প্রো-রেসলিং, যার গাঁথুনি শিল্প রচিত হয়েছে জাপানে। স্ট্রং স্টাইল,পুরোরেসু স্টাইল যা দিয়েছে প্রো-রেসলিংকে এমেচারিজম,ড্রামাটিজেশনের পাশাপাশি সত্যিকার ফাইটিংয়ের আমেজ,সেই বিখ্যাত জাপানী এরার কর্ণদ্বার NJPW র সবচেয়ে বড় প্রাইজের কথা বলছিলাম,বলছিলাম "IWGP Heavyweight Championship" এর কথা।

"The International Wrestling Grand Prix" পূর্ণরূপের সংক্ষিপ্ত ফর্ম হলো এই "IWGP", মূলত রেসলিং সংক্রান্ত একটি টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে এর এই নাম। টাইটেলটি তার যাত্রার সোপানে প্রথম পা ফেলে ১৯৮৭ সালের ১২ জুন।

সেই থেকে আজ অবধি এটি এর স্ব-মহিমায় এখনোও উজ্জ্বীবিত। অনেক রতী-মহারতীরা এই টাইটেলটিকে গায়ে জড়িয়ে হয়েছেন গৌরবান্বিত,স্বীয় জায়গা করে নিয়েছেন ইতিহাসের পাতায় সেরাদের সেরার তালিকায়। হবেই বা না কেনো, এই টাইটেলটির নিজের ই যে ভার,একে অর্জনের জন্য যে বিষ পান করে নীলকন্ঠ ধারণ করতে হয় তা কোনো নিতান্তকে ও তুখোড় জনে পরিণত করে। 

দুনিয়াব্যাপী প্রো-রেসলিং প্রমোশন অজস্র। প্রতিটি প্রমোশনের রয়েছে আবার নিজস্ব World টাইটেল। তথাপি এতোসবের মধ্যে IWGP টাইটেলটি কেনো এতো পপুলার যে হাইলাইট মার্কিং এর ওপর ই এসে পড়ে, কেনো এর ভার এতো বেশী যে তথাকথিত বিশ্বসেরারা ও এর নাগাল পায় না?

উওর হচ্ছে- এই সোনার হরিণকে ত্যাগ,কষ্টের পরাকাষ্ঠা পার করে সাধনা দিয়ে অর্জন করতে হয়,কেবল পরিসংখ্যানিক যোগ্য কিংবা জনপ্রিয় হলেই যে এটা কারো গলায় ঝুলে যাবে, এমনটি ভাবা বোকামী। এমনকি খোদ এর হর্তাকর্তারা পর্যন্ত একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া একে চাইলেই যে কারো হাতে তুলে দিতে পারে না। যা অন্যান্য প্রমোশনের ক্ষেত্রে তাদের অথরিটির জন্য দুধভাত বলা চলে। দুঃখজনক হলেও সত্য, WWE র মতো পপুলার প্রমোশনের ক্ষেত্রে ও আমরা তা বহুবার হতে দেখেছি। কোম্পানীর সবচেয়ে মর্যাদার বেল্টগুলোকে পর্যন্ত তারা অনেক এড়ে-গেড়ের কাঁধে ঝুলিয়েছে। অপরদিকে IWGP Heavyweight Championship এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রান্তে। এজন্য ই এটা ইউনিক।NJPW র প্রায় সব চ্যাম্পিয়নশীপের ই এরকম কিছু না কিছু ইউনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

আজ লিখতে বসেছি এই সূর্যসম টাইটেলটির কীর্তিগাথার খানিকটা।তাছাড়া সম্প্রতি বর্তমান সময়ের ওয়ান অব দ্যা বেস্ট প্রো-রেসলার কাজুচিকা ওকাডার টাইটেলটির সর্বোচ্চ সময়ের রিগেইন একে নিয়ে এ পোষ্ট লেখার আরেকটি কারণ।লেখাটি সত্যিকার প্রো রেসলিং ও জাপানী রেসলিং লাভারদের প্রতি ডেডিকেট করা হল।

