল করা হয় এবং রকের টেনডন জোড়া দেওয়ার সার্জারি করতে হয়। এরপরে রক আর সিরিয়াসলি রেসলিং করেননি।

পরে দ্যা রক ২০১৪ সালের  WrestleMania XXX এর ওপেনিং সেগমেন্টে অস্টিন ও হোগানের সঙ্গে উপস্থিত হয়। ২০১৫ এর রয়্যাল রাম্বালে রক তার সম্পর্কিত রেসলার রোমান রেইন্সকে বিগ শো ও কেইনের বিরুদ্ধে সাহায্য করে। রেসেলমেনিয়া ৩১ এ রক এবং  Ronda Rousey মিলে ট্রিপল এইচ ও স্টেফানি মিকম্যানকে ফেস অফ করে।

২০১৬ সালের রেসেলমেনিয়া ৩২ এ রক উপস্থিত হয়ে দর্শকদের জানায় যে এইবারে রেসেলমেনিয়া ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক লোক ইভেন্টটি অ্যাটেন্ড করেছেন, তখন The Wyatt Family তাকে ইন্টারাপ্ট করে।  এর ফলে  Erick Rowan এর সঙ্গে দ্যা রকের তৎক্ষণাৎ ম্যাচ ঠিক হলে মাত্র ৬ সেকেন্ডে রক এরিককে রক বটম মেরে পিন করে জিতে যায়। এটা রেসেলমেনিয়া ইতিহাসে দ্রুততম জয় ছিল। এরপরে জন সিনা এসে রককে Wyatt ফ্যামিলির বাকি মেম্বারদের বিরুদ্ধে সাহায্য করে।

• দ্যা রকের রেসলিং থেকে অবসর :

২০১৯ এর ৩রা আগস্টে দ্যা রক অফিসিয়ালি তার রেসলিং থেকে অবসরের ঘোষণা করে। এরপরে স্ম্যাকডাউনের ২০ তম অ্যানিভার্সারিতে রক এসে বেকি লিঞ্চ এর সাথে একটা প্রোমো কাট করলে  King Corbin তাতে বাঁধা দেয়। তখন দ্যা রক করবিনকে অ্যাটাক করে বিদায় করে এবং বেকির সাথে সেই দিবস উদযাপন করে।

এরপরে ২০২০ সালে ইমপ্যাক্ট রেসলিং এর Bound for Glory পিপিভিতে ভিডিও ম্যাসেজের মাধ্যমে রক  Ken Shamrock কে ইমপ্যাক্ট হল অফ ফেমে ইন্ডাক্ট করে।

দ্যা রক প্রতিবার আসলেই ফ্যানদের চিয়ারে পুরো এরিনা ইলেক্ট্রিফাইং হয়ে যায় এবং মাইক হাতে নিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন তিনি। তাই আশা করি রেসলিং থেকে অবসর নিলেও তিনি মাঝে-সাঝে স্পেশাল আপিয়ারেন্স করতে থাকবেন।

♦ হলিউড অভিনেতা হিসাবে Dwayne Johnson :

রেসলিং এর পাশাপাশি রুপালী পরদাতেও রক মারাত্মক সফল। তার আগে ও পরে অনেকেই রূপালী পর্দাতে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করেছে, কিন্তু কেউই তার মত সফল হয়নি। ১৯৯৯ সাল থেকেই ছোটোখাটো স্থানে অভিনয় করেন তিনি। 

"That 70's show" নামক একটি শো তে তিনি প্রথমে তার পিতার চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়াও বিভিন্ন শো এর দু এক পর্বে হঠাত বিঠাত গেস্ট এপিয়ারেন্স হিসেবে তাকে দেখা যায়। তবে 'বক্স অফিস' ধামাকা শুরু হয় ২০০০ সালের পরে যেখানে তিনি ২০০১ সালে 'The Mummy Returns' নামক মুভির মাধ্যমে অভিষেক ঘটান।

পরবর্তীতে আরো অনেক অসাধারণ মুভির মাধ্যমে আমাদের এখনো বিনোদিত করে যাচ্ছেন। ক্যারিয়ারে তিনি বিভিন্ন রকমের একশন-থ্রিলিং-কমেডি মুভিতে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বর্তমান জেনারেশন এর সবচেয়ে বিখ্যাত সিকুয়েল সাগা "Fast and the furious" এর ৫ম সিকুয়েলে তিনি সর্বপ্রথম কাজ করেন। এবং পরবর্তী ৬ষ্ঠ, ৭ম সিকুয়েলেও তিনি আছেন।

• তার এখন পর্যন্ত্য করা সকল মুভিসমূহ :

