প্রোফেশনাল রেসলিংয়ে, ইন্ডি/ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রমোশন বলতে বোঝায় অনেক গুলো ইন্ডিপেনডেন্ট প্রমোশন বা অনেক গুলো ইন্ডি শো/প্রমোশন-এর যৌথ রুপ যেগুলা খুব একটা জনপ্রিয় না অথবা টিভিতে সম্প্রচার করা হয়না। । ইন্ডি শো গুলো WWE বা Impact Wrestling -এর থেকে পরিসরে ছোট। 

যারা ইন্ডি শো তে রেস্লিং করে তাদের বলা হয় ইন্ডি রেস্লার। আবার, যারা শুধু একটি ইন্ডি শো -তে রেস্লিং করে তাদের বলা হয়, "working the indies" আর যারা একাধিক ইন্ডি শো-তে রেস্লিং করে তাদের বলা হয়, "working the indie circuit"

ইন্ডি শোগুলি হয় ছোট স্টেডিয়াম-এ, খোলা মাঠে, গ্যারেজ-এ কিংবা চার্চে। ইন্ডি শো গুলো কখনো-কখনো শুধু একটা নিদিষ্ট স্থানে হয়। কখনো আবার বিভিন্ন শহর ঘুরে ঘুরে হয়। মনে করেন, লন্ডনে কোন ইন্ডি শো হল। তারপর তার আশে-পাশে যে শহর গুলো আছে সেই শহর গুলো-তে তারা শো করবে।

ইন্ডি সার্কিট / ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রমোশন কী? - জেনে নিন।


সময়টা ছিলো ২০১৪ সালের শেষের দিকে। তখন ফিউড চলছিল এক সময়কার Dominating টিম Evolution এবং WWE এর আরেক Dominating টিম Shield এর মধ্যে। এই দুই Team এর শত্রুতার জেড় ধরেই একই সালের ৫ ই ডিসেম্বর RAW তে Batista এবং Roman এর মধ্যে একটি ম্যাচ হয়েছিল। ম্যাচটি সত্যিই বেশ ভালো ছিলো। আর Ending টাও ছিলো বেশ জমজমাট। আর সেই ম্যাচটি নিয়েই আমার আজকের পোস্ট। তো শুরু করা যাক।

ম্যাচে প্রথমেই Huge Pop এর সাথে Crowd দের মাঝ থেকে Entry নেয় Roman। সাথে ছিলো তার দুই Shield Brothers, Dean Ambrose এবং Seth Rollins। এরপর Triple H এবং Randy Orton এর সাথে রিংয়ে আসে Batista। ম্যাচ শুরু হয়। রিং সাইডের এক পাশে থাকে Triple H আর Randy এবং অপর পাশে থাকে Ambrose আর Rollins। 

ম্যাচ প্রিভিউ : রোমান রেইন্স বনাম বাতিস্তা।


• Pre-Show Match:

Mahabali Shera, Braxton Sutter, এবং Allie পিনফলএর মাধ্যমে হারিয়েছে KM, Kongo Kong, and Laurel Van Ness কে।

♦ 6মিনিটএর এই ম্যাচটি মোটামুটি avarage pre-show টাইপের ম্যাচের মতোই ছিল।
(তবে আমার মতে pre-show তে Everrett, Sydal, Xavier, Travor এদের কে নিয়ে একটা ফোর ওয়ে ম্যাচ করলে সেটা বেটার হতো।)

ম্যাচ রেটিং: ★★½

TNA’s 15th Anniversary: SLAMMIVERSARY XV রেজাল্ট


যদি কখনো জিজ্ঞাসা করা হয় যে রেসলিং রিং এর বাইরে সবচেয়ে টাফ রেসলার কে, তবে সবার প্রথমে আপনাদের মনে যাদের নাম আসবে তারা হচ্ছে Brock Lesnar, André The Giant, The Steiner Brothers ইত্যাদি। কিন্তু আজকে যাকে নিয়ে লিখতে চলেছি তার তুলনায় উপরে উল্লেখিত রেসলাররা কিছুই না। তিনি সেই ২ জন রেসলারদের একজন যাকে André The Giant পর্যন্ত ভয় পেত। তাকে সবাই এতটাই ভয় পেত যে তার ভয়ংকর কাজকর্মের পরও কেউ তাকে WCW থেকে ফায়ার করার সাহস দেখায়নি। তিনি হচ্ছেন Meng aka Haku.

Meng যে কতটা ভয়ংকর ছিল সে সম্পর্কে আপনাদের জানানোর জন্য আজ তার কয়েকটা ঘটনা আপনাদের বলব।

MENG : প্রো রেসলিং ইতিহাসের সবথেকে ভয়ঙ্কর মানুষ!