শুরু থেকেই IWGP ছিলো সোনার হরিণ। প্রথম চ্যাম্পিয়ন ইনোকিকে এই সোনার হরিণকে কুপোকাত করতে ১৬ জন রাঘব রাঘব রেসলারকে পরাজিত করতে হয়েছিল। রাজ্য জয় করা কঠিন,সেই রাজ্যকে ঠিকিয়ে রাখা তার চেয়েও যেমন বড় কঠিন তদ্রুপ এই সোনার হরিণকে ধরে রাখতে হাড় টনটনভাবে টাইটেল ডিফেন্ড করতে হয়। ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ বা অপারগ হলে জোরপূর্বক টাইটেল রিগেইন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এই বৈশিষ্ট্যটি একে আরো বেশী মর্যাদাপূর্ণ,সম্মানীত করে।এটি তথাকথিত কতিপয় World টাইটেলসমূহের মতো নয় যে একবার অর্জন করে পার্ট-টাইমারের মতো একে ডিফেন্ড না করে,চ্যাম্পিয়নশীপ ম্যাচ না খেলেই মাসের পর মাসের,পে-পার-ভিউ র পর পে-পার-ভিউ রিগেইন ট্যাগ নিয়ে বসে থাকা যাবে।

তো স্বাভাবিকই ইতিহাসের বহু বড় বড় রেসলাররা এই টাইটেল থেকে জোরপূর্বক স্ট্রিপ অফের শিকার হয়েছেন,যে তালিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম হলো ব্রক লেজনারের নাম।

-হ্যাঁ,ব্রক লেজনার ও এই স্বর্ণ তার কাঁধে ঝুলিয়েছিলেন। তবে বেশীদিন রাখতে পারেন নি,২০০৬ সালে ব্রককে তার প্রথম রিগেইনেই টাইটেল থেকে স্ট্রিপ অফ করে দেয়া হয় ডিফেন্ড করতে না পারার দরুণ।


আসুন এবার জেনে নেয়া যাক,এই ঐতিহাসিক IWGP Heavyweight টাইটেলটি সম্পর্কে কিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য--

• এখন পর্যন্ত টাইটেলটিতে নিজের নাম খুঁদাই করেছেন,কাঁধে ঝুলানোর কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ৬৫ জন বিখ্যাত প্রো-রেসলার।

• টাইটেলটির প্রথম চ্যাম্পিয়ন হলেন জাপানী স্ট্রং স্টাইল রেসলিংয়ের জনক দ্যা ক্যামিকাজে তথা ইনোকি।

• আর শেষ চ্যাম্পিয়ন, যিনি এখন পর্যন্ত রিগেইন করে যাচ্ছেন তিনি হলেন কাজুচিকা ওকাডা।

• সবচেয়ে কম-বয়সী চ্যাম্পিয়ন হলেন শিনজুকে নাকামুরা, মাত্র ২৩ বছর বয়সেই টাইটেলটিকে নিজের করে নিয়েছিলেন।

• সবচেয়ে বেশী বয়সে এই সোনার হরিণকে ধরতে পেরেছিলেন ৪৯ বছরের জেনিচিরু তেনরুয়ু।

• এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়জন নন-জাপানীজ প্রো-রেসলার নিজেদের টাইটেলটির যোগ্য প্রমাণ করতে পেরেছেন।তারা হলেন-বিগ ব্যান ভ্যাডর,এজে স্টাইলস,কার্ট এঙ্গেল,ব্রক লেজনার,স্কট নরটন এবং সালমান হাশমিকভ।

• টাইটেলটি সবচেয়ে বেশীবার রিগেইনের বিরল প্রতিভা দেখিয়েছেন জাপানী অল-টাইম বেস্ট প্রো রেসলারদের অন্যতম হিরোশি তানাহাশি। রিগেইন করেছেন মোট ৭ বার।

• তানাহাশির ৭ বারের রিগেইনকে একত্রিত করলে মোট দিন সংখ্যা দাঁড়ায় ১,৩৫৮ দিন।

• জাপানী প্রো-রেসলার কেনজুকে সাসাকি সবচেয়ে কম সময় টাইটেলটি ধরে রাখতে পেরেছিলেন। তার রিগেইন দিন সংখ্যা ১৬

• সবমিলিয়ে টাইটেলটি রিগেইনড হয়েছে মোট ৬৫ বার ২৭ জন প্রো-রেসলারের দ্বারা।

• সম্প্রতি সবচেয়ে বেশীদিন তথা প্রায় ৫০০ দিন(৪৯৬+ দিন) টাইটেলটি ধরে রাখার সম্মান অর্জন করেছেন কাজুচিকা ওকাডা।বহুবছর ধরে এই খেতাবটি ছিলো আরেক জাপানী প্রো-রেসলার হাসিমোটো শিনয়াহ র দখলে। তার রিগেইন সময়কাল ৪৮৯ দিন।