  • Beyond the Mat (১৯৯৯)
  • Longshot (২০০০)
  • The Mummy Returns (২০০১)
  • The Scorpion King (২০০২)
  • The Rundown (২০০৩)
  • Walking Tall (২০০৪)
  • Be Cool (২০০৫)
  • Doom (২০০৫)
  • Gridiron Gang (২০০৬)
  • Reno ৯১১!: Miami (২০০৭)
  • Southland Tales (২০০৭)
  • The Game Plan (২০০৭)
  • Get Smart (২০০৮)
  • Race to Witch Mountain (২০০৮)
  • Planet ৫১ (২০০৯)
  • Tooth Fairy (২০১০)
  • Why Did I Get Married Too? (২০১০)
  • The Other Guys (২০১০)
  • You Again (২০১০)
  • Faster (২০১০)
  • Fast Five (২০১১)
  • Journey ২: The Mysterious Island (২০১২)
  • Snitch (২০১৩)
  • G.I. Joe: Retaliation (২০১৩)
  • Pain & Gain (২০১৩)
  • Fast & Furious ৬ (২০১৩)
  • Empire State (২০১৩)
  • Hercules (২০১৪)
  • Furious ৭ (২০১৫)
  • San Andreas (২০১৫)
  • Central Intelligence (২০১৬)
  • Moana (২০১৬)
  • Fast & Furious 8 (২০১৭)
  • Baywatch (২০১৭)
  • Jumanji: Welcome to the Jungle (২০১৭)
  • Rampage (২০১৮)
  • Skyscraper (২০১৮)
  • Fighting with My Family (২০১৯)
  • Fast & Furious: Hobbs & Shaw (২০১৯)
  • Jumanji: The Next Level (২০১৯)
  • Red Notice (২০২১)
  • Jungle Cruise (২০২১)
  • Black Adam (২০২২)

• মুভি জগতের কিছু অর্জন :

  • ২০০১: Teen Choice Awards – Choice Movie Villain
  • ২০১২: CinemaCon Action Star of the Year
  • ২০১৩: Kids Choice Awards – Favorite Male Butt Kicker
  • ২০১৬: People's Choice Award – Favorite Premium Cable TV Actor
  • ২০১৬: People Magazine Sexiest Man Alive
  • ২০১৭: Star on the Hollywood Walk of Fame
  • ২০১৭: People's Choice Award for Favorite Premium Series Actor

♦ দ্যা রকের ব্যাপারে অজানা কথা :

১) The Rock WWE ইতিহাসের সর্বপ্রথম Third Generation রেসলার এবং World Champion.

২) তার নানা ও বাবা রেসলিং করতেন, বংশের পেশা অনুযায়ী তার রেসলার হবার কথা থাকলেও The Rock প্রথমে রেসলার হতে চাননি। 

) The Rock ছোটবেলা থেকেই সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন। মাছ ধরা তার প্রিয় শখ

) The Rock সমুদ্রে খুব দক্ষ ভাবে ডুব দিতে পারেন এবং Surfing করতে পারেন। সমুদ্রের দক্ষ মাছ শিকারো করতে পারেন। 

) The Rock একমাত্র রেসলার যিনি Oscar Gala তে আমন্ত্রিত হয়েছেন। 

The Rock WWE এর সবচেয়ে ধনী রেসলার। তার পুরো এক বছরে আয় ১.৪৭ বিলিয়ন ডলার। 

) The Rock এর Mic Skill কে WWE এর #১ নাম্বার Mic Skill বলে অফিশিয়ালি গণ্য করা হয়

) ২০০০ সালে করা The Rock এর এন্টেরেন্স থিম,"The Rock Says" সেইবছরের সেরা Entrance Theme এওয়ার্ড পায় এবং বেশিবার বিক্রিত/ডাউনলোড হয়

) The Rock সর্বপ্রথম "If you Smell What Rock is Cooking" ডায়ালগ টি বলেন Wrestlemania XIV তে। 

১০) তিনি একমাত্র রেসলার যিনি তিন যুগের তিন বিখ্যাত রেসলার এর সাথে Wrestlemania তে খেলেছেন। (Hulk Hogan, Steve Austin,John Cena)

১১তিনি বাস্তবে Shawn Micheals কে পছন্দ করেন না, কারণ Shawn তাকে ফালতু রেসলার বানাতে চেয়েছিল এবং তার নানীর সাথে Sexual Harassment করেছিলেন। তার সাথে আজ পর্যন্ত কোন সিঙ্গেল ম্যাচ খেলেনি