WWE এর রেসলাররা রিংয়ের ভিতরে যতই নিষ্ঠুর হোক না কেন, বাস্তব জীবনে তারাও সাধারণ মানুষের মতই। তাদেরও পরিবার আছে, বন্ধু-বান্ধব আছে। তারাও আর ৫ জন মানুষের মতো সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে সমাজে বসবাস করে। আজ এরকম ৭জন রিয়েল লাইফ হিরোদের নিয়েই আলোচনা করা হবে।

৭ জন সুপারস্টার যারা বাস্তব জীবনের হিরো।


রেসলিং কমিউনিটিগুলায়, রেসলারদের ঘৃণা করাটা একটা খুবই কমন ব্যাপার। আর অনেক ক্ষেত্রে এটা একটা ফ্যাশন আর ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। কেউ কেউ তো হুজুগে মাতালের মতো অন্য মানুষের দেখাদেখি কোনো রেসলারকে হেট করে থাকে। আবার অনেকে মনে করে কোনো রেসলারের অনেক গুণ থাকা সত্বেও তার সামান্য কিছু দোষ-ত্রুটি খুজে বের করে সেগুলাকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে হেট করতে পারলেই রেসলিং বিষয়ে পন্ডিত হওয়া যাবে। তবে অনেকে আছে যারা যথাযথ কারণে একজন রেসলারকে হেট করে।

সাধারণত একজন রেসলারকে যেসব কারণে মানুষ হেট করে থাকে সেগুলা হচ্ছে:

• ট্যালেন্ট কম থাকা,

 সেই রেসলারটির প্রতি মানুষের আগ্রহ না থাকা সত্ত্বেও তাকে পুশ দিতে থাকা,

 অতিরিক্ত পুশ দেওয়া,

 কোনো রেসলারের ফ্যানদের সাথে ঝামেলা হবার কারণে । 

এখন উক্ত পয়েন্টগুলা নিয়ে আলোচনা করা যাক -


 ট্যালেন্ট কম থাকা:-

একজন রেসলারকে হেট করার জন্য এটা খুব বড়সড় কারণ না। কম ট্যালেন্টেড রেসলারকে অপছন্দ করা যায়, ঘৃণা না। আর অপছন্দ আর ঘৃণা কখনোই এক না। তবে কেউ কেউ এ কারণে একজন রেসলারকে হেট করে। বিশেষ করে যখন একজন অপেক্ষাকৃত কম ট্যালেন্টেড রেসলারকে কোন কারণে বেশি পুশ দেওয়া হয়। যেমন- Jinder Mahal। একজন ভিন্ন রেসলারকে পুশ পেতে দেখে অনেকে খুশি হলেও অনেকেই এটাকে সমর্থন করছে না এবং তাকে হেট করছে।
তবে এটা সবার বোঝা উচিত যে WWE একটা ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান যেখানে তারা তাই করবে যা তাদের পকেট ভরতে সাহায্য করবে।

 আগ্রহ না থাকা সত্ত্বেও পুশ দিতে থাকা:-

এটি একজন রেসলারকে ঘৃণা করার আরেকটি কারণ। একজন ফ্যানদের আগ্রহ না থাকা সত্বেও তাকে পুশ দিতে থাকলে সেই রেসলারের প্রতি মানুষের একঘেয়েমি সৃষ্টি হয়। যার ফলে মানুষ তাকে হেট করে। যদিও এতে সেই রেসলারটির কোন দোষ নাই। সে শুধু তার বসের নির্দেশ পালন করছে।
তারপরেও অনেকে না বুঝেই একজন রেসলারকে ঘৃণা করে থাকে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে ২০১৫ সালের Royal Rumble জেতার পর থেকে Roman Reigns এর টপকার্ড পুশ। এক বছর আগেও বেশিরভাগ মানুষই চেয়েছিল যেন Roman Reigns Royal Rumble জিতে WrestleMania 30 এর মেইন ইভেন্টে রেসলিং করে। কিন্তু তার এক বছর পরেই পুরা দৃশ্য ১৮০° উল্টে যায়। আর WWE তখন দর্শকদের কথা মাথায় না রেখে একপ্রকার তাড়াহুড়া করে ইন্জুরি থেকে ফিরে আসা Roman কে WrestleMania তে মেইন ইভেন্ট হেডলাইন করতে দেয়। এছাড়াও প্রতি Royal Rumble ম্যাচে টপ ৩ এ থাকা, টানা তিনবার WrestleMania এর মেইন ইভেন্টে থাকা, ৬মাসের কম সময়ে তিনবার WWE Champion হওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলা তো আছেই।