• IWGP Heavyweight Championship এর নাম উল্লেখের ক্ষেত্রে মোহাম্মাদ হোসাইন ইনোকি আর হিরোশি তানাহাশির নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। একজন এই মুক্তকে অর্জন করা প্রথম ডুবুরী,আরেকজন এই হীরাকে ছিনিয়ে নেয়া হানাদারদের বার বার পরাস্ত করা মহাবীর।সবমিলিয়ে ৭ বারের রিগেইনে মোট ২৮ বার তিনি এই টাইটেলটির সফল ডিফেন্ড করেন,যা আর কোনো চ্যাম্পিয়ন করতে পারেন নি।এর মধ্যে পঞ্চম রিগেইনে মোট এগারবার টাইটেল ডিফেন্ড করেছেন,যেটাও একটা রেকর্ড, যা অন্য কোনো চ্যাম্পিয়ন একবারের রিগেইনে করতে পারেন নি।


NJPW এর পে-পার-ভিউ বা নির্ধারিত ইভেন্টে কোনো চ্যাম্পিয়ন টাইটেলটি ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ হলে তাকে টাইটেল ধারণ থেকে সরিয়ে ভ্যাকেন্ট ঘোষণা করা হয়। নতুন চ্যাম্পিয়নের জন্য কয়েক ধাপের চ্যাম্পিয়নশীপ টুনার্মেন্ট আয়োজন করা হয়। যাতে দেখা যায় NJPW র বেস্ট বেস্ট সব ম্যাচ ক্রিয়েশন আর তার এক্সিকিউশন।ক্যাজুয়াল না হয়ে রিয়াল প্রো-রেসলিং লাভার হলে জাপানীদের এই কৃতিত্বগুলো স্বীকার করতে,ভালো লাগতে বাধ্য। 

💣আজ এখানেই ইতি// That's all folks💣
• লেখক ঃ Fahim Hammad

প্রো-রেসলিং -এ সবচেয়ে সম্মানিত পুরস্কার


প্রো-রেসলিং, যার গাঁথুনি শিল্প রচিত হয়েছে জাপানে। স্ট্রং স্টাইল,পুরোরেসু স্টাইল যা দিয়েছে প্রো-রেসলিংকে এমেচারিজম,ড্রামাটিজেশনের পাশাপাশি সত্যিকার ফাইটিংয়ের আমেজ,সেই বিখ্যাত জাপানী এরার কর্ণদ্বার NJPW র সবচেয়ে বড় প্রাইজের কথা বলছিলাম,বলছিলাম "IWGP Heavyweight Championship" এর কথা।

"The International Wrestling Grand Prix" পূর্ণরূপের সংক্ষিপ্ত ফর্ম হলো এই "IWGP", মূলত রেসলিং সংক্রান্ত একটি টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে এর এই নাম। টাইটেলটি তার যাত্রার সোপানে প্রথম পা ফেলে ১৯৮৭ সালের ১২ জুন।

সেই থেকে আজ অবধি এটি এর স্ব-মহিমায় এখনোও উজ্জ্বীবিত। অনেক রতী-মহারতীরা এই টাইটেলটিকে গায়ে জড়িয়ে হয়েছেন গৌরবান্বিত,স্বীয় জায়গা করে নিয়েছেন ইতিহাসের পাতায় সেরাদের সেরার তালিকায়। হবেই বা না কেনো, এই টাইটেলটির নিজের ই যে ভার,একে অর্জনের জন্য যে বিষ পান করে নীলকন্ঠ ধারণ করতে হয় তা কোনো নিতান্তকে ও তুখোড় জনে পরিণত করে। 

দুনিয়াব্যাপী প্রো-রেসলিং প্রমোশন অজস্র। প্রতিটি প্রমোশনের রয়েছে আবার নিজস্ব World টাইটেল। তথাপি এতোসবের মধ্যে IWGP টাইটেলটি কেনো এতো পপুলার যে হাইলাইট মার্কিং এর ওপর ই এসে পড়ে, কেনো এর ভার এতো বেশী যে তথাকথিত বিশ্বসেরারা ও এর নাগাল পায় না?

