◘ জেফ হার্ডি কেন WWE ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন? আসলেই কি পাঙ্কের কারনে? এই প্রশ্নের অনেক উত্তর শোনা যায় কিন্তু আজকে আমি অপ্রিয় সত্যিটার কথা বলবো, আশাকরি পুরোটা পরে দেখবেন। 
 ♠ সাধারনভাবে দেখলে দেখা যায় পাঙ্কের সঙ্গে ম্যাচ ছিল হার্ডির এবং সেই ম্যাচে কেইফেব স্টিপুলেশন ছিল, অর্থাৎ হারলে বিদায় নিতে হবে, এবং সেই ম্যাচ হারের ফলেই জেফ স্টিপুলেশন অনুযায়ী WWE থেকে চিরতরে চলে গিয়েছেন। এই কারনে কতিপয় হার্ডি ফ্যান পাঙ্ককে তাদের বসের যাওয়ার জন্য একমাত্র দায়ী করে থাকে, অনেকেই বলে যে পাঙ্ক স্ক্রিপ্ট ভেঙ্গে ম্যাচটাতে জয়লাভ করেছিল এবং নিজেকে ফেমাস করার জন্য হার্ডিকে বহিস্কার করেছিল...আমি তাদের জন্য বলবো I am afraid I have some bad news for You...আসলে ব্যাপারটা মোটেও এরকম নয়।

♣ আসলে অনেক রেসলারকেই তাদের ইচ্ছায় এই উপায়ে সাময়িক বা স্থায়ীভাবে লিভ দেওয়া হয় তাদের পার্সোনাল লাইফ, স্বাস্থ, রিটায়ার করা, ছুটিতে পাঠানো, ফ্যামিলির জন্য সময় দেওয়া, মুভি করানো এবং অনেক সময় কিছু ইঞ্জুরি থেকে সেরে উঠার জন্য। এখন আপনারা বলবেন এটা কিকরে সম্ভব? আপনারা একবার ভেবে দেখুন WWE, TNA প্রভৃতি প্রো-রেসলিং কোম্পানি স্টোরিলাইনের দমে চলে, সুতরাং এমনটাতো বলা যায় না যে এই রেস্লার কিছুদিনের জন্য আসতে পারবে না কারন সে ছুট্টিতে গেছে বা মুভি করতে গেছে! তাদেরকে সবসময় কোন স্টিপুলেশনওয়ালা ম্যাচ খেলিয়ে বা স্টোরিলাইন ইঞ্জুরি ঘটিয়ে বাইরে পাঠানো হয় (অনেক সময় আসল ইঞ্জুরিতেও বাইরে যেতে হয়) যাতে স্টোরিলাইনের কোন ফাঁক না থেকে যায় এবং কোন ফিউডকে বিনা সমালোচনাই সেটাকে কন্টিনিউ করা যায়। 

♠ এবার আসি জেফের কথায়, জেফের ইতিহাস মোটেও অতটা ভালো নয়! ২২ এপ্রিল, ২০০৩-এ তাকে WWE থেকে রিলিজ করে দেওয়া হয়, কারন হিসাবে দেখানো হয়- খামখেয়ালী ব্যবহার, ড্রাগের ব্যবহার (#উল্লেখ্যঃ কিছু পেইনকিলারকে ড্রাগের আন্ডারে না ফেলে ঔষধরে আন্ডারে ফেলা হয়, এখানে ড্রাগ মানে সেই ধরনের ড্রাগ নয়, এটা হল ক্ষতিকর নিষিদ্ধ ড্রাগ), ড্রাগের চিকিৎসা নিতে অস্বীকার করা, নিম্নমানের রিং পারফর্মেন্স, ক্রমাগত মন্থরগতিতে খেলা, ইভেন্টে অনুপস্থিত থাকা প্রভৃতি। এরপর হার্ডি মনের দুঃখে WWE থেকে চলে গিয়ে TNA -তে জয়েন করেন এবং ২৩ শে জুন, ২০০৪-এই সেই শোর দ্বিতীয় বার্ষিকীতে জেফ ডেবিউ করেন, ডেবিউ ম্যাচে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন TNA X-Division চ্যাম্প AJ Styles। যাইহোক, ইভেন্টে অনুপস্থিত থাকার অভিজোগে এবার TNA থেকেও জেফকে ২০০৬ সালে বার করে দেওয়া হয়! কিন্তু WWE এতটা নিষ্ঠুর ছিলনা সেজন্য জেফকে আবার সুজোগ দেওয়া হয় এবং ২০০৬ সালের ৪ আগস্টে তাকে আবার অফিসিয়ালি রিসাইন করা হয়। WWE পুনরায় চান্স দিলেও হার্ডি কিন্তু শোধরাইনি! এরপর ২০০৮ সালের ১১ই মার্চ হার্ডিকে আবার ৬০ দিনের জন্য সাস্পেন্ড করা হয়, দ্বিতীয়বারের মতো কোম্পানি দ্বারা নিষিদ্ধ কিছু পদার্থের ব্যবহার এবং ড্রাগ টেস্টিং পলিসির জন্য। উপরের কারনে কোম্পানি চাইলে আবার ঘার ধাক্কা দিয়ে জেফকে বার করে দিতে পারতো কিন্তু এবার কোম্পানি তাকে সামান্য সাজা দিয়েই ছেড়ে দেয়।