 অতিরিক্ত পুশ দেওয়া:-

একজন রেসলারকে কম সময়ে একটানা পুশ দিতে থাকলে দর্শকরা তার প্রতি বোরিং অনুভব করে এবং ক্রিয়েটিভ টিমের কাজের জন্য রাগ হয়ে সেই রেসলারটির উপর রাগ ঝাড়তে থাকে। একসময় কোন রেসলার টানা ১০ বছর WWE Champion আর ৩০০০+ দিন অপরাজিত থাকলেও মানুষ খুব বোরড হত না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মানুষের রুচিরও পরিবর্তন হয়। বর্তমান সময়ের রেসলিং ফ্যানরা কোন রেসলারকেই বেশিদিন টপে দেখতে চায়না (অবশ্যই হাতে গোনা কিছু রেসলার এর ব্যাতিক্রম)। তারা নতুনত্ব চায়। তার উপরে একজন রেসলারকে ক্রমান্বয়ে পুশ দিতে থাকলে তো হিতে-বিপরীত হবেই। ফলে একজন রেসলারকে ঘৃণার শিকার হতে হয়।

♦ ফ্যানদের সাথে ঝামেলা হবার কারণে:-

ইন্টারনেটে কোন রেসলারের যে কয়জন হেটার দেখা যায়, আমার মতে তার বেশিরভাগ মানুষই এ কারণে কোনো রেসলারকে হেট করে। প্রথমে একজন ক্যাজুয়াল ফ্যান, যে কিনা স্বাভাবিকভাবে ফেসদের চিয়ার আর হিলদের বু দেয় এবং জানেনা যে রেসলিং স্ক্রিপ্টেড ইন্টারনেটে এসে একজন ফেস রেসলারের প্রশংসা এবং একজন হিল রেসলারের দুর্নাম করল।

উদাহরণস্বরূপ, হঠাৎ একজন ক্যাজুয়াল ফ্যান যে কিনা John Cena এর ফ্যান কোন এক রেসলিং গ্রুপে এসে পোস্ট দিয়ে বলল "John Cena is best wrestler. Kevin Owens আলুর বস্তা, খেলা পারেনা। পিছন থেকে মাইর দেয়।" নিজের পছন্দের রেসলারের সুনাম করাটা এবং তাকে বেস্ট বলাটা দোষ না, কিন্তু অন্য রেসলারের যখন দুর্নাম করে তখনই সমস্যাটা হয়। তা দেখে একজন Kevin Owens এর ভক্ত স্বাভাবিকভাবেই রেগে যাবে এবং সেও কাউন্টার পোস্ট করে প্রতিশোধ নিবে। বিন্দু বিন্দু জলে যেমন সাগর হয় তেমনি এসকল ছোট ছোট বিষয়গুলোই পরবর্তীতে বড় আকার ধারণ করে এবং দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা লাগে। রেসলিং ফ্যানেরা একজন আরেকজনকে রাগাতে তাদের পছন্দের রেসলারদের গালি দেয় এবং বিভিন্নভাবে অপমান করে। ফলে নিজেদেরও ব্যাক্তিত্ব নষ্ট হয়, আর রেসলারদেরও হেটার সৃষ্টি হয়।

একমাত্র এই কারণেই ২০১৪ সালের শুরুর দিকে কমিউনিটিতে Daniel Bryan এর মত একজন ট্যালেন্টেড রেসলারেরও অনেক হেটার পাওয়া যেত, Daniel Bryan ইন্জুর্ড হবার পর আবার যখন John Cena টপে আসে তখন তারও বিপুল পরিমাণে হেটার ছিল, আর এখন পুরো BWC তে Roman Reigns এর হেটার দিয়ে পরিপূর্ণ। কারণ স্বাভাবিকভাবেই যারা জানে না যে রেসলিং স্ক্রিপ্টেড, তারা ভাল চরিত্রের রেসলারদেরই সাপোর্ট করবে আর খারাপ চরিত্রের রেসলারদের ঘৃণা করবে। এক্ষেত্রে অন্যরা এ বিষয়গুলো এড়িয়ে চললেই পারে। আর আপনি মানুন বা না মানুন, Roman চলে গেলে যে টপকার্ডে দীর্ঘদিন ভালো চরিত্রে থাকবে তারও একই অবস্থা হবে। তাকেও অনেক মানুষ হেট করবে। এভাবে চলতেই থাকবে।

তবে একজন রেসলারকে ঘৃণা করার যত কারণই থাকুক না কেন, আমাদের কোন রেসলারকেই ঘৃণা করা উচিত না। একজন রেসলার প্রতি সপ্তাহে রেসলিং করে রেসলিংয়ের প্রতি ভালবাসার কারণে, আমাদের এন্টারটেইন করতে (এবং প্রচুর পরিমাণে অর্থ অর্জন করতে)। তারা রিংয়ের ভিতরে যা যা করে সেগুলোর সাথে তাদের বাস্তব জীবনের কোন সম্পর্ক নাই। তাই সব রেসলারদের সম্মান করুন, রেসলিংকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে নিন, নিজের পছন্দের রেসলারদের সাপোর্ট করুন আর অপছন্দের রেসলারদের এড়িয়ে চলুন। :)


• লেখক ঃ #Cold_Blooded_Fiend, Extreme WWE Universe - বাংলাদেশী ফ্যান

রেসলারদের ঘৃণা করা এবং এর কারণসমূহ