উওর হচ্ছে- এই সোনার হরিণকে ত্যাগ,কষ্টের পরাকাষ্ঠা পার করে সাধনা দিয়ে অর্জন করতে হয়,কেবল পরিসংখ্যানিক যোগ্য কিংবা জনপ্রিয় হলেই যে এটা কারো গলায় ঝুলে যাবে, এমনটি ভাবা বোকামী। এমনকি খোদ এর হর্তাকর্তারা পর্যন্ত একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া একে চাইলেই যে কারো হাতে তুলে দিতে পারে না। যা অন্যান্য প্রমোশনের ক্ষেত্রে তাদের অথরিটির জন্য দুধভাত বলা চলে। দুঃখজনক হলেও সত্য, WWE র মতো পপুলার প্রমোশনের ক্ষেত্রে ও আমরা তা বহুবার হতে দেখেছি। কোম্পানীর সবচেয়ে মর্যাদার বেল্টগুলোকে পর্যন্ত তারা অনেক এড়ে-গেড়ের কাঁধে ঝুলিয়েছে। অপরদিকে IWGP Heavyweight Championship এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিপরীত প্রান্তে। এজন্য ই এটা ইউনিক।NJPW র প্রায় সব চ্যাম্পিয়নশীপের ই এরকম কিছু না কিছু ইউনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

আজ লিখতে বসেছি এই সূর্যসম টাইটেলটির কীর্তিগাথার খানিকটা।তাছাড়া সম্প্রতি বর্তমান সময়ের ওয়ান অব দ্যা বেস্ট প্রো-রেসলার কাজুচিকা ওকাডার টাইটেলটির সর্বোচ্চ সময়ের রিগেইন একে নিয়ে এ পোষ্ট লেখার আরেকটি কারণ।লেখাটি সত্যিকার প্রো রেসলিং ও জাপানী রেসলিং লাভারদের প্রতি ডেডিকেট করা হল।

শুরু থেকেই IWGP ছিলো সোনার হরিণ। প্রথম চ্যাম্পিয়ন ইনোকিকে এই সোনার হরিণকে কুপোকাত করতে ১৬ জন রাঘব রাঘব রেসলারকে পরাজিত করতে হয়েছিল। রাজ্য জয় করা কঠিন,সেই রাজ্যকে ঠিকিয়ে রাখা তার চেয়েও যেমন বড় কঠিন তদ্রুপ এই সোনার হরিণকে ধরে রাখতে হাড় টনটনভাবে টাইটেল ডিফেন্ড করতে হয়। ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ বা অপারগ হলে জোরপূর্বক টাইটেল রিগেইন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এই বৈশিষ্ট্যটি একে আরো বেশী মর্যাদাপূর্ণ,সম্মানীত করে।এটি তথাকথিত কতিপয় World টাইটেলসমূহের মতো নয় যে একবার অর্জন করে পার্ট-টাইমারের মতো একে ডিফেন্ড না করে,চ্যাম্পিয়নশীপ ম্যাচ না খেলেই মাসের পর মাসের,পে-পার-ভিউ র পর পে-পার-ভিউ রিগেইন ট্যাগ নিয়ে বসে থাকা যাবে।

তো স্বাভাবিকই ইতিহাসের বহু বড় বড় রেসলাররা এই টাইটেল থেকে জোরপূর্বক স্ট্রিপ অফের শিকার হয়েছেন,যে তালিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম হলো ব্রক লেজনারের নাম।

-হ্যাঁ,ব্রক লেজনার ও এই স্বর্ণ তার কাঁধে ঝুলিয়েছিলেন। তবে বেশীদিন রাখতে পারেন নি,২০০৬ সালে ব্রককে তার প্রথম রিগেইনেই টাইটেল থেকে স্ট্রিপ অফ করে দেয়া হয় ডিফেন্ড করতে না পারার দরুণ।


আসুন এবার জেনে নেয়া যাক,এই ঐতিহাসিক IWGP Heavyweight টাইটেলটি সম্পর্কে কিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য--

• এখন পর্যন্ত টাইটেলটিতে নিজের নাম খুঁদাই করেছেন,কাঁধে ঝুলানোর কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ৬৫ জন বিখ্যাত প্রো-রেসলার।

• টাইটেলটির প্রথম চ্যাম্পিয়ন হলেন জাপানী স্ট্রং স্টাইল রেসলিংয়ের জনক দ্যা ক্যামিকাজে তথা ইনোকি।

• আর শেষ চ্যাম্পিয়ন, যিনি এখন পর্যন্ত রিগেইন করে যাচ্ছেন তিনি হলেন কাজুচিকা ওকাডা।

• সবচেয়ে কম-বয়সী চ্যাম্পিয়ন হলেন শিনজুকে নাকামুরা, মাত্র ২৩ বছর বয়সেই টাইটেলটিকে নিজের করে নিয়েছিলেন।

• সবচেয়ে বেশী বয়সে এই সোনার হরিণকে ধরতে পেরেছিলেন ৪৯ বছরের জেনিচিরু তেনরুয়ু।

• এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়জন নন-জাপানীজ প্রো-রেসলার নিজেদের টাইটেলটির যোগ্য প্রমাণ করতে পেরেছেন।তারা হলেন-বিগ ব্যান ভ্যাডর,এজে স্টাইলস,কার্ট এঙ্গেল,ব্রক লেজনার,স্কট নরটন এবং সালমান হাশমিকভ।

• টাইটেলটি সবচেয়ে বেশীবার রিগেইনের বিরল প্রতিভা দেখিয়েছেন জাপানী অল-টাইম বেস্ট প্রো রেসলারদের অন্যতম হিরোশি তানাহাশি। রিগেইন করেছেন মোট ৭ বার।

• তানাহাশির ৭ বারের রিগেইনকে একত্রিত করলে মোট দিন সংখ্যা দাঁড়ায় ১,৩৫৮ দিন।

• জাপানী প্রো-রেসলার কেনজুকে সাসাকি সবচেয়ে কম সময় টাইটেলটি ধরে রাখতে পেরেছিলেন। তার রিগেইন দিন সংখ্যা ১৬

• সবমিলিয়ে টাইটেলটি রিগেইনড হয়েছে মোট ৬৫ বার ২৭ জন প্রো-রেসলারের দ্বারা।

• সম্প্রতি সবচেয়ে বেশীদিন তথা প্রায় ৫০০ দিন(৪৯৬+ দিন) টাইটেলটি ধরে রাখার সম্মান অর্জন করেছেন কাজুচিকা ওকাডা।বহুবছর ধরে এই খেতাবটি ছিলো আরেক জাপানী প্রো-রেসলার হাসিমোটো শিনয়াহ র দখলে। তার রিগেইন সময়কাল ৪৮৯ দিন।

• IWGP Heavyweight Championship এর নাম উল্লেখের ক্ষেত্রে মোহাম্মাদ হোসাইন ইনোকি আর হিরোশি তানাহাশির নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। একজন এই মুক্তকে অর্জন করা প্রথম ডুবুরী,আরেকজন এই হীরাকে ছিনিয়ে নেয়া হানাদারদের বার বার পরাস্ত করা মহাবীর।সবমিলিয়ে ৭ বারের রিগেইনে মোট ২৮ বার তিনি এই টাইটেলটির সফল ডিফেন্ড করেন,যা আর কোনো চ্যাম্পিয়ন করতে পারেন নি।এর মধ্যে পঞ্চম রিগেইনে মোট এগারবার টাইটেল ডিফেন্ড করেছেন,যেটাও একটা রেকর্ড, যা অন্য কোনো চ্যাম্পিয়ন একবারের রিগেইনে করতে পারেন নি।


NJPW এর পে-পার-ভিউ বা নির্ধারিত ইভেন্টে কোনো চ্যাম্পিয়ন টাইটেলটি ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ হলে তাকে টাইটেল ধারণ থেকে সরিয়ে ভ্যাকেন্ট ঘোষণা করা হয়। নতুন চ্যাম্পিয়নের জন্য কয়েক ধাপের চ্যাম্পিয়নশীপ টুনার্মেন্ট আয়োজন করা হয়। যাতে দেখা যায় NJPW র বেস্ট বেস্ট সব ম্যাচ ক্রিয়েশন আর তার এক্সিকিউশন।ক্যাজুয়াল না হয়ে রিয়াল প্রো-রেসলিং লাভার হলে জাপানীদের এই কৃতিত্বগুলো স্বীকার করতে,ভালো লাগতে বাধ্য। 

💣আজ এখানেই ইতি// That's all folks💣
• লেখক ঃ Fahim Hammad