♣ আমরা সবাই জানি জেফ ছিল হাই ফ্লায়িং সুপারস্টার, এবং এইধরনের প্লেয়ারদের ইঞ্জুরি হয় সবথেকে বেশী, জেফও তার ব্যতিক্রম ছিলনা এবং এই কারনেই জেফ তখন অনেক বেশী পপুলার হয়ে উঠেছিল। কিন্তু প্রত্যেকজিনিসেরই নেগেটিভ দিক থাকে, এরপর ২০১০-এর ২৮ আগস্ট সে নিজেই তার স্বাস্থ্যর কারনে অর্থাৎ তার আঘাতসমূহকে সারিয়ে তোলা এবং শারীরিক অনিয়মকেও কিছুটা কমাবার জন্য সাময়িক লিভ নিতে চেয়েছিল এবং কোম্পানি নিজদের লস হওয়া সত্বেও সেটাকে মেনেনিয়েছিল এবং তাকে আরাম দেওয়ার জন্য সেইরকম স্টিপুলেশনের ব্যবস্থা করেছিল, যদিও WWE চাইতো তাকে আবার ফিরিয়ে আনবে কিছুসময় পরে। কিন্তু এরপরে ঘটে আসল ঘটনা, জেফ তখন দারুন ফেমাস হয়েছিল WWE -এর সৌজন্যে এবং এই কারনেই TNA নিজের পপুলারিটি বাড়াবার জন্য জেফের সাথে কথা বলা শুরু করে, কিন্তু WWE তখনও জেফকে রিটার্ন করাতে আগ্রহী ছিল এবং রিটার্নে তার সমস্তরকমের চেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছিল। 

♠ এখন জেফের কাছে দুইটা উপাই ছিল, হয়তো সে তার WWE ফ্যানদের কাছে ফিরে যাবে এবং যে কোম্পানিতাকে একাধিকবার সুজোগ দিয়েছে এবং এত ফেমাস করেছে সেই কোম্পানিতেই আবার জয়েন করবে, নয়তো যে কোম্পানি তাকে কিছুদিনেই ফায়ার করেছে এবং ফেমাস হবার কারনে এখন তাকে চাইছে সেই কোম্পানির কাছে চলে যাবে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে জেফ দ্বিতীয় অপশন বেছে নিল এবং TNA তে চলে গেল!! এর কারন ছিল জার্নি ও শিডিউল। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন জার্নি এবং শিডিউল! WWE, TNA -এর থেকে অনেক বেশী গ্লোবাল হওয়াই WWE তে জেফকে অনেক বেশী জার্নি করতে হত যার ধকল সে সহ্য করতে হতো এবং WWE -এর শিডীউল অনেক টাইট ছিল যদিও জেফের বিরুদ্ধে অনেক সময় ইভেন্টে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠতো, অন্যদিকে TNA-তে খুবই কম জার্নি করতে হত এবং সেখানকার শিডিউলও অনেক শিথিল ছিল তাছাড়া সেখানকার নিয়মশৃঙ্খলা, ড্রাগ টেস্টের সিস্টেমও অনেক নিম্নমানের ছিল, সেদিক থেকে TNA অনেক সুভিধার জায়গা, বিশেষ করে জেফের জন্য আর তাছাড়া সেখানে সে টপ স্টার হিসাবে থাকতে পারতো এবং অনেক পয়সাও ইঙ্কাম করতে পারতো...এইসব কারনেই সে WWE ফ্যানদের কথা না ভেবে, তাকে ফেমাস করা এবং পুনর্জীবন দেওয়া কোম্পানির কথা না ভেবে স্বার্থপরের মতো অন্য কোম্পানিতে চলে যাই...এটাই ছিল জেফের ছিল আসল কাহিনী।

♥ অর্থাৎ, যারা ভাবতেন যে পাঙ্কের স্ক্রিপ্ট ভাঙ্গার কারনে তাদের বস মনে দুঃখে তাদের ছেড়ে অন্য কোম্পানিতে চলে গেছেন তারা আবার ভেবে দেখুন...আশা করি এতক্ষনে বুঝে গিয়েছেন যে কে কোম্পানির কথা ভাবতো আর কে স্বার্থপর ছিল, এখন থেকে পাঙ্কের ব্যাপারে কোন কথা বলার আগে নিজেকেই প্রশ্ন করবেন যে কোন রেসলারের স্ক্রিপ্টকে এইভাবে ভাঙ্গার সাহস হয়না, এবং আপনাদের জেফ নিজের ইচ্ছাই WWE ছেড়ে চলে গিয়েছেন তার নিজের কথা ভেবেই...এবং তার ইচ্ছা করতেই পারে, সে জেতেই পারে কিন্তু তার যাবার দায় নির্দোষ কাউকে দিবেন না এটাই রিকুয়েস্ট রইলো। 

 PS: বর্তমানে TNA -এর শিডিউল অনেক টাফ এবং TNA আগেকার থেকে অনেকটাই বেশী গ্লোবাল, অর্থাৎ জার্নিও এখন অনেক বেশী, তাছাড়া WWE এখন পপুলারিটী বাড়াবার জন্য প্রাক্তন রেসলারদের অনেক টাকার অফার দিচ্ছে সেজন্য জেফ তার পুরানো অভ্যাসের কারনে TNA থেকে ঝাঁপ দিয়ে WWE -তেও চলে আসতে পারে, এবং আমিও তার রিটার্নের অপেক্ষাই আছি কারন, যেইদিন জেফ ফিরে আসবে সেইদিন সকলের কাছে প্রমান হয়ে যাবে যে ওই ঘটনাটা ছিল নিছকই একটা স্টোরিলাইন এবং পাঙ্ক এখানে কোন দোশ করেনি। 

জেফ হার্ডি কেন WWE ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন? আসলেই কি পাঙ্কের কারনে? -জেনে নিন।

◘ জেফ হার্ডি কেন WWE ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন? আসলেই কি পাঙ্কের কারনে? এই প্রশ্নের অনেক উত্তর শোনা যায় কিন্তু আজকে আমি অপ্রিয় সত্যিটার কথা বলবো, আশাকরি পুরোটা পরে দেখবেন। 
 ♠ সাধারনভাবে দেখলে দেখা যায় পাঙ্কের সঙ্গে ম্যাচ ছিল হার্ডির এবং সেই ম্যাচে কেইফেব স্টিপুলেশন ছিল, অর্থাৎ হারলে বিদায় নিতে হবে, এবং সেই ম্যাচ হারের ফলেই জেফ স্টিপুলেশন অনুযায়ী WWE থেকে চিরতরে চলে গিয়েছেন। এই কারনে কতিপয় হার্ডি ফ্যান পাঙ্ককে তাদের বসের যাওয়ার জন্য একমাত্র দায়ী করে থাকে, অনেকেই বলে যে পাঙ্ক স্ক্রিপ্ট ভেঙ্গে ম্যাচটাতে জয়লাভ করেছিল এবং নিজেকে ফেমাস করার জন্য হার্ডিকে বহিস্কার করেছিল...আমি তাদের জন্য বলবো I am afraid I have some bad news for You...আসলে ব্যাপারটা মোটেও এরকম নয়।

♣ আসলে অনেক রেসলারকেই তাদের ইচ্ছায় এই উপায়ে সাময়িক বা স্থায়ীভাবে লিভ দেওয়া হয় তাদের পার্সোনাল লাইফ, স্বাস্থ, রিটায়ার করা, ছুটিতে পাঠানো, ফ্যামিলির জন্য সময় দেওয়া, মুভি করানো এবং অনেক সময় কিছু ইঞ্জুরি থেকে সেরে উঠার জন্য। এখন আপনারা বলবেন এটা কিকরে সম্ভব? আপনারা একবার ভেবে দেখুন WWE, TNA প্রভৃতি প্রো-রেসলিং কোম্পানি স্টোরিলাইনের দমে চলে, সুতরাং এমনটাতো বলা যায় না যে এই রেস্লার কিছুদিনের জন্য আসতে পারবে না কারন সে ছুট্টিতে গেছে বা মুভি করতে গেছে! তাদেরকে সবসময় কোন স্টিপুলেশনওয়ালা ম্যাচ খেলিয়ে বা স্টোরিলাইন ইঞ্জুরি ঘটিয়ে বাইরে পাঠানো হয় (অনেক সময় আসল ইঞ্জুরিতেও বাইরে যেতে হয়) যাতে স্টোরিলাইনের কোন ফাঁক না থেকে যায় এবং কোন ফিউডকে বিনা সমালোচনাই সেটাকে কন্টিনিউ করা যায়। 

♠ এবার আসি জেফের কথায়, জেফের ইতিহাস মোটেও অতটা ভালো নয়! ২২ এপ্রিল, ২০০৩-এ তাকে WWE থেকে রিলিজ করে দেওয়া হয়, কারন হিসাবে দেখানো হয়- খামখেয়ালী ব্যবহার, ড্রাগের ব্যবহার (#উল্লেখ্যঃ কিছু পেইনকিলারকে ড্রাগের আন্ডারে না ফেলে ঔষধরে আন্ডারে ফেলা হয়, এখানে ড্রাগ মানে সেই ধরনের ড্রাগ নয়, এটা হল ক্ষতিকর নিষিদ্ধ ড্রাগ), ড্রাগের চিকিৎসা নিতে অস্বীকার করা, নিম্নমানের রিং পারফর্মেন্স, ক্রমাগত মন্থরগতিতে খেলা, ইভেন্টে অনুপস্থিত থাকা প্রভৃতি। এরপর হার্ডি মনের দুঃখে WWE থেকে চলে গিয়ে TNA -তে জয়েন করেন এবং ২৩ শে জুন, ২০০৪-এই সেই শোর দ্বিতীয় বার্ষিকীতে জেফ ডেবিউ করেন, ডেবিউ ম্যাচে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন TNA X-Division চ্যাম্প AJ Styles। যাইহোক, ইভেন্টে অনুপস্থিত থাকার অভিজোগে এবার TNA থেকেও জেফকে ২০০৬ সালে বার করে দেওয়া হয়! কিন্তু WWE এতটা নিষ্ঠুর ছিলনা সেজন্য জেফকে আবার সুজোগ দেওয়া হয় এবং ২০০৬ সালের ৪ আগস্টে তাকে আবার অফিসিয়ালি রিসাইন করা হয়। WWE পুনরায় চান্স দিলেও হার্ডি কিন্তু শোধরাইনি! এরপর ২০০৮ সালের ১১ই মার্চ হার্ডিকে আবার ৬০ দিনের জন্য সাস্পেন্ড করা হয়, দ্বিতীয়বারের মতো কোম্পানি দ্বারা নিষিদ্ধ কিছু পদার্থের ব্যবহার এবং ড্রাগ টেস্টিং পলিসির জন্য। উপরের কারনে কোম্পানি চাইলে আবার ঘার ধাক্কা দিয়ে জেফকে বার করে দিতে পারতো কিন্তু এবার কোম্পানি তাকে সামান্য সাজা দিয়েই ছেড়ে দেয়।

♣ আমরা সবাই জানি জেফ ছিল হাই ফ্লায়িং সুপারস্টার, এবং এইধরনের প্লেয়ারদের ইঞ্জুরি হয় সবথেকে বেশী, জেফও তার ব্যতিক্রম ছিলনা এবং এই কারনেই জেফ তখন অনেক বেশী পপুলার হয়ে উঠেছিল। কিন্তু প্রত্যেকজিনিসেরই নেগেটিভ দিক থাকে, এরপর ২০১০-এর ২৮ আগস্ট সে নিজেই তার স্বাস্থ্যর কারনে অর্থাৎ তার আঘাতসমূহকে সারিয়ে তোলা এবং শারীরিক অনিয়মকেও কিছুটা কমাবার জন্য সাময়িক লিভ নিতে চেয়েছিল এবং কোম্পানি নিজদের লস হওয়া সত্বেও সেটাকে মেনেনিয়েছিল এবং তাকে আরাম দেওয়ার জন্য সেইরকম স্টিপুলেশনের ব্যবস্থা করেছিল, যদিও WWE চাইতো তাকে আবার ফিরিয়ে আনবে কিছুসময় পরে। কিন্তু এরপরে ঘটে আসল ঘটনা, জেফ তখন দারুন ফেমাস হয়েছিল WWE -এর সৌজন্যে এবং এই কারনেই TNA নিজের পপুলারিটি বাড়াবার জন্য জেফের সাথে কথা বলা শুরু করে, কিন্তু WWE তখনও জেফকে রিটার্ন করাতে আগ্রহী ছিল এবং রিটার্নে তার সমস্তরকমের চেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছিল। 

♠ এখন জেফের কাছে দুইটা উপাই ছিল, হয়তো সে তার WWE ফ্যানদের কাছে ফিরে যাবে এবং যে কোম্পানিতাকে একাধিকবার সুজোগ দিয়েছে এবং এত ফেমাস করেছে সেই কোম্পানিতেই আবার জয়েন করবে, নয়তো যে কোম্পানি তাকে কিছুদিনেই ফায়ার করেছে এবং ফেমাস হবার কারনে এখন তাকে চাইছে সেই কোম্পানির কাছে চলে যাবে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে জেফ দ্বিতীয় অপশন বেছে নিল এবং TNA তে চলে গেল!! এর কারন ছিল জার্নি ও শিডিউল। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন জার্নি এবং শিডিউল! WWE, TNA -এর থেকে অনেক বেশী গ্লোবাল হওয়াই WWE তে জেফকে অনেক বেশী জার্নি করতে হত যার ধকল সে সহ্য করতে হতো এবং WWE -এর শিডীউল অনেক টাইট ছিল যদিও জেফের বিরুদ্ধে অনেক সময় ইভেন্টে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠতো, অন্যদিকে TNA-তে খুবই কম জার্নি করতে হত এবং সেখানকার শিডিউলও অনেক শিথিল ছিল তাছাড়া সেখানকার নিয়মশৃঙ্খলা, ড্রাগ টেস্টের সিস্টেমও অনেক নিম্নমানের ছিল, সেদিক থেকে TNA অনেক সুভিধার জায়গা, বিশেষ করে জেফের জন্য আর তাছাড়া সেখানে সে টপ স্টার হিসাবে থাকতে পারতো এবং অনেক পয়সাও ইঙ্কাম করতে পারতো...এইসব কারনেই সে WWE ফ্যানদের কথা না ভেবে, তাকে ফেমাস করা এবং পুনর্জীবন দেওয়া কোম্পানির কথা না ভেবে স্বার্থপরের মতো অন্য কোম্পানিতে চলে যাই...এটাই ছিল জেফের ছিল আসল কাহিনী।

♥ অর্থাৎ, যারা ভাবতেন যে পাঙ্কের স্ক্রিপ্ট ভাঙ্গার কারনে তাদের বস মনে দুঃখে তাদের ছেড়ে অন্য কোম্পানিতে চলে গেছেন তারা আবার ভেবে দেখুন...আশা করি এতক্ষনে বুঝে গিয়েছেন যে কে কোম্পানির কথা ভাবতো আর কে স্বার্থপর ছিল, এখন থেকে পাঙ্কের ব্যাপারে কোন কথা বলার আগে নিজেকেই প্রশ্ন করবেন যে কোন রেসলারের স্ক্রিপ্টকে এইভাবে ভাঙ্গার সাহস হয়না, এবং আপনাদের জেফ নিজের ইচ্ছাই WWE ছেড়ে চলে গিয়েছেন তার নিজের কথা ভেবেই...এবং তার ইচ্ছা করতেই পারে, সে জেতেই পারে কিন্তু তার যাবার দায় নির্দোষ কাউকে দিবেন না এটাই রিকুয়েস্ট রইলো। 

 PS: বর্তমানে TNA -এর শিডিউল অনেক টাফ এবং TNA আগেকার থেকে অনেকটাই বেশী গ্লোবাল, অর্থাৎ জার্নিও এখন অনেক বেশী, তাছাড়া WWE এখন পপুলারিটী বাড়াবার জন্য প্রাক্তন রেসলারদের অনেক টাকার অফার দিচ্ছে সেজন্য জেফ তার পুরানো অভ্যাসের কারনে TNA থেকে ঝাঁপ দিয়ে WWE -তেও চলে আসতে পারে, এবং আমিও তার রিটার্নের অপেক্ষাই আছি কারন, যেইদিন জেফ ফিরে আসবে সেইদিন সকলের কাছে প্রমান হয়ে যাবে যে ওই ঘটনাটা ছিল নিছকই একটা স্টোরিলাইন এবং পাঙ্ক এখানে কোন দোশ করেনি।