১২তিনি একমাত্র রেসলার যিনি ২ মাসেই তিনবার WWE Champion হন। 

১৩) যেদিন তিনি প্রথম WWE তে Debut করেন সেদিন তিনি Survivor Series এলিমিশন ম্যাচে Soul Surviver হন। 

১৪তিনি যেদিন প্রথম WWE চ্যাম্পিয়ন হন, সেদিন তার বাবা-নানা Tag Team Champion হয়েছিলেন। 

১৫তিনি Attitude Era এর মেইন ফেস এবং পোস্টার বয়। 

১৬তার বাস্তব জগৎতের বেস্ট ফ্রেন্ড হলো John Cena, Steve Austin, Booker T, Jerry Lawler, Bret Hart সহ অনেকেই। 

১৭তার মতে তার সবচেয়ে সেরা অপনেন্ট Steve Austin. তার শকিং ক্যারিয়ার হার হলো Hurricane এর সাথে রোল-আপে হারা। 

১৮তিনি WWE তে এক বছরে সর্বোচ্চ ১৩ Million ইনকাম করেছেন

১৯) তিনি একজন সেরা অভিনেতা। Fast Furious, Fast Five, The Scropian King সহ অনেক হিট সিনেমা করেছেন। তিনি WWE এর পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ও সেরা নায়ক। 

২০তিনি অধিকাংশ সিনেমা তে মেইন হিরো ছিলেন। সর্বপ্রথম Doom সিনেমাতে ভিলেন চরিত্রে আসেন। 

২১তিনি দৈনিক ছয়বার খান, তিনি এরচেয়ে বেশিখান। প্রতিবারে তিনি তিনজন মানুষের সমান খাবার খান। 

২২তার ফেভারিট খাবার হলো Chocolate Pie. এবং তিনি ড্রিংক করতেও ভালবাসেন। 

২৩তিনি প্রচুর টাকার মালিক হলেও, সাদাসিধে জীবন-যাপন করতে পছন্দ করেন। তিনি তার চ্যারিটি তে প্রতিমাসে ১ মিলিয়ন অর্থ দান করেন। 

২৪তিনি নিয়মিত ট্রেইনিং করেন। এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপন করেন। 

২৫তাকে যখন ব্যাকস্টেজে পলিটিশিয়ান Triple H,Shawn জব্বার বানাতে গেলেও পারেনি তখন Triple H নিজে বলেছিলেন "He is a God Gifted Wrestler"

২৬তিনি সর্বশেষ WCW চ্যাম্পিয়ন। 

♦ রেসলিং জগতে অর্জন সমূহ :

Pro Wrestling Illustrated

Match of the Year (১৯৯৯) vs. Mankind in an "I Quit" match at Royal Rumble

Match of the Year (২০০২) vs. Hollywood Hulk Hogan at WrestleMania X৮

Most Popular Wrestler of the Year (১৯৯৯, ২০০০)

Wrestler of the Year (২০০০)

Ranked No. ২ of the top ৫০০ singles wrestlers in the PWI ৫০০ in ২০০০

United States Wrestling Association

USWA World Tag Team Championship (২ বার) – with Bart Sawyer

Wrestling Observer Newsletter

Best Box Office Draw (২০০০, ২০১১, ২০১২)

Best Gimmick (১৯৯৯)

Best on Interviews (১৯৯৯, ২০০০)

Most Charismatic (১৯৯৯

Most Improved (১৯৯৮)

Wrestling Observer Newsletter Hall of Fame (Class of ২০০৭)

WWE/World Wrestling Entertainment/Federation

WCW Championship (২ বার)

WWE Championship (৮ বার)

WWF Intercontinental Championship (২ বার)

WWF Tag Team Championship (৫ বার) – with Mankind (৩), The Undertaker (১), এবং Chris Jericho (১)

Royal Rumble (২০০০)

Sixth Triple Crown Champion

Deadly Games WWF Championship Tournament (১৯৯৮)

Slammy Award

Best Actor (২০১৪)

Game Changer of the Year (২০১১) – with John Cena

Guess Who's Back or: Return of the Year (২০১১)

LOL! Moment of the Year (২০১২, ২০১৩) – insulting John Cena using the history of Boston, Massachusetts, Rock Concert on the ২০th anniversary episode of Raw

Match of the Year (২০১৩) – vs. John Cena for the WWE Championship at WrestleMania ২৯

New Sensation (১৯৯৭)

"Tell Me You Didn't Just Say That" Insult of the Year (২০১৪) – insulting Rusev এবং Lana

"This is Awesome" Moment of the Year (২০১৫) – with Ronda Rousey


• লেখক : শাফকাত নাওয়াজ গুড্ডু ও রেসলিং বাংলা।

কোন মন্তব্য নেই

কